পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৭ বয়সে তিনি দণ্ডপুরীর মহাসঙ্ঘিকাচাৰ্য্য শীলরক্ষিতের নিকট বৌদ্ধধৰ্ম্মে দীক্ষিত হন । তিনিই তাহাকে অতীশ দীপঙ্কর ঐজ্ঞান উপাধি প্রধান করেন । তৎপর অতীশ সুবর্ণদ্বীপের প্রধান বৌদ্ধাচার্য্য চন্দ্রগিরির নিকট দ্বাদশ বৎসর অবস্থান করেন । অনন্তর বঙ্গাধিপতি নরপাল কর্তৃক অতীশ বিক্রমশীলা মহাবিহারের মহাস্থবির নিযুক্ত হইয়াছিলেন । তৎকালে অতীশ মগধের বৌদ্ধ সুধীবর্গের মধ্যে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ স্থান অধিকার করিয়াছিলেন এবং পঞ্চশত অৰ্হতের মহা সাঁজঘক নামক সম্প্রদায়ের তিনি সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন । সেই সময়ে তিববত রাজ হল;-লামা বে.দ্ধধৰ্ম্ম সংস্কারের জন্ত অতীশকে স্বীয় রাজ্যে আমন্ত্রণ করিয়া পাঠান । তিববতরাজ পত্র ও তৎসহ বৃহৎ এক খণ্ড সুবর্ণ উপটৌকন স্বরূপ প্রদান করিয়া তিব্বতে প পিণ করিবার নিমিত্ত প্রেরিত লোক দ্বারা প্রার্থন জানাইলে, অতীশ উপঢৌকন গ্রহণ না করিয়া, তিববত গমনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন । ইহাতে লাম। প্রেরিত বৌদ্ধ ভিক্ষু গিয়াংসন নিরতিশয় কাতর ভাবে ক্রনন করিতে লাগিলেন। অতীশ নৈরাপ্ত ক্ষুব্ধ ভিক্ষুকে যথাসাধ্য বুঝাইতে চেষ্টা করিলেন । কিন্তু তিব্বত রাজের আমন্ত্রণ গ্রহণ করিতে স্বীকৃত হইলেন না । গিয়াংসন তিব্বতে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিয়া রাজ ভারতীয়-ঐতিহাসিক অতীশ সমীপে ঘটনা বিস্তুত করিলেন রাজা অনুমান করিলেন যে সুবর্ণের পরিমাণ অধিক হইলে হয়ত অতীশের তিববত আগমনে আপত্তি থাকিবে না । তখন রাজ্যে সুবর্ণ খনি আবিস্কৃত হইয়াছিল। রাজা স্বয়ং স্বর্ণ সংগ্রহে গমন করিয়া পাশ্ববৰ্ত্তী শত্রুরাজাকর্তৃক বন্দী হন এবং বন্দী দশায় মৃত্যুমুখে পতিত হন। মৃত্যুর পূৰ্ব্বে ভাগিনেয় চ্যান চাবকে বলিয় যান যে, যদি অতীশের নিকট লোক পাঠী ও তবে আমার এই কথা গুলি তাহাকে লিখিয়া পাঠাইও । ‘বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্রচার কার্য্যের জন্ত এবং তাহারই জন্য সুবর্ণ সংগ্রহের নিমিত্ত চেষ্টা করিতে গিয়া তিববত রাজা হললামা গারলোগ রাজের হস্তে নিহত হইয়াছেন । অতএব পণ্ডিত মহাশয় যেন তাহাকে আশীৰ্ব্বাদ করেন।” চ্যানচাব মাতুল সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হইয়া নাগঃচার নামক একজন বিচক্ষণ পণ্ডিতকে অতীশকে আনয়ন উদ্দেশ্যে বহু পরিমাণ সুবর্ণ উপঢৌকন দিয়৷ ভারতে প্রেরণ করেন নাগচোরের নিকট হল-লামার সঙ্কল্পের কথা ও র্তাহার শোচনীয় মৃত্যুর কথা অবগত হইয়া, অতীশ তিববত যাইতে প্রতিশ্রুত হইলেন । . তিববত যাত্রার পথে অতীশের বহু করুণার ও আলোঁ শক্তির পরিচয় পাওয়া যায়। নেপাল রাজ অনন্তকীৰ্ত্তির দরবারে নৃপতিকর্তৃক