2১৬৮ প্রদায়িনী সিদ্ধি স্বরূপিণীদেবী । মুনবর বিশ্বামিত্র তাহাকে লাভ করিবার জন্তষ্ট ঐ অরণ্য ঘোরতর তপস্যায় রত থাকিয় তাহার পীড়া উৎপাদন করিতেছেন। রাজা এইকথা শুনিয়া তাহাকে আশ্বাস প্রদানপুৰ্ব্বক তপস্তারত বিশ্বামিত্রর সন্নিধান উপস্থিত হইলেন এবং বলিলেন—“আপনার আর তপস্যায় প্রয়োজন নাই । আমিই আপনাকে বাঞ্ছিত ফল প্রদান করিব।” বিশ্বামিত্র হরিশ্চন্দ্রের বাক্যে অতিশয় ক্রুদ্ধ হইলেও তখন আর কোনও কথা বলিলেন না । পরে রাজা স্বপুরে প্রত্যাবৃত্ত হইলে, তিনি এক দানবকে শূকররূপ ধারণ করাইয়া, হরিশ্চন্দ্রের রাজ্যে প্রেরণ করিলেন। সেই শূকররূপী দানব হরি শ্চন্দ্রের রাজ্যে উপস্থিত হইয়া মহা উপদ্রব করিতে আরম্ভ করিল। রাজভৃত্য গণ কোনও উপায়েই তাহাকে নিবারণ অথবা বধ করিতে ন পারিয়া, রাজসমীপে নিবেদন করিল। তখন নৃপতি স্বয়ং তাহাকে বধ করিতে গমন করিলেন এবং সেই শূকরের পশ্চাদ্ধাবন করিতে করতে এক গহন কননে যাইয়া উপস্থিত হইলেন । তথায় বিশ্বা মিত্র মুনি এক ব্রাহ্মণের বেশে তাহার করুন " করশ্চন্দ্রর তখন এরূপ মোঃ সন্মুখে উপস্থিত হইলেন। হরিশ্চন্দ্র তাহকে অরণ্য হইতে নিষ্ক্রমণের উপায় ! জিজ্ঞাপ | রিলেন এবং ব ল েন যে জীবনী-কোষ--ভারতীয়-পৌরাণিক। ইষ্ট করেন, তবে তাহার রাজধানীতে গমন করিলেই তিনি প্রভূত ধনদান কfরবেন। অতঃপর রাজা হরিশ্চন্দ্র কপট বিশ্বামিত্রের নির্দেশে সেই অরণ্যস্থিত এক পুষ্করিণীতে স্নান করিয়া বিশ্বামিত্রকে পুনরায় বলিলেন—“আপনি যাহা ইচ্ছা করেন, বলুন, আমি তাহাই আপনাকে প্রদান করিব । তখন বিশ্বামিত্র,র্তাহার পুত্রের বিবাহোপলক্ষে রাজার নিকটে কিঞ্চিৎ ধন প্রার্থনা করি লন । হরিশ্চন্দ্র তাহাই দিতে প্রতিশ্রুত হইয়া মুনি প্রদর্শিত পথ অবলম্বন করিয়া, স্বরাজ্যে প্রত্যাবর্তন করিলেন । কিয়ংকাল পরে একদিন রাজা যখন যজ্ঞশালায় বেদীমধ্যে উপবিষ্ট ছিলেন, তখন বিশ্বামিত্র পুনরায় ছদ্মবেশে তৎসমীপে উপস্থিত হইয়। পূর্ব প্রতিশ্রুত ধন প্রার্থনা করিলেন । রাজ্য বিশ্বামিত্রকে জিজ্ঞাসা করিলেন— “আপনার কিপ্রার্থনা বলুন,তাং দানের অযোগ্য হইলেও আমি তাহা অাপ । নাকে প্রদান করিব ” তখন বিশ্বামিত্র রাজাকে বলি লেন, ‘ অপ’ন গজ, অশ্ব, রথ, রত্নাদি সমন্বত, সপ-রচ্ছদ এই সমুদয় রাজ্য আমার পুত্রকে প্রদান
- i
| ; s জন্মিয়াছিল যে, তিনি বিশ্বামিদের বাক্য শ্রবণ কৰিয়, ধিন্দুমাত্র বিচার না ক রয়াই ব লেন-- **আপনার প্রাধনা ব্রাহ্মণ ৰদি মজ্ঞার্থ ধন লাভ করতে মত সমুদয় প্রদান করিলাম।” বিশ্বা
