পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমরসিংহ ঙ্গীরের সম্মুখেই উদরে ছুরিক প্রবেশ করাইয়। আত্মহত্যা করিলেন । তাহারই পুত্র মুসলমান ধৰ্ম্ম গ্রহণপূৰ্ব্বক মহববৎ খা নামে পরিচিত হইয়। জাহাঙ্গীরের প্রধান সেনাপতি হইয়াছিলেন । জাহাঙ্গীর তৃতীয় {ার মিবার আক্রমণের চেষ্টা করিলেন । এদিকে অমরসিংহ ও নিরস্ত ছিলেন না । তিনি ইতিমধ্যে আরও অনেকগুলি দুর্গ মুসলমানদের হস্ত হইতে অধিকার করিয়া লহলেন । এমন সময়ে সেনাদলের চল)ৰৎ ও শক্তাবৎ সর্দারের মধ্যে কে আগে সৈন্য চালনা করিবে, ইহ। লইয়। বিবাদ উপস্থিত হইল । এযাবৎ চনাৎ সর্দারের প্রথমে সৈন্তচালনা করিম আসিতে ছিলেন, এখন শক্তাবৎ সর্দারেরা প্রবল হইয়। ঐ অধিকার দাবী করেন । রাণ৷ অমরসিংহ ইহা মীমাংসার অন্ত উপায় নাই দেখির এক কৌশল অবলম্বন করিলেন । অন্তলা দুর্গ মুসলমানদের অধিকারে ছিল । তিনি বলিলেন--"যে দল আগে এই দুর্গে প্রবেশ করিতে পরিবে সেই দলই প্রথমে সৈন্ত চালনায় অধিকার পাইবে” । ইহার সুফল ফলিল । অন্তল৷ দুর্গ অধিকৃত হইল এবং চন্দাবৎ সর্দারের। যেমন পূর্বাবধি এই সম্মান পাইয়। আসিতেছিলেন এবার ও তাহারা সেই সন্মান লাভ করিলেন। কিন্তু শক্তবিং সর্দারের এই দুর্গ অধিকার করিবার সময়ের জীবন দান বড়ই চমক প্রদ ! জীবনী-কোষ ৬২ অন্তল দুর্গের লৌহ কবাট অসংখ্য লেহ শঙ্কুতে পরিপূর্ণ ছিল। সুতরাং কোনও হস্তী মস্তক দ্বার। ইহা ভঙ্গ করিতে পারিতেছিল না । এই অবস্থায় শক্তাবং সর্দার ঐ শঙ্কুতে স্বীয় পৃষ্ঠ স্থাপন করিয়৷ মাহুতকে তাহার দিকে হস্তী চালনা করিতে আদেশ দিলেন । মান্থত তাহর আদেশ অনুযারী হস্তী চালনা করিতেই কবাট ভাঙ্গিয়া চুর্ণ বিচূর্ণ হইয়া গেল এবং শক্তাবৎ সর্দারের মৃতদেহ ভূতলে লুষ্ঠিত হইল । সৈন্তশ্রেণী মহোল্লাসে দুর্গে প্রবেশ করিয়া মাগল সৈন্তকে বিনাশ করতে লাগিল । এইবীর ও সাম্রাট জাহাঙ্গীরের মোগলবাহিনী পরাজিত হইল । তিনি ভয় পাইলেন । তাঁহার মনে হইল মিবারপতিকে পরাজয় করিতে না পারলে তাহার মঙ্গল নাই । সেজন্ত এবার তিনি স্বায়ু পুৰ্ণ পারভেজকে সঙ্গে লইয়া স্বয়ং যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত হইলেন । ১৬১১ খ্ৰী: অব্দে আরাবল্লার ক্ষেমনগর গিরিবক্সে রাজপুতদিগের সহিত মোগলবাহিনীর যুদ্ধ আরম্ভ হইল ; পিশাল মোগল অনাকিনা কয়েকট রাজপুত সর্দারের ক্রিম সহ করিতে না পীরিয়। ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হইয়া গেল। ছত্রভঙ্গ : ইয়া মোগল সৈন্স চতুৰ্দ্দিকে পলায়ন করিতে লাগিল । রাজকুমার পারভেজ অতিকষ্টে শত্রুর কবল হইতে মুক্তি পাইলেন । সম্রাট জাহাঙ্গার ইহাতেও নিরস্ত না হইয়া