পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় পৌরাণিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবনী-কোষ-ভারতীয়-পৌরাণিক । সম্পন্নদিগের অগ্রগণ্য মহাবীর জন্মগ্রহণ করিলেন",এই দৈববাণী হয়। সদ্যঃপ্রস্থত ভীম এক সময়ে মাতৃক্রেগড়ে সুপ্ত ছিলেন, এমন সময়ে কুন্তী দেবী ব্যাঘ্র ভয়ে ভীত হইয়া অঙ্ক স্থিত ভীমকে বিস্তৃত হইয়াই পলায়নের চেষ্টায় উখিত হইলেন। তাহাতে ভীম মাতৃক্রেগড়চু্যত হইয়া পৰ্ব্বতোপরি পতিত হন । ভীমের পৰ্ব্বত চূর্ণ ভীম বাল্যাবধিই অতিশয় তিনি একাকীই দুৰ্য্যোধনাদি শত ভ্রাতাকে নিগৃহিত বজ্ৰসম শরীরের অঘিাতে হইয়া যায় । বলিষ্ঠ ছিলেন । করিতেন। এই কারণে তিনি ধাৰ্ত্তরাষ্ট্র দিগের অতি অপ্রিয় ছিলেন । একদ ধৃতরাষ্ট্র ও পশুর পুত্রের সকলে ক্রীড়াকৌতুক করিবার জন্ত গঙ্গা তারবত্তী এক উদ্যানে গমন করেন । সেইখানে দুৰ্য্যোধন পরম মিত্রের ন্তার মিষ্ট বাক্য বলিতে বলিতে বিযমিশ্রিত মিষ্টান্ন ভীমকে আহার করিতে দেন । ভীম ঐ বিষাক্ত মিষ্টান্ন করিতে তথন সরল-পৃদয় ভক্ষণ করুিী। করিতে অচেতন হইয় পড়েন । জল ক্রীড়া দুৰ্য্যোধন তাহাকে লতাদ্বারা দৃঢ়রূপে বন্ধন করির গঙ্গ স্রেতে নিক্ষেপ করেন । ভীম জলমগ্ন হইয়া অচৈতন্ত অপস্থায় জলমধ্যস্থ নাগভবনে উপস্থিত হইয়া নাগকুমারদিগের পতিত হন । তাহতে নাগকুমারগণ ভীমকে Σ & Ψ) ক্রুদ্ধ হইয়া দংশন করিতে গাত্রোপরি [ >२8x আরম্ভ করেন। ঐরুপে নাগ-নষ্ট হওয়াতে তাহার দেহের মধ্যস্থিত বিষের তেজ লুপ্ত হইয়া গেল। তখন ভীম সংজ্ঞাপ্রাপ্ত হইয়া সৰ্পগণকে সংহার করিতে লাগিলেন । তখন ভীত श्ब्र নাগ কুমারগণ নাগরাজ বাসুকীকে সংবাদ প্রদান করে । বাসুকী আগমন করিয়া ভীমকে দেখিলেন এবং তাহাকে ভীম বলিয়া জানিতে পারিয়া, পরম সমাদরে গ্রহণ করিলেন । তৎপরে ভীম নাগ-গণকর্তৃক প্রদত্ত অমৃত পান করিয়া, আট দিবস তথায় নিদ্রাভিভূত রহিলেন । তৎপরে জাগরিত হইয়া তিনি ভ্রাতৃগণ সকাশে প্রত্যাগমন করিলেন । ভীমকে বধ করিবার এই প্রয়াস ব্যর্থ হইলে,দুৰ্য্যোধন অস্ত্রপরীক্ষণ প্রদানচ্ছলে গদাযুদ্ধ দ্বারা ভীমকে বধ করিবার চেষ্টা পান কিন্তু তাহাতেও সফলকাম হন নাই । বারণাবতস্থ জতুগৃহ হইতে পলায়নকালে ভীম মাতাকে স্কন্ধ দেশে, নকুল ও সহদেবকে ক্রোড় দেশে এবং যুধিষ্ঠির ও অর্জুনকে হস্তদ্বয়ে ধারণ করিয়া দ্রুতবেগে গমন করিতে লাগিলেন । পরিশেষে তাহারা সকলে এক সরোবরের তীরে উপনীত হন । সেই সরোবর-তীরে এক বিশাল বট-বৃক্ষে হিড়িম্ব নামক এক রাক্ষসও তাহার ভগিনী হিড়িম্বা রাক্ষসী বাস করিত । যখন কুন্তী ও অন্যান্ত চারি পাণ্ডব ক্লান্ত শ্রাস্ত হইয়া নিত্রা যাইতে