পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/৩৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

xOH সালের ১১ই আষাঢ় এই সাধু পুরুষের নশ্বর দেহের অবসান হয় ।

  • উমেশচন্দ্র দত্ত—১৮২৯ খ্ৰীষ্টাব্দে ১৮ই জুন নদীয়া কৃষ্ণনগরে ইহার জন্ম হয়। পিতা দুর্গাদাস দত্ত পুত্রকে छूट्रे বৎসরের রাখিয়া লোকান্তরিত হইলে, দরিদ্র্য নিবন্ধন উমেশচন্দ্র বিদ্যাশিক্ষার্থ কৃষ্ণ নগরের তদানীন্তন ম্যাজিষ্ট্রেটের সাহায্য প্রার্থী হন । র্তাহারই অর্থানুকূল্যে পাঠ করিয়া উমেশচন্দ্র ১৮৪৯ খ্ৰীঃ আন্দে সিনিয়র স্কলারসিপ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। তৎপর নানাস্থানে শিক্ষকতা করিয়া কৃষ্ণনগর কলেজের অধ্যাপক ও পরে অধ্যক্ষ হইয়াছিলেন। তিনি প্রতিভাশালী ও বন্ধুবৎসল ছিলেন । ১৯১৬ খ্ৰীঃ অব্দে ২১শে জুন তিনি পরলোক গমন করেন ।

উমেশচন্দ্র বটব্যাল— জন্মস্থান হুগলি জেলার অন্তর্গত রামনগর গ্রাম । জন্ম ১৮৫২ খ্ৰী; অব্দের ১৬ই ভাদ্র । পিতার নাম দুর্গাচরণ বটব্যাল, মাতা প্রসন্নময়ী দেবী। শিক্ষা সমাপনাস্তে উমেশচন্দ্র ১৮৭৭ খ্ৰী: অব্দে ডেপুটী ম্যাজিষ্ট্রেট ट्न ! তিনি বিশেষ চেষ্টা করিয়া গিয়াছেন। তিনি প্রতিভা সম্পন্ন লোক ছিলেন । একাধারে তিনি সাহিত্যিক, দার্শনিক ও ঐতিহাসিক ছিলেন । পঠদ্দশায়ই তাহার প্রতিভার পরিচয় পাওয়া গিয়াছিল। ১৮৭৬ খ্ৰীঃ অব্দে ইনি প্রেম ভারতীয়-ঐতিহাসিৰ দেশের প্রাচীন ইতিহাস সংগ্ৰ হে উমেশচন্দ্র চাদ রায়চাঁদ বৃত্তি লাভ করিয়া দশ সহস্র টাকা প্রাপ্ত হন । এই প্রতিভাশালী বঙ্গ সন্তান মাত্র ৪৬ বৎসর বয়সে মাত পিতার জীবদ্দশায় ১৮৯৮ খ্ৰীঃ অব্দে ১ল। শ্রাবণ পরলোক গমন করেন। ভঁtহার রচিত গ্রন্থাবলীর নাম ‘সাংখ্য দর্শন’, ‘বেদ প্রবেশিকা’ এতবিবিধ সাময়িক পত্রিকায় বৈদিক প্রবন্ধাবলী, গৌরাঙ্গ চরিত লিখিত হইয়াছিল । তাহার বিনম্র স্বভাব সকলের চিত্তাকর্ষণ করিত । তনি কোনরূপ দুর্নীতির প্রশ্রয় দিতেন না ! বাহাড়ম্বর তিনি ভালবাদিত্তেন না । বৈদেশিক পরিচ্ছদে তিনি অনুরাগী ছিলেন না। উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় – তিনি ব্যারিষ্টার ড লিউ, সি, বানার্জি নামে সমধিক খ্যাত। ১৮৪৪ খ্রীঃ অব্দে ২৯শে ডিসেম্বর ইনি খিদিরপুরে জন্মগ্রহণ করেন । পিতা গিরীশচন্দ্র হাইকোর্টের একজন বিখ্যাত এটণী ছিলেন। উমেশ চন্দ্র বাল্যকালে পাঠে অমনোযোগী ছিলেন । থিযেটার করিয়াই সময় কটাইতেন । পুত্রের পাঠে অবহেলা দেখিয়া পিতা একজন বিখ্যাত ইংরাজ এটণীর অফিসে তাহাকে প্রবেশ করাইয়া দেন । পিতার পরম বন্ধু ইংরাজী ভাষাভিজ্ঞ গিরীশচন্দ্র ঘোষের নিকট যাইয়া উমেশচন্দ্র ইংরাজী ভাষায় পারদর্শিতা লাভ করেন। গিরীশচন্দ্রের দ্ব্যতীত