পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/৪২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আড়বক দেশে চিকিৎসালয়, চিকিৎসা বিদ্যালয় প্রভৃতি পরিদর্শন করিয়৷ অভিজ্ঞতা লাভ করেন । তুরস্কের রাজধানীতে তিনি বিশেষ সমাদর প্রাপ্ত হন । ঐ সময়ে তিনি মিসরও পরিভ্রমণ করেন । তিনি চিকিৎসাশাস্ত্র সম্বন্ধে কয়েকখানি উৎকৃষ্ট গ্রন্থ রচনা করেন । দিল্লীতে ইউনানী মতে চিকিৎসা বিদ্যা শিক্ষার জন্য তিনি তিকিবয় কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন । উহ। তাহার জীবনের এক প্রধান কীৰ্ত্তি । ইউনানী ও আয়ুৰ্ব্বেদীয় মতের সংমিশ্রনে এক চিকিৎসা শাস্ত্র প্রণয়ন তাহার জীবনের এক চেষ্টা ছিল । ১৯১৮ সালে তিনি প্রকাগু ভাবে রাজনৈতিক আন্দোলনে যোগ দান করেন । ঐ বৎসরে দিল্লিতে কংগ্রেসের যে অ, ধলেশন হয়, তিনি তাহার অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতি ছিলেন । ১৯১৯ সালে পাঞ্জাবে রাজ নৈতিক আন্দোলন অতি গুরুতর আকার ধারণ করে । সেই সময়ে জনসাধারণের উপর তাহার অসাধারণ প্রভাব পরিলক্ষিত হয় । বস্তু তঃ তাহার ন্যায় স্থিরবুদ্ধি, এবং ধীর প্রকৃতি লোক জননায়ুক রূপে না থাকিলে, তখন পঞ্জাবের রাজনৈতিক অবস্থা আরও গুরুতর অবস্থায় উপস্থিত হইত। ১৯১ • সালে তিনি মহাত্মা গান্ধী প্রবর্তিত সত্যগ্রহ আন্দোলনে যোগদান করেন । मझांप्यू গান্ধীর কারাবাস কালে তিনি জীবনী-কোষ 8He জননায়করূপে অনেক গুরুতর রাজনৈতিক বিষয় পরিচালনা করেন। তিনি উদার মতাবলম্বী নেতা ছিলেন। হিন্দু ও মুসলমান, উভয় সম্প্রদায়ের উপরই তাছার অসাধারণ প্রভাব ছিল এবং তিনি বরাবরই তাচাদের মিলনকামী ছিলেন । ১৯২১ সালে আহম্মদাবাদ কংগ্রেসে তিনি সভাপতির পদ লাভ করেন । ১৯২৫ খ্রীঃ অব্দে স্বাস্থ্য ভঙ্গ হেতু তিনি সাময়িক ভাবে রাজনৈতিক আন্দোলন হইতে অবসর গ্রহণ করেন এবং স্বাস্থ্য লাভার্থ ইংলণ্ডে গমন করেন । কিন্তু তথtয় তাহt. স্বাস্থোর বিশেষ উন্নতি হয় নাই। দেশে প্রত্যাবর্তন করিয়া পুনরায় চিকিৎসা ব্যবসায়ে প্রবৃত্ত হন , ১৯২৭ সালের ডিসেম্বর মাসে দিল্লী নগরে তিনি পর লোক গমন করেন । আড়বক — হৃষ্টক আড়বক গৌতম বুদ্ধের গৃহী শিষ্যদের অন্ততম ছিলেন । যাহার। ভিক্ষুদিগকে র্তাহাদের ব্যবস্থার্য্য চারি প্রকার দ্রব্য প্রদান করিতেন, অtড়বক তাহদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ছিলেন । তদ্ভিন্ন তিনি সাতটা বিশেষ গুণেরও অধিকারী ছিলেন । অতিম্বন -- দশনামী সন্ন্যাসীরা বায়ান্নট মড়ি বা সম্প্রদায়ে বিভক্ত । ক একজন সিদ্ধ পুরুষ এক একটা মড়ি প্রতিষ্ঠা করেন । মহাত্মা আতম্ বন এইরূপ একটী মড়ির প্রতিষ্ঠাতা।