পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/৩১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\లిపి নিহত করিয়া, বঙ্গের সিংহাসন অধিকার করিলেও, তাহার দ্যায়ানুগত শাসনগুণে ও অন্তান্ত সদগুণে আকৃষ্ট হইয়া লোকেরা তাহার পূর্ব অপকার্য্যের বিষয় ভুলিয়া গিয়াছিল, প্রথম দশ বৎসর তিনি বেশ স্বাধীন ভাবেই রাজত্ব করেন । পরে দুৰ্ব্বদ্ধি বশতঃ বারাণসী প্রদেশ আক্রমণ করিয়া, রাজ্যের আয়তন বৃদ্ধি রুরিতে চেষ্টা করিলেন । তখন দিল্লীর সম্রাট ফিরোজ শাহ তুঘলক ( ১৩৫১ খ্ৰী: ) অতিশয় ক্রুদ্ধ হইয়া বঙ্গদেশ আক্রমণ করিলেন । মুলতান ইলিয়াস শাহ পরাজিত হইয়া বাধিক কর প্রদানে সন্মত হইয়া, সন্ধি করিতে বাধ্য স্থইলেন । ১৩৫৩ খ্ৰীঃ অব্দে তিনি উপহার দ্রব্যদি সহ দিল্লীতে এক দূত প্রেরণ করেন । দিল্লীর সম্রাট অতি সমাদরের সহিত সেই দূতকে গ্রহণ করেন । ১৩৫৫ খ্ৰীঃ অব্দে পুনরায় এক দূত প্রেরিত হয় । সেই সময়ে উভয়ের মধ্যে এক সন্ধিপত্র সাক্ষরিত হয় । তাছাতে দিল্লীর সম্রাট ইলিয়াস শাহকে স্বাধীন নরপতি বলিয়া, স্বীকার করেন এবং উভয় রাজ্যের সীমাও নিদিষ্ট হয় । ১৩৫৮ খ্ৰীঃ অব্দে তিনি রিলোক গমন করিলে, তৎপুত্র সেকেন্দর শাহ সিংহাসনে আরোহণ फ८ब्रम्र । ইল্লারাজ-কাশ্মীরপতি একজন সামসু রাজা । হর্ষদেলের হর্ষদেব ভারতীয়-ঐতিহাসিক हैजणांत्र थै রাজ্যভ্রষ্ট হইলে, তিনি নরপতি উচ্চলের পক্ষ অবলম্বন করেন এবং সৈন্ত প্রেরণ করিয়া পলায়মান হর্ষদেবকে নিহত করেন । উচ্চল রাজ্যলাভ করিয়া রাজ্যবৰ্দ্ধনকামী ইল্লারাজকে এক যুদ্ধে বধ করেন । , ইসফন্দিয়ার বেগ-বাঙ্গালীর নবাব মীর জুমলার অন্ততম সেনাপতি । মীরজুমলা কুচবিহার জয় করিয়া ইসফন্দিয়ারের হাতে তাহার শাসনভার অপণ করেন এবং স্বয়ং আসাম প্রদেশ জয় করিতে অভিযান করেন । তখন পরাজিত কুচবিহারপতি পুনরায় ইসফন্দিয়ার খাকে আক্রমণ ও যুদ্ধে পরাজিত করিয়া কুচবিহার হইতে তাড়াইয়া দেন । ইসরাত—একজন উর্দু কবি । মীরজিয়াউদ্দিন নামক অপর একজন উৰ্দ্দ, কবি, সিংহলরাজ কন্যা এবং রাজপুত নৃপতি রতন সিংহের স্ত্রী পদ্মাবতীর সম্বন্ধে "পদ্মাবৎ* নামে একখানি অসম্পূর্ণ কাব্য রচনা করেন। পরে কবি ইসরাত (সম্পূর্ণ নাম গোলাম আলী ইসরাত ) ১৭৯৬ খ্ৰীঃ অব্দে (হিঃ ১২১১ ) ইহা সম্পন্ন করেন । ইসলাম খা—(১) বাঙ্গালাল শাসনকৰ্ত্ত । সম্রাট শা-জাহানের রাজস্বকালে র্তাহার পূর্ববৰ্ত্তী অযোগ্য শাসনকৰ্ত্ত আজিম খাঁ পদচ্যুত হইলে, তিনি বাঙ্গালীর শাসনকৰ্ত্তীর পদ