পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অযোধ্যনাথ নরপতি ছিলেন এবং পরে স্বাধীন নরপতি হন। অযোধ্যানাথ পণ্ডিভ—১৮৪০ খ্রী: অব্দে আগ্রাতে র্তাহার জন্ম হয় । তাহার পিতা পণ্ডিত কেদারনাথ সম্পদশালী ও সন্মানিত বণিক্‌ ছিলেন এবং কিছুকাল নবাব জাফরের মন্ত্রীত্ব করিয়াছিলেন । মেধাবী অযোধ্যানাথ প্রথমে আরবী ও পার্শি শিক্ষা করিয়া পরে ইংরেজী অধ্যয়ন করেন এবং অবশেষে আইন পরীক্ষোৰ্ত্তীর্ণ হইয়া এলাহাবাদে ওকালতী করিতেন। দেশের সকল প্রকার সৎকার্যে র্তাহার অনুরাগ ছিল । জাতীয় মহাসভার তিনি অন্ততম নেতা রূপে স্বদেশের কাজ করিয়াছেন। জনহিতকর কার্য্যে তিনি নিঃস্বার্থ ভা1ে আত্মনিয়োগ করিয়াছিলেন। র্তাহার ন্যায় দেশপ্রেমিক লোক সচরাচর দেখা যায় না । যুক্ত প্রদেশের ব্যবস্থাপক সভায় তিনিই প্রথম সভ্যরূপে মনোনীত হইয়াছিলেন । ১৮৯২ খ্ৰীঃ আবে (১২৯২ সাল) ৫২ বৎসর বয়সে এই জনপ্রিয় মনীষী মানবলীলা সংবরণ क८ब्रन । অযোধ্যানাথ পাকড়াশী—তিনি তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। সঙ্গীত রচনায় তিনি বিশেষ পারদর্শী ছিলেন । অযোধ্যাপ্রসাদ– তিনি ঝান্‌সির জীবনী-কোষ 6 ছিলেন । সিপাহী বিদ্রোহের সময়ে বিদ্রোহী সিপাহীরা রাজ্যে প্রবেশ করিলে রাণী অযোধ্য প্রসাদকে দিয়া কাপ্তান গর্ডনের নিকট বলিয়া পাঠাইয়াছিলেন যে, তিনি আদেশ পাইলে এই বিপদ কালে তাহীদের সাহায্যের জন্য ঠাকুর জাতীয় সৈন্য সংগ্ৰহ করিতে পারেন । কাপ্তীন গর্ডন উত্তর দিয়াছিলেন ‘আমির। আপনাদের সাহায্য গ্রহণের ইচ্ছা করিনা | আমাদের পিষয় না ভাবিয়া আপনার আত্মরক্ষার চেষ্টা করুন।’ ইহার কিছু কাল পরেই উন্মত্ত সিপাহারা ঝান্সীর সমস্ত ইউরোপীয় গণকে হত্যা করে | অযোধ্যারাম সেন— ১ ) ঢাকা জিলার অন্তর্গত বিলদায়িনীয়া গ্রামে লাল রামপ্রসাদ বাস করিতেন । তিনি তৎকালে বিক্রমপুর পরগণার একজন প্রসিদ্ধ ৰ্যক্তি ছিলেন । তাহার কনিষ্ঠ পুত্র রামগতি সেন একজন সুকবি ছিলেন। র্তাহার কন্যা আনন্দময়ীও পিতার কবিত্ব শক্তি ও পাfগুত্যের উত্তরাধিকারিণী হইয়াছিলেন । পয়গ্রাম নিবাসী অযোধ্যারাম সেনের সহিত ১৭৬১ খ্ৰীঃ অব্দে আনন্দময়ার বিবাহ হয়। অযোধ্যারাম সংস্কৃতে বিশেষ পারদর্শী ছিলেন । আনন্দময়ী স্বীয় খুল্লতাত জয়নারায়ণ সেনকে 'হরিলীলা গ্রন্থ রচনা কালে বিশেষ সহায়তা করিয়া রাণী লক্ষ্মীবাইএর একজন কৰ্ম্মচারী | ছিলেন । উক্ত গ্রন্থে আনন্দময়ীরও