পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় পৌরাণিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবনী-কোষ-ভারতীয়-পৌরাণিক । দিবার জন্য ভীমকে অনুরোধ করেন । দ্রৌপদীর অনুরোধে ঐরূপ ফুলের সন্ধানে ভীম যেদিক হইতে ঐ ফুলটি উড়িয়া আসিয়াছিল, সেইদিকে যাত্র করিলেন। পথে বানররাজ হনুমানের সহিত র্তাহার দেখা হইল। ভীম হনুমানকে চিনিতেন না। তিনি তাহাকে সামান্ত একজন বানর বিবেচনায় অবজ্ঞাস্থচকভাবে কথা বলেন। কিন্তু পরে সম্যক্ পরিচয় পাইয়া অনুতপ্ত হন। ভীমের অনুরোধে হনুমান, যে মূৰ্ত্তি পরিগ্রহ করিয়া তিনি সাগর লঙ্ঘন করিয়াছিলেন, সেই মূৰ্ত্তি প্রদর্শন করেন। তাহার পর ভীম হনুমানের নিকট হইতে সেই সুগন্ধ পুষ্পের উৎপত্তি-স্থানের সংবাদ পাইয়া, সেই দিকে যাইতে লাগিলেন এবং পরিশেষে সেই পুষ্পের উৎপত্তির স্থান কুবেরের উদ্যানে যাইয়া উপস্থিত হইলেন। তিনি যখন সেই বাগানের ফুল চয়ন করিতেছিলেন, তখন কুবেরের অনুচর উদ্যান রক্ষকেরা তাহাকে নিষেধ করে । কিন্তু তিনি তাহাতে কর্ণপাত না করাতে, তাহারা কুবেরের নিকট সংবাদ প্রেরণ করে । ভীম যখন কুবেরালয়ে ছিলেন, তখন ভীমতনয় ঘটোৎকচ যুধিষ্ঠিরাদিকে তথায় লইয়া যান। র্তাহারা পুনরায় পূর্ব স্থানে ফিরিয়া আসিলে জটামুর নামক এক রাক্ষস দ্রৌপদীকে হরণ করিয়া লইয়া [ >२8७ যায়। ভীম জটামুরকে বধ করিয়া দ্রৌপদীর উদ্ধার সাধন করেন। ঐ কাম্যক-বনে অবস্থান কালেই একবার পাণ্ডবেরা সকলে ভ্রমণ করিতে করিতে বৈশ্রবণের পুরীতে উপস্থিত হন। সেখানেও অনেক যক্ষ, রাক্ষস প্রভৃতি ভীমের হস্তে নিধন প্রাপ্ত হয় । দ্বৈতবনে অবস্থান কালে ভীম একবার এক ভীষণ অজগর সর্প কর্তৃক আক্রান্ত হন । আয়ু-পুত্র নহ্ষ ব্রাহ্মণগণকে অবমাননা করার জন্তই অগস্ত্যের শাপে অজগর সপ-রূপ ধারণ করিয়া, ঐ স্থানে অবস্থান করিতেছিলেন। ভীম অশেষ চেষ্টা করিয়াও ঐ সপ-রূপী নহুষের আক্রমণ হইতে উদ্ধার পাইলেন না। পরে যুধিষ্ঠির সেই সৰ্পরূপী নহুষের বিবিধ প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর দিয়া ভ্রাতার উদ্ধার সাধন করেন। জয়দ্ৰথ দ্রৌপদীকে একাকিনী পাইয়া হরণ করিতে গেলে, ভীম ও অর্জুন তাহাকে পরাজয়পূর্বক দ্রৌপদীর উদ্ধার সাধন করেন। ভীম কেবল যুধিষ্ঠিরের আদেশেই জয়দ্রথকে প্রাণে বধ না করিয়া, ছাড়িয়া দেন । ভীম একবার যক্ষ-অধিকৃত সরোবরে জল আনয়নার্থ গমন করিয়াছিলেন । তিনি যক্ষের আদেশ উপেক্ষা করিয়া, জলে অবতরণ করিয়া, পঞ্চত্ন প্রাপ্ত হন। পরে যুধিষ্ঠির যক্ষের সমুদয় প্রশ্নের সম্যক উত্তর দিয়া তাহাকে পুনর্জীবিত করেন। অজ্ঞাতবাসের কাল