পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/২৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀՖԳ পদ প্রাপ্ত হন । তিনি প্রথমেই উড়িষ্যা প্রদেশ আক্রমণ করিলেন । প্রথম দুই A যুদ্ধে জয় লাভ করিলেও তৃতীয় যুদ্ধে তিনি সম্পূর্ণরূপে পরাজিত হইলেন। উড়িয়ার। তাছার হস্তী কাড়িয়া লইল । তৎপরে তিনি শ্ৰীহট্ট প্রদেশ আক্রমণ করিয়া প্রচুর ধনরত্ন প্রাপ্ত হইলেন । এই জয় লাভে উল্লসিত হইয়া, পর বৎসর তিনি আসাম প্রদেশ আক্রমণ করেন । প্রথম প্রথম তাহার ভাগ্যে জয় লাভ ঘটিলেও, বর্ষাসমাগমে তিনি বড়ই বিপন্ন হইলেন । অবশেষে পরাজিত হইয়া ১২৬০ খ্ৰীঃ অব্দে তিনি জীবন লীলা সংবরণ করিলেন । ইখতিয়ার খা—র্তাহার পূর্ব নাম রহমত ভুইয়া এবং পিতার নাম মনসুর ভুইয়। বঙ্গের নবাব হোশেন শাহের রাজত্বকালে (১৪৯৪-১৫২৯ খ্ৰীঃ) মেদিনীপুরের র্কাথি মহকুমার অন্তর্গত হিজলী নামক স্থানে এই মনমুর ভূ ইয়া বাস করিতেন । তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্র জমাল খ ও কনিষ্ঠ পুত্র রহমত খী ছিলেন জমাল খ| বিষয় রক্ষা করিতেন এবং রহমত খ। কুস্তি খেলা ও শিকার লইয়া ব্যস্ত থাকিতেন। জমাল বিষয় লোভে মত্ত হইয়া, ভ্রাতার প্রাণ সংহারপূৰ্ব্বক, বিষয়ের একাধিপত্য লাভে প্রয়াসী হইলেন । জমালের ধৰ্ম্মপ্রাণ। পত্নী স্বামীর এই দুরভিসন্ধি অবগত হইয়া দেবর রহমতকে পলায়ন করিতে পরী ভারতীয়-ঐতিহাসিক ইখতিয়ার মর্শ দিলেন। রহমত পলায়নপূৰ্ব্বক গুমগড় গরগণার অন্তর্গত সমুদ্র তীরবৰ্ত্তী ধীবর পল্লীতে আশ্রয় গ্রহণ করিলেন । অল্পকাল মধ্যেই ব্যাভ্রাদি বন্যজন্তু বিনাশ করিয়া ধীবর পল্পীকে হস্তগত করিলেন । ধীবরেরা তাহার বিশেষ অনুগত হইল । র্তাহাদের মধ্য হইতে লোক লইয়া পাঁচ শত সৈন্সের একট দল গঠন করিলেন । সমুদ্রগামী চাদ খাঁ। নামক বণিকের নিকট কিছু অর্থ প্রাপ্ত হইলেন । অচিরে নিকবৰ্ত্তী স্থান জঙ্গল পরিশূন্ত ও দুর্গদ্বারা সজ্জিত হইল । বাহির মুটার জমিদারকে পরাস্ত করিয়া তাহার নব বিবাহিত । পুত্র বধূকে হরণপূর্বক বিবাহ করিলেন। এই সময়ে তাহার প্রভাব প্রতিপত্তি অতিশয় বৃদ্ধি পাইল । জ্যেষ্ঠ ভ্রাত জমাল আসিয়া তাহার সহিত মিলিত হইলেন। রহমত স্বীয় পিতৃব্য কন্য নাজিরা খাতুনকে বিবাহ করিলেন । ভীম সেন মহাপাত্র, দ্বারকা দাস ও দিবাকর পণ্ডা, তাহার প্রধান কৰ্ম্মচারী হইলেন । র্তাহাদের পরামর্শে দিল্লীর সম্রাটের উড়িষ্যার সুবেদার বাকর খা আনুগত্য স্বীকার করিয়া, বালেশ্বরের জমিদারী ও ইখতিয়ার খা উপাধি প্রাপ্ত হইলেন । তাহার দাউদ খা নামে এক পুত্র জন্মগ্রহণ করেন । ইখতিয়ার খার মৃত্যুর পর তিনিই হিজলীর অধিপতি হন। তিনি বিবাহ