পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন পসিংহ করেন । তাহার নাম “সমঞ্জসা |” এই গ্রন্থ তিনি শ্ৰীচৈতন্ত মহাপ্রভুর নামে উৎসর্গ করিয়াছিলেন। বৈষ্ণব সমাজে বলদেব বিদ্যাভূষণ কৃত বেদান্ত স্থত্রের গোবিন্দ ভাষাই সমধিক প্রচলিত । শিরোমণির “সমঞ্জস” বৃত্তি ততদূর প্রসিদ্ধ নহে । অনুপসিংহ— বিকানরের রাজা অনুপসিংহ অীওরঙ্গজেদের একজন সেনাপতি ছিলেন । তিনি দীক্ষিণাত্তো আওরঙ্গজেবের সহিত যুদ্ধ করিতে গিয়াছিলেন । তাহারই বীরত্বে আদোনী সহর অধিকৃত হইয়াছিল। তথায় তৎপূৰ্ব্বে মুসলমান প্রবেশ করেন নাই । ব্রাহ্মণের তজ্জন্ত সমস্ত পুথি পত্র নদীর জলে বিসর্জন দিতেছিলেন । অনুপসিংহ তাহা বিকানীরের দুর্গে রক্ষণ করেন । রাজপুতানায় ইহার ন্যায় এতবড় পুস্তকালয় আর নাই | দক্ষিণ দেশ হইতে অনুপসিংহ ছত্রিশ ক্রোড় দেবমূৰ্ত্তি আনিয়াছিলেন। বিকানীরের দুর্গে অস্থাপি তাহাদের পূজা হয় । অনেক দেশের পণ্ডিত একত্রিত করিয়া তিনি একখানি প্রকাগু “অনুপবিলাস,” নামক স্মৃতি নিবন্ধ লিখাইয়াছিলেন । কাশীর প্রসিদ্ধ পণ্ডিত নাগোজী ভট্টকে স্বীয় রাজ্যে লইয়া গিয়া একখানি পুথি লেখান। রাজার তত্ত্বাবধানে শিবতাগুব তন্থের টীকা লেখা হয় । ( ২ ) মিথিলার রাজ কর্ণের পুত্র অনুপসিংহ জীবনী-কোষ 88 একজন বিদ্যোৎসাহী নরপতি ছিলেন । র্তাহারই আদেশে পণ্ডিত নীলকণ্ঠ শিবতাগুবীয়াঙ্ক-যন্ত্র-ব্যাখ্যা নামক প্রসিদ্ধ গ্রন্থ রচনা করেন । (৩) প্রতাপণ নামক স্থানের চৌহান বংশীয় রাজপুত নরপতি লক্ষ্মণ সিংহের তিনি অমুজ । ছিলেন । সিপাহী বিদ্রোহের সময়ে মি: হিউম (Hume) এটোয়ার শাসনকর্তা ছিলেন । এই সময়ে ত্ৰিশট কুলমহিলা ও বালক বালিকা তাহীর আশ্রয়ে ছিল । তৎকালে প্রতাপণের রাজা লক্ষ্মণসিংহ এবং তাঁহার ভ্রাতা অনুপসিংহ ও জয়সিংহ এই অসহায় ইউরোপীয় মহিলা ও বালক বালিকাদিগকে সঙ্গে লইয়া আগ্রীয় পৌছাইয়া 07न । অনুভূতি স্বরূপাচাৰ্য্য – তিনি আনন্দ গিরির বিদ্যাগুরু । তিনি সারস্বত স্বত্রের সারস্বত প্রক্রিয় নামক এক ব্যাকরণ, গৌড়পাদীয় মাও,কা ভাষ্যের টীকা, হায়দীপাবলীর উপর চন্দ্রিক টীকা এবং প্রমাণমালার উপর নিলন্ধ টীকা প্রভৃতি রচনা করেন। সম্ভবতঃ তিনি ত্রয়োদশ শতাব্দির শেষে ও চতুর্দশ শতাব্দির প্রথম ভাগে বিদ্যমনি ছিলে । অনুরুদ্ধ — ভগৰান গৌতম বুদ্ধের প্রধান শিষুদিগের অন্যতম । তিনি বুদ্ধদেবের মহানিৰ্ব্বাণ লাভের সময়ে তাহার নিকটেই উপস্থিত ছিলেন ।