পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় পৌরাণিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ »२१७ চৈতন্য লাভ করিয়া রহগণ, পূর্বকৃত অশিষ্ট ব্যবহার ও বাক্যের জন্ত বারংবার ক্ষমা প্রার্থনাপূর্বক তাহার নিকট হইতে বিদায় লইলেন। ভাগ৫ঙ্ক-৪-১৪ বিষ্ণু-২য়-১৩-১৬ । ( ৮ ) ভৌত্যমন্থর অন্যতম পুত্র ভরত । মার্ক-১০০ । ভৌত্যমন্ত্র ও অনুগ্রহ দেখ । (৯)পুরুর বংশে ভরত ও তদনন্তর কুরু জন্মগ্রহণ করেন । অগ্নি-১৩ । (১০) শকুন্তলার প্রত্যাখ্যানকালে দুষ্মস্তের প্রতি এই দৈববাণী হইয়াছিল— “এই বালকটি আপনারই ঔরসজাত, অতএব যত্বপূৰ্ব্বক ইহার ভরণপোষণ করুন।” “ভরণ করুন” এই দৈববাণী হইয়াছিল বলিয়া কুমারের নাম ভরত হইয়াছিল। মহাভা-আদি-৯৫ । ( ১ । ) ভরত প্রভৃতি নরপতিগণ বৈবস্বত যমের সভায় উপস্থিত থাকিয় তাহার উপাসনা করিতেন । মহাভা-সভা-৮। (১২) রাজর্ষি ভরতের বিদর্ভ দেশীয়া তিন পত্নী ছিলেন । র্তাহাদিগের মধ্যে একজনের একটি পুত্র হইলে, রাজা তাহাকে দেখিতে যাইয়া বলিলেন “এ পুত্র আমার অনুরূপ নহে।” সেই সময় হইতে তাহদের যত পুত্র জন্মিল, সে সকলকে পাছে অননুরূপ বলেন এবং তাহাদিগকে ব্যভিচারিণী ভাবিয়া ত্যাগ করেন, এই আশঙ্কায় রাণীরা স্ব স্ব সন্তান বিনষ্ট করিয়া ফেলিতেন। এই রূপে বংশ ব্যর্থ হওয়ায় মহারাজ ভরত জীবনী-কোষ—ভারতীয়—পৌরাণিক । অনুরূপ পুত্ৰলাভার্থ মরুৎসোম নামক যাগ করিয়াছিলেন । তাহাতে মরুদগণ প্রসন্ন হইয়া,র্তাহার হস্তে ভরদ্বাজ নামক পুত্র সমর্পণ করেন। ভাগ-৯স্ক-২ • । (১৩) দুষ্মন্ত-তনয় রাজর্ষি ভরত দেবগণের উদ্দেশে যমুনা পুলিনে তিনশত, সরস্বতী তটে বিংশতি এবং গঙ্গাতীরে চতুর্দশ অশ্ব বদ্ধ করিয়া সহস্ৰ অশ্বমেধ এবং একশত রাজস্থয় যজ্ঞের অনুষ্ঠান করিয়াছিলেন । তৎকালে কোন নরপতি ভরতের ন্তায় কাৰ্য্যানুষ্ঠানে সমর্থ হন নাই । তিনি যজ্ঞবেদী বিস্তারপূর্বক, তাহাতে অসংখ্য অশ্ব বন্ধনপূর্বক যজ্ঞাবসানে মহৰ্ষি ককে পদ্ম-সহস্র অশ্ব প্রদান করেন । মহাভাশান্তি-২৯ । (১৪) রাজর্ষি ভরত, মহারাজ দশরথ প্রভৃতি ভূপালগণ বিধি অনুসারে গো-দান করিয়া স্বৰ্গলাভ করেন । মহাভা-অনু-৭৬ । (১৫) ভরত, রাম, নিমি, জনক প্রভৃতি নরপতিগণের মধ্যে কেহ কেহ সমুদয় কাৰ্ত্তিক মাস, কেহ কেহ বা ঐ মাসের কেবল শুক্লপক্ষে মাংসহার পরিত্যাগ করিয়াছিলেন । এইহেতু তাহদের সকলেরই উৎকৃষ্ট গতি লাভ হইয়াছিল। মহাভা-অনু-১১৫ (১৬) মহাভারতের অনুশাসন পর্বে ১৬৫ অধ্যায়ে উল্লিখিত রাজষিগণের মধ্যে ভরত একজন ( ১৭ ) মান্ধাতা, ধুন্ধুমার (অপর নাম কুবলাখ) হরিশ্চন্দ্র, পুরূরব, ভরত ও কাৰ্ত্তবীৰ্য্য, এই ছয়