जैश्वब्रछटा কাশীতে উপস্থিত ছিলেন । সালের শেষ ভাগে তিনি নিজে গুরুতর ড়িত হইয় পড়েন, তাহার পূৰ্ব্বেই স্বাস্থ্য ভঙ্গ হইয়াছিল । বহু সুচিকিৎসকের যথাসাধ্য চেষ্টাতেও কোনও ফল লাভ হয় নাই । ১২৯৮ সালের ১৩ই শ্রাবণ মধ্য রাত্রিতে এই মহাপুরুষ মহাপ্রস্থান করেন । ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সব্বাঙ্গীন মহত্ত্ব সম্যক রূপে উপলব্ধি করিবার জন্ম কয়েকটি বিশিষ্ট ঘটনার উল্লেখ করা ৰাইতেছে । তদ্বারা তাহার চরিত্রের মহানুভাবত পরিস্ফুট হইবে । লোকের অধীন হইয়া চলা, কাহার ও তাবেদারী করা, কাহারও কৃপাদৃষ্টি লাভের আী কাজক্ষা মনে মনে পোষণ করা, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রকৃতির বিরুদ্ধ ছিল । তিনি চিরদিন দৃঢ়ভাবে আত্মসন্মান রক্ষা করিয়া চলতেন । সংস্কৃত কলেজের কার্য্য প্রণালী লইয়া তৎকালীন কাৰ্য্যাধ্যক্ষ ( Secretary ) রসময় দত্তের সহিত র্তাহীর মতান্তর হয় । তৎফলে তিনি আত্মসম্মান বিসর্জন দেওয়া অপেক্ষ, কৰ্ম্মত্যাগ করাই শ্রেয় মনে করিয়াছিলেন। বন্ধু বান্ধব, হিতাকাঙ্ক্ষীদের নানারূপ অনুরোধেও তিনি সঙ্কল্পচু্যত হন নাই । *আলু পটল বেচিব, মুদির দোকান করিব, তথাপি যে পদে সন্মান নাই, সে পদ গ্রহণ করিতে চাই ন৷ ” ইহাই > : እ ፃ জীবনী-কোষ vGAE ছিল সেই পুরুষসিংহের উক্তি এবং কাজ ও তদনুরূপ ছিল । পূৰ্ব্বে ইংলণ্ড হইতে উচ্চরাজ কাৰ্য্য প্রার্থী ইংরেজগণ এদেশে আসিয়া, এদেশীয় ভাষা সকল শিক্ষা করিয়া পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইলে, কার্য্যে নিযুক্ত হইতেন । অসমর্থ ও অনুত্তীর্ণ ব্যক্তিদিগকে দেশে ফিরিয়া যাইতে হইত । এই সকল কৰ্ম্মপ্রার্থী ইংরেজ যুবকদিগের পরীক্ষার ভার ঈশ্বরচন্দ্রের উপর অপিত ছিল। বহু অর্থব্যয় করিয়া কয় প্রার্থী যুবকগণকে এদেশে আগমন করিয়া, যদি অমুত্তীর্ণ হইয়। দেশে মিরিয়৷ যাইতে হইত, তাহা হইলে তাহাদিগের মন-ক্ষোভের সীমা থাকিত না । সেই জন্য ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রধান।ধাক্ষ মার্শেল সাহেব বিদ্যাসাগর মহাশয়কে পরীক্ষার আট অীটি ভাবট। একটু কম করিতে অনুরোধ করেন । তদুত্তরে যুবক ঈশ্বরচন্দ্র অধ্যক্ষ মার্শেল সাহেবকে স্পষ্ট ভাষায় বলিলেন, ‘উটি আমাকে দিয়ে হবে না । না হয় চাকুরী ছাড়িয়া দিল । তবুও আন্তায়ের প্রশ্রয় দিব না।’ বিদ্যাসাগর মহাশয় কোন ও সময়ে তারানাথ তর্কবাচস্পতির কৰ্ম্ম প্রাপ্তির সাহায্য করিতে প্রতিশ্রত হইয়াছিলেন। সংস্কৃত কলেজের ব্যাকরণের প্রথম অধ্যাপকের পদ শূন্ত হইলে, ঈশ্বরচন্দ্রকেই ঐ পদ গ্রহণ করিতে অনুরোধ করা
