পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/৪০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এনিবেসাত্ত দেশের সর্বত্র তুমুল আন্দোলন উপস্থিত হয় । তৎফলে কিছুকাল পরেই তাহার মুক্তিলাভ করেন । মুক্তিলাভ করিয়া তিনি পুনরায় ‘নিউ ইণ্ডিয়ার' কর্তৃত্ব ভার গ্রহণ করেন । গবর্ণমেণ্টের দমনমূলক সকল প্রকার কার্য্যেরই তিনি অতি তীব্র সমালোচনা করিতেন ; কিন্তু মহাত্মা গান্ধী প্রবৰ্ত্তিত সত্যাগ্রহ এবং অসহযোগ আন্দোলনের সহিত র্তাহার সবিশেষ সহানুভূতি ছিল না । সেই কারণে পরে কংগ্রেসের সহিত ঘনিষ্ঠযোগ রক্ষা করিতে না পারিয়া, উদারČafé & Wo (National Liberal Federation ) সহিত যোগদান করেন। মণ্টে গু চেমসফোর্ড শাসন সংস্কার প্রবর্তিত হইবার পর শ্ৰীযুক্ত বেসান্তের আন্দোলনের ফলস্বরূপ ১৯২৫ সালে, কমন ওয়েলথ অল ইণ্ডিয়া বিল’ (Commonwealth of India Bill ) নামে একটী বিলের খসড়া রচিত হয় । উক্ত বিলে ভারতবর্ষকে পূর্ণ ঔপনিবেশিক অধিকার দেওয়া হইয়াছিল । ব্রিটীশ শ্রমিক দল এই বিলটা গ্রহণ করিয়ছিলেন এবং একজন শ্রমিকসদস্ত উহা প্রথমদফা আলোচনার জন্য পালিয়ামেণ্টে উপস্থিত ও করিয়াছিলেন। কিন্তু ইহার আর দ্বিতীয়দফা আলোচনা হয় নাই, সুতরাং বিলট বাতিল হইয়। যায় এবং খ্ৰীযুক্ত বেদান্ত রাজনৈতিক জীবনী-কোষ 808 ক্ষেত্র হইতে অবসর গ্রহণ করেন । সালে ডিসেম্বর মাসে তিনি থিয়ুসফি ক্যাল সম্মিলনে এক বক্তৃত করেন । ইহাই র্তাহার শেষ সাধারণ বক্তৃত । ১৯১০ খ্রীঃ অব্দে মন্দ্রিাজ নিবাসী এক ব্রাহ্মণ ভদ্রলোক তাহাঁর দুইটা অপ্রাপ্ত বয়স্ক পুত্রের সমুদয় দায়িত্ব স্বেচ্ছায় এনি বেসান্তের হস্তে সমপণ করেন এবং তিনি ও আনন্দচিত্তে তাহ। গ্রহণ করেন । কিন্তু মাত্র দুই বৎসর পরেই, বালকদ্বয়ের পিতার মনোভাপ পরিবর্তিত হয় এবং তিনি এনিবেশস্তিকে অভিভাবকত্ব হইতে বঞ্চিত করিবার জন্য, এক মেী কর্দম উপস্থিত করেন । মন্দ্রি জৈ হাইকোর্টের বিচারে তাহার পরাজয় হয় কিন্তু এনিবেসান্ত প্রিভি-কাউন্সিলে আপীল করিয়া নিজ অধিকার অক্ষুণ্ণ রাখেন । ঐ বালক দুইটার অন্ততম জে, কৃষ্ণমূৰ্ত্তি, পরে ‘তত্ত্ববিদ্যা সম্প্রদায়ের একজন নেতৃস্থানীয় হইয়াছিলেন । ১৯১৭ খ্রীঃ আন্দে কলিকা তাতে কংগ্রেসের যে অধিবেশন হয়, তিনি > x)○> ( Theosophical ) তাহার সভানেত্রীর পদে বৃত হন এবং ংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট রূপে ১৯১৮ খ্ৰীঃ আন্দে ভারতের নানাস্থানে পরিভ্রমণ করেন । ১৯১৫ সালে বোম্বাই নগরে কংগ্রেসের যে অধিবেশন হয়, তাহাতে তিনি ভারতের জন্য স্বtয়ত্বশাসন দাবী