পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় পৌরাণিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3&t 8 J বিনীতভাবে ভীষ্মের সম্মুখে উপস্থিত হইৰেন । ভীষ্ম র্তাহাকে কহিলেন, “হে পার্থ, তোমার শরজালে আবৃত হইয়া আমার শরীর দগ্ধ হইতেছে । মৰ্ম্মস্থান সকল ব্যথিত হইয়াছে, মুখ পরিশুদ্ধ হইতেছে। আমি নিতান্ত আকুল হইয়াছি। তুমিই সমর্থ আমায় পানীয় প্রদান কর।” অৰ্জুন “যে আজ্ঞা” বলিয়া রথরোহণ পূৰ্ব্বক গাওঁীবের জ্যা আকর্ষণ করিলেন । অতঃপর ভীষ্মকে প্রদক্ষিণ করিয়া প্রদীপ্ত শরসন্ধান আমন্ত্রণ ও পার্জন্তাস্ত্র সংযোজনপূর্বক সকলের সমক্ষে ভীষ্মের দক্ষিণ পাশ্বে পৃথিবীকে বিদ্ধ করিলেন। অনন্তর সেই স্থান হইতে অমৃততুল্য, দিব্যগন্ধ, দিব্য স্বাদু অতি শীতল বিমল বারিধারা সমুখিত হইল। ভীষ্ম সেই অমুত-তুল্য জলপান করিয়া পরম পরিতৃপ্ত হইলেন এবং অশেষরূপে অৰ্জুনের প্রশংসা করিতে লাগিলেন । তৎপরে তিনি বারংবার দুর্যোধনকে সেই কুলক্ষয়কর যুদ্ধ হইতে নিবৃত্ত হইতে পরামর্শ দিলেন । দুর্য্যোধন তাহার বাক্যে বিশেষ প্রীতি লাভ করিলেন না। পরদিবস কর্ণ শরশয্যাশায়ী জীয়ের সমীপবর্তী হইলেন। ভীষ্ম छौक्नैौ-८कांक्-छब्रउँौञ्च-८गोब्रॉनिक ', তীয় বলিলেন, “যদি এই মুদারুণ বৈরভাব পরিত্যাগ করিতে ন পর, তবে দীনতা ও ক্রোধ পরিত্যাগপূর্বক সমুচিত সদাচারপরায়ণ হইয়া উৎসাহ ও শক্তি অনুসারে রাজা দুৰ্য্যোধনের কৰ্ম্ম সমাপন কর এবং ধর্শ্বযুদ্ধ করিয়া ক্ষত্রিয়গণের সমুচিত লোক-সকল লাভ কর। আমি সত্য কহিতেছি যে সন্ধি করাইবার জন্ত সাতিশয় চেষ্টা করিয়াছিলাম,কিন্তু সফলকাম হই নাই।” মহাভা-ভীষ্ম-৯৮, ১ •৮, ১০৯, ১১৯ –১২৩ ৷ কুরুক্ষেত্র সমরে জয়লাভ করিয়াও বহু নিকট আত্মীয় স্বজনদের মৃত্যুর কারণ হইয়াছিলেন বলিয়া যুধিষ্ঠিরের মনে অতিশয় অমুশোচমা উপস্থিত হয় । তজ্জন্ত যুদ্ধ লদ্ধ রাজ্য পরিত্যাগপূর্বক তিনি সন্ন্যাস লইতে মনস্থ করেন । তাহার অন্তান্ত ভ্রাতারা এবং বাসুদেব,বেদব্যাস প্রভৃতি হিতাকাঙ্খীরা তাহাকে নানারূপে প্রবোধ দিয়া পিতামহ ভীষ্মের নিকট সদুপদেশ লাভের জন্য প্রেরণ করেন। ভীষ্ম বাসুদেবের পরামর্শে যুধিষ্ঠিরের শোকপনদনের জন্ত শরশয্যায় শয়ান থাকিয়াই, তাহাকে নানাবিধ উপদেশ দিতে সন্মত হইলেন। তদনুসারে জিজ্ঞান যুধিষ্ঠিরকে ভীয় রাজধৰ্ম্ম, মোক্ষধৰ্শ্ব ও উহাকেও সেই ক্ষত্রিয়ান্তকারী যুদ্ধ | আপদ্ধশ্ব বিষয়ে বিস্তারিত উপদেশ দেন। হইতে প্রতিনিবৃত্ত হইতে পরামর্শ | সেই সমুদয় উপদেশে যুধিষ্ঠিরের মনের দিলেন। কিন্তু কৰ্ণ বিনীতভাবে " গ্লানি দূর হয়। (মহাতাশান্তি পৰ্ব্ব ও তাহাতে অসন্মতি জ্ঞাপন করিলে, অস্থশাসন পৰ্ব্ব) অমৰ্ত্তর স্বর্ষ্যের উষ্ণরায়ণ