ब्रेञ्चब्रञ्टल নিরাশ হয় নাই। মহাকবি মধুসূদন ইংলণ্ডে অর্থাভাবে যখন প্রায় অনশনে দিন যাপন করিতেছিলেন, তখন দেশীয় বন্ধুদের মধ্যে প্রথম বিদ্যাসাগর মহাশয়ের নিকটেই সাহায্যপ্রার্থী হন । বলা বাহুল্য কবির আশা অপূর্ণ থাকে নাই । তাহার মহৎ গুণাবলীর পরিচয় পাইয়া অনেক লোক কুটবুদ্ধিবশতঃ তাহার ক্ষতিও করিয়াছিল ; কিন্তু তিনি একদিনের জন্তও তাঁহাতে দুঃখিত হন নাই । স্বাস্থ্য লাভের জন্ত তিনি যখন সাওতাল পরগণার অন্তর্গত কৰ্ম্মাটারে বাস করিতে যাইতেন, তখন সাওতাল নরনারীদের ব্যবহারে জন্ত নানাবিধ বস্তু লইয়। যাইতেন । তাহদের পীড়ার সময়ে ঔষধ বিতরণ করিতেন । তাহার সহৃদয়তার সুযোগ গ্রহণ করিয়া কত Lলাক যে, তাহাকে আর্থিক বিষয়ে বঞ্চনা করিয়াছে, তাহার অন্ত নাই । কিন্তু তাই বলিয়া তিনি কোনও দিন, নিজ স্বভাববিরুদ্ধ কাজ করেন নাই । ১২৭২ সালের অব্দের অনাবৃষ্টি নিবন্ধন ১২৭৩ সালের প্রথম ভাগে দেশে এক মন্বস্তর উপস্থিত হয় । সেই সময়ে তিনি বীরসিংহ গ্রামে অন্নছত্র খুলিয়৷ বহু লোকের প্রাণরক্ষার ব্যবস্থা করেন । র্তাহার এই কার্য্যে গৰণমেণ্টও তাহাকে ধন্যবাদ জানাইয়া পত্র লিখেন । পূৰ্ব্বে বৰ্দ্ধমান অতি স্বাস্থ্যকর স্থান ছিল । বিদ্যাসাগর মহাশন্স বিশ্রাম লাভ ও জীবনী-কোষ \eşve স্বাস্থোন্নতির জন্য মধ্যে মধ্যে তথায় গমন করিতেন। পরে প্রাণান্তকর ম্যালেরিয়া রোগ যখন বৰ্দ্ধমানেও সংক্রামিত হইয়া, তথাকার মুখ ও স্বাস্থ্য বিধ্বস্ত করিতে লাগিল, তখনও তিনি নিজে তৎস্থানীয় লোকদের সুচিকিৎসার বিশেষ ব্যবস্থা করিয়া অনেকের জীবনরক্ষা করেন । পরবর্তীজীবনে ডাঃ মহেন্দ্রলাল সরকার মহাশয়ের নিকট হোমিওপ্যার্থী চিকিৎসার উপকারিত। সম্যক্ অবধারণ করিয়া, বিদ্যাসাগর মহাশয় ঐ প্রণালীর চিকিৎসার বিশেষ পক্ষপাতী হন । পল্লীগ্রামের দরিদ্র লোকদের মধ্যে বিতরণের জন্ত তিনি ঔষধ প্রেরণ করিতেন। নিজেও হোমিওপ্যার্থী চিকিৎসা বিষয়ক পুস্তকাবলী পাঠ করিয়া একজন উপযুক্ত চিকিৎসকের অভিজ্ঞতা অর্জন कन्नन । বাঙ্গালাদেশে মধ্যবিত্ত ভদ্রপরিবারে সাধারণতঃ একজন লোকের উপার্জনের উপরেই সকলেই নির্ভর করিয়া থাকে । সেই একজন লোকের মৃত্যু হইলে সকলেই নিঃস্ব হইয় পড়ে । এই বিষয় লক্ষ্য করিয়া মহারাজা স্যার যতীন্দ্র মোহন ঠাকুর, স্যার রমেশচন্দ্র মিত্র, প্রভৃতি বন্ধুগণের সহিত মিলিত হইয়া, তিনি হিন্দু পারিবারিক বৃত্তি ভাণ্ডার ( Hindu Family Annuity Fund) স্থাপন করেন । কয়েক ৰৎসর পরে