উপেন্দ্রনাথ চালিত না হওয়ায়, তাহার জীবন সুফলপ্রস্থ হয় নাই। ইংরাজী ভাষায় তাহার বিলক্ষণ পারদর্শিত ছিল । বঙ্গাব্দের শ্রাবণ মাসে ৪৭ বৎসর বয়সে उँशद्ध भृङ्गा श्ख्न । উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় -- বঙ্গ ভঙ্গ আন্দোলনের সময়ে প্রসিদ্ধ বোমার মামলার রাজনৈতিক বন্দীরূপে ইনি পরিচিত। বি, এ, পৰ্য্যস্ত পড়িয়া প্রথমে শিক্ষকতা করেন । সেই সময় পূৰ্ব্বোক্ত মামলায় জড়িত হন। মুক্তি লাভের পর তিনি “আত্মশক্তি” নামে একখানি সাপ্তাহিক পত্র সম্পাদন ও প্রকাশ করেন । ১৩২৮-২৯ সালে "জাতের বিড়ম্বন৷”, “বৰ্ত্তমান সমস্ত।”, “ধৰ্ম্ম ও কৰ্ম্ম” প্রভৃতি অনেক গুলি গ্রন্থ প্রকাশ করেন । ইনি চন্দননগরের অধিবাসী ছিলেন । উপেন্দ্রনাথ সাউ, রায় বাহাদুর – যে সকল মহাত্ম। বাঙ্গাণা দেশে জন্ম গ্রহণ করিয়া, তাহদের কৰ্ম্ম শক্তি ও বিশাল হৃদয়ের পরিচয় দিয়া এদেশে অমর কীৰ্ত্তি রাখিয়া গিয়াছেন, রায় বাহাদুর উপেন্দ্ৰ নাথ সাউ তাঁহাদের অন্যতম । তাঁহাদের মত লোকের সম্বন্ধেই বলা যায়—“কুণং পবিত্রং জননী কৃতার্থ " যে সময়ে বাঙ্গালার নবাব আলী বর্দী খাঁ মহারাট্টাদের লুট পাটে অস্থির হইয়া, তাহীদের সহিত সন্ধি স্থত্রে আবদ্ধ হইতে বাধ্য হন, সেই দুযুগের ४७० २ জীবনী-কোষ Վ)ԳԵ সময়ে উপেন্দ্র নাথের পূর্ব পুরুষ মাধব রাম ও যাদব রাম নামক দুই সহোদর স্বীয় জন্ম স্থান নদীয়া জিলার অন্তৰ্গত ফতেপুর পরিত্যাগপূর্বক বহু কষ্ট ভোগ করিয়া ২১ পরগণার অন্তর্গত ধান্ত কুড়িয়া গ্রামে অtশ্রয় লাভ করিলেন । এই স্থানে আসিবার পূৰ্ব্বে ভ্রাতৃদ্বয়ের অণ্ঠতম ব্যাঘ্র কত্ত্বক নিহত হইয়াছিলেন । তাঁহাদেরই বংশধর পতিতচন্দ্র ভাগ্যান্বেষণে কলিকাত!! আসিয়া অতি কষ্ট্রে কিছু মূলধন সংগ্রহ পূর্বক চিনি, তিসি ও পাটের কারবার আরম্ভ করিলেন, সম্ভবতঃ বাঙ্গাল ১২৫. মাণের পূৰ্ব্বে । এতদিনে সৌভাগ্য লক্ষ্মীর শোভ দৃষ্ট তাহার উপর পতিত হইল । অদম্য উৎসাঙ্গ, অনন্ত সাধারণ কৰ্ম্মশক্তি, অনাবিল সাধুতার গুণে স্বীয় ব্যবসায়ে তিনি বিশেষ উন্নতি লাভ করিতে লাগিলেন । এই সময়ে ধা) কুড়িয়া দিবাসী তাহারই স্বজাতীয়, অন্ততম ব্যবসায়ী গোবিন্দচন্দ্র গাইন মহাশয় তাহার সহিত মিলিত হইলেন । এই উভয়ের সংযোগকে মণিকাঞ্চন যোগ বল যায় । ক্রমে র্তাহীদের ব্যবসায়ে িশেষ উন্নতি হইতে লাগিল। পতিতচন্দ্র আড়বেলিয়ার জমিদারদের নিকট হইতে ধান্ত কুড়িয়া ক্রয় করিলেন। তাহারই সুযোগ্য স্বনাম খ্যাত পুত্র উপেন্দ্র নাথ ১৮৫৯ খ্রী; অন্ধের ১ শুই জানুয়ার জন্ম গ্রহণ করেন। উপেন্দ্র
