পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/৩৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ల83 প্রতিষ্ঠাতাদের কাহারও কাহারও সহিত মতান্তর হওয়াতে তিনি উহার সংস্রব পরিত্যাগ করেন । ইংরেজ গবর্ণমেণ্ট যখন গো-বীজ হইতে টীকা দেওয়ার ব্যবস্থা প্রচলন করিতে মনস্থ করেন, তখন ঈশ্বরচন্দ্র হিন্দু সমাজপতি নদীয়ার মহারাজ। শ্ৰীশচন্দ্র বাহাদুরের সাহায্যে ইংরেজি টীকা প্রচলনে সহায়তা করেন। ১৮৬৪ খ্ৰীঃ অব্দে বিদ্যাসাগর মহাশয় জাৰ্ম্মেণীর অন্তর্গত লিপজিক নগরে সমবেত মনস্বীমণ্ডলীর প্রদত্ত সম্মান fচহ্নে সম্মানিত হন । ঈশ্বরচন্দ্রের ধৰ্ম্মমত সাধারণ লোকের অমুষ্ঠিত কোনও এক পদ্ধতির অধীন ছিল না । অনেকে অনেক সময়ে তাহার ধৰ্ম্মমত জানিবার চেষ্টা করিয়াছেন । কিন্তু তিনি ধৰ্ম্ম বিষয়ে সহজে কাহাকে ও স্পষ্টরূপে নিজ অভিপ্রায় জানিতে দিতেন না। ডাক্তার অমূল্য চরণ বস্তু মহাশয়ের বিশেষ অনুরোধে একবার বলিয়াছিলেন “গীতার উপদেশ অনুসারে চলিলেই ভাল হয়।” ঈশ্বরচন্দ্রের একমাত্র পুত্র নারায়ণ চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ; ‘সাহিত্য’ সম্পাদক মুরেশচন্দ্র সমাজপতি মহাশয় তাহার দৌহিত্র ( জ্যেষ্ঠ কষ্ঠার পুত্র ) ছিলেন। তাহার পিতামাতা দীর্ঘকাল জীবিত থাকিয়া নানারূপ পারিবারিক সুখ ज८ख्ठांशं कब्रिग्रां शिग्नां८छ्न । ८अंश ভারতীয়-ঐতিহাসিক ঈশ্বরচন্দ্র জীবনে ঠাকুরদাস কাশীবাস করিতেন । পারিবারিক জীবনে মধ্যে মধ্যে র্তাহাকে বিশেষ নিকট আত্মীয়দের অবিবেচনার জন্ত বিশেষ মনোকষ্ট পাইতে হইয়াছিল। র্তাহার অনুজ দীনবন্ধু বন্দ্যোপাধ্যায় একবার সংস্কৃত যন্ত্র ও তৎসংলগ্ন পুস্তকগারের অংশের প্রার্থী হইয়া আদালতে মকৰ্দ্দম। উপস্থিত করেন। পরে উহt আপোসে মীমাংসা হইয়া ষায় । তাহার পারিবারিক জীবনের সর্বাপেক্ষ কষ্টকর বিষয় এই যে, একটি বিধবাবিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তিনি অতিশয় ক্ষুব্ধ হইয়া, চিরকালের জন্ত জন্মভূমি পরিত্যাগ করেন । বহু বৎসর পরে, অনেক কাতর অনুরোধে শেষে আবার বীরসিংহে গমন করিতে সম্মত হইয়াছিলেন, কিন্তু যাওয়া আর তাহার জীবনে ঘটে নাই ! বীরসিংহে গমন করিবার অাশা পরিত্যাগ করিয়া, তিনি মাতাপিতাকে পত্রদ্বারা সে বাসনা জ্ঞাপন করেন । অনুজগণকেও যথাযোগ্য পত্র লিখিয়। উপদেশাদি প্রদান করেন, এবং সকলকেই যথাসাধ্য আর্থিক সাহায্য দানের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। পুত্র নারায়ণচন্দ্র কোনও কারণে বহুদিন পৰ্য্যস্ত র্তাহার অশেষ বিরাগ ভাজন হইয়াছিলেন । তাহার মাত প্রথমে কাশীতে দেহরক্ষা করেন । পরে পিত। ঠাকুরদাসও তথায় পরলোক গমন করেন। পিতার মৃত্যুর সময়ে ঈশ্বরচন্দ্র