পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓ® অৰ্জুনের মৃত্যু সময়ে তাহার পুত্ৰ হরগোবিদের বয়স এগার বৎসরেরও কম ছিল। সেই জন্য একদল শিখ তাহার ভ্রাতা পৃথীচ দিকে গুরু বলিয়া গ্রহণ করিলেন। কিন্তু অধিকাংশ শিখই, বালক হরগোবিন্দকেই গুরু বলিয়া মানিয়া লইলেন । ১৫৫৩ খ্ৰীঃ আন্দে অৰ্জ্জুনের জন্ম হয়, এবং ১৬০৬ খ্ৰীঃ অব্দে র্তাহার মৃত্যু হয়। (৪) উত্তর ভারতের চক্ৰবৰ্ত্তী সম্রাট হর্ষবৰ্দ্ধনের (অন্য নাম শিলাদিত) মন্ত্রী। সম্রাট হর্ষবদ্ধনের মৃত্যুর পর তিনি বলপূৰ্ব্বক থানেশ্বরের সিংহাসন অধিকার করিয়াছিলেন। ঐ সময়ে চীনপতি উয়াং হিউয়েন সি ভারতবর্য আক্রমণ করেন এবং অৰ্জ্জুনকে বন্দী করিয়া চীনদেশে লইয়া যান । সম্রাট হর্ষবৰ্দ্ধনের সহিত চীন সম্রাটের বিশেষ বন্ধুত্ব ছিল। চীন সম্রাট ইতিপূৰ্ব্বে ৬৪৩ খ্ৰীঃ অব্দে একবার দূতের দ্বারা হৰ্ষবৰ্দ্ধনকে উপহারাদি প্রেরণ করিয়াছিলেন এবং হর্ষ বৰ্দ্ধনও তদনুরূপ উপহারাদি প্রেরণ করিয়াছিলেন । ৬৪৬ খ্ৰীঃ অব্দে চীন সম্রাট আবার দূতসহ উপহার প্রেরণ করেন। কিন্তু র্তাহারা মগধে আসিবার পূৰ্ব্বেই হর্ষবৰ্দ্ধন মৃত্যুমুখে পতিত হন । অৰ্জুন হৰ্ষবৰ্দ্ধনের মৃত্যুর পরে থানেশ্বরের সিংহাসন অধিকার করেন এবং চীন দূতের সঙ্গীয় অশ্বারোহীদিগকে ও সৈন্তকে বধ করিয়া উপহার গ্রহণ ভারতীয়-ঐতিহাসিক অর্জন দাস করেন। দূত ও র্তাহার সহগামীগণ অতিকষ্টে পলায়ন করিতে সমর্থ হন। চীন সম্রাট ইহার প্রতিশোধ লইবার জন্য এক পরাক্রান্ত সৈন্য বাহিনী প্রেরণ করেন। তাহারাই অর্জুনকে পরাজিত ও বন্দী করিয়া চীনদেশে লইয়া যান। এই অৰ্জ্জুনই গৌড় বঙ্গের অধিপতি শশাঙ্ককে যুদ্ধে পরাজিত করিয়া দেশ হইতে বিতাড়িত করিয়৷ ছিলেন । (৫) কান্ত কুজের অধীশ্বর রাজপলি, গজনীর সুলতান মামুদের সহিত যুদ্ধে পরাজিত হইলে, সুলতান মামুদ তাহাকে আশ্রয় দিয়া স্বীয় রাজ্যে পুনঃ স্থাপন করিয়াছিলেন। চন্দেল্লরাজ গণ্ডের পুত্র বিদ্যাধরের আদেশে কহুপঘাতক বংশীয় অৰ্জ্জুন রাজ্যপালকে বধ করেন । অৰ্জ্জুনকোষ্ট- কাশ্মীরপতি ভিক্ষণচরের অন্যতম মন্ত্রী ও মল্লকোষ্টের বৈমাত্রেয় ভ্রাতা । মল্লকোষ্ট রাজ। সুস্সলের বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হইয়া বিদ্রোহী গর্গের পক্ষ অবলম্বন করেন । ইহাতে মুসল অতিমাত্র ক্রুদ্ধ হইয়া সুযোগ ক্রমে অর্জুনকোষ্টকে কারারুদ্ধ করেন এবং পরে তাহাকে শূলে আরোপিত করিয়া বধ করেন । অৰ্জুন দাস বা ক্ষেপাচাদ– তিনি একজন শিখ মহাপুরুষ ছিলেন । র্তাহার কার্য্যকলাপু বড়ই অদ্ভুত রকমের ছিল । তিনি যখন আপনাকে