अॅचब्रछटा ১৩৫৩ সালের ৭ই আষাঢ় তিনি ‘পাষণ্ড পীড়ন’ নামে একখানা মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করেন । এই সময়ে ভাস্কর জীবনী-কোষ ©e3 তিনিই প্রথম ব্ৰতী হন। ১২৬৫ সালের ১০ই মাঘ তিনি পরলোক গমন। করেন । সম্পাদক গৌরীশঙ্কর তর্কবাগীশ ( গুড় ঈশ্বরচন্দ্রবিদ্যাসাগর-বঙ্গের বিখ্যাত গুড়ে ভট্টাচাৰ্য্য) রসরাজ নামে একখানা পত্রিকা প্রকাশ করিয়া, ঈশ্বরচন্দ্রের সহিত কবিতা যুদ্ধে প্রবৃত্ত হন। এই উভয় পত্রিকায় অশ্লীল কবিতা সকল প্রকাশিত হইত। মুখের বিষয় উভয় পত্রিকা অল্পায়ু হইয়াছিল। ১২৫৪ সালে তিনি 'সাধুরঞ্জন নামে আর একখানি সাপ্তাহিক পত্রিকা বাহির করেন । ইহাতে বঙ্কিম চন্দ্র প্রভৃতি র্তাহার ছাত্র বৃনের কবিতা প্রকাশিত হইত। ১২৬• সালের বৈশাখ হইতে তিনি ‘প্রভাকর।’ নামে একখানি বৃহৎ আকারের মাসিক পত্রিক। বাহির করিতে আরম্ভ করেন । উক্ত পত্রিকায় ‘প্রবোধ প্রভাকর’ ‘হিত প্রভাকর ‘বুধেন্দু বিকাশ’ নামক তাহার তিন খান গ্রন্থ প্রকাশিত হইয়াছিল । তিনি দশ বৎসর কাল বঙ্গ দেশের নানাস্থানে ভ্রমণ করিয়া বহু কষ্টে রামপ্রসাদ সেন, রামবমু, রামনিধি সেন (নিধুবাবু), হরুঠাকুর, নিতাই বৈরাগী, লক্ষ্মীকান্ত বসু, নৃসিংহ প্রভৃতি বহু খ্যাতনামা প্রাচীন বঙ্গকবির জীবন চরিত, গীত ও পদাবলী প্রকাশ করেন । পরে ১২৬২ সালে ভারতচন্দ্রের জীবনী ও অনেক লুপ্ত কবিতা প্রকাশ করেন। প্রাচীন কবির জীবনী ও কাব্য প্রকাশে পণ্ডিত, গ্রন্থকার ও সমাজ সংস্কারক। ১২২৭ বঙ্গাম্বের ১২ই আশ্বিন (১৮২ খ্ৰী: ২৮ শে সেপ্টেম্বর ) মঙ্গলবার হুগলী (বর্তমান মেদিনীপুর ) জিলার অন্তর্গত বীরসিংহ গ্রামে পিতৃভবনে জন্মগ্রহণ করেন। তাহার পিতার নাম ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, মাতার নাম ভগবতী দেবী । ঠাকুরদাসের সাত পত্র ও তিন কন্যার মধ্যে ঈশ্বরচন্দ্ৰ সৰ্ব্ব জ্যেষ্ঠ ছলেন। ঈশ্বরচন্দ্রের পিতামহের নাম রামজয় বন্দ্যোপাধ্যায় । ঠাকুরদাস বনো-" পাধ্যায় অতি সীমান্ত বেতনে কলিকাতায় চাকুরী করিতেন, পরিবারবর্গকে লইয়া কলিকাতায় বাস করা সম্ভব হইত না ; দরিদ্র হইলেও পুত্রের মুশিক্ষার জন্য ঠাকুরদাসের বিশেষ চেষ্টা ছিল । বাল্যকালের প্রথম কয় বৎসর ঈশ্বরচন্দ্র গ্রামেরই পাঠশালায় শিক্ষালাভ করিয়া মাত্র নয় বৎসর বয়সেই পিতার সহিত কলিকাতায় গমন করেন। অতি শৈশবকাল হইতেই তাহার অসাধারণ মেধার পরিচয় পাওয়া গিয়ুছিল । পিতার সহিত পদব্ৰজে কলিকাতায় আসিবার সময়ে পখিপার্শ্বস্থিত প্রস্তর খণ্ডে খোদিত দূরত্বজ্ঞাপক ইংরেজি সংখ্যা চিহ্নগুলি আয়ত্ব করিয়া ফেলেন ।
