পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় পৌরাণিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবনী-কোষ-ভারতীয়—পৌরাণিক । সংস্কার কার্ধ্যে নিযুক্ত ছিলেন। বাম- অবলম্বনপূর্বক পাষাণের স্তায় নিশ্চল ং ( ) পূৰ্ব্বে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হইয়াও ; থাকিয়া দিব্য সহস্ৰ বৎসর তৃগুতীর্থে $१७४] বিষ্ণু ইন্সের প্রার্থনায়, তৃগুর যজ্ঞ | তপস্ত করেন। গে পরিত্যাগ করিয়া দানবগণের সহিত যুদ্ধ করিতে যাম। তজ্জন্ত ভৃগু ক্রুদ্ধ হইয়া বিষ্ণুকে শাপ দেন যে, বিষ্ণু কলুীকৃত হইয়া দশবার জন্ম গ্রহণ করিবেন। পদ্ম-ভূমি-১২১ । (৫১) ব্ৰহ্ম-পুত্র ভৃগু গুণযুক্ত ব্রহ্মসম দ্বিজ ছিলেন। পদ্ম-ভূমি-১২২ ৷ ( ৫২ ) বরুণ-নন্দন তৃগু একবার স্বীয় পিভা বরুণদেবকে বুদ্ধি-শুদ্ধি-প্রদ পবিত্র উপায় জিজ্ঞাসা করেন এবং বরুণের উপদেশে গন্ধমাদনস্থ জটাতীর্থে গমন করিয়া তথায় স্নান করেন এবং তাহার ফলেই বুদ্ধি-শুদ্ধি প্রাপ্ত হইলেন। সেই শুদ্ধি বলে তাহার অজ্ঞান-রাশি দূর হইয়া গেল এবং তাহার অদ্বৈতবিজ্ঞান জন্মিল। স্কন্দ-ব্ৰহ্ম-সেতু-২• । (৫৩ ) বিরোচন-নন্দন বলি ইন্দ্ররাজ্য হরণ-মানসে শত অশ্বমেধ যজ্ঞ করেন । ঐ সকল যজ্ঞে ভৃগু হোতা হইয়াছিলেন। স্কন্দ-আব-অব-৬৩ । (৫৪) ভৃগু-কথিত ঔশনস পুরাণ ভবিষ্যৎমহাপুরাণের অন্তর্গত উপপুরাণ বলিয়। পণ্ডিতগণ বলিয়া থাকেন। স্কলা-আবরেব-১ । (৫৫) ভৃগুমুনি পুত্রার্থী হইয়া তুকুটেশ্বর তীর্থে শতবৰ্ষ তপস্তা করেন। স্কন্ধ-অব-রেব-১২৮। (৪৬) ৱক্ষার ধষ্ঠ মানস পুত্র তৃপ্ত নিরাহার ৗরী তাহা জানিতে পারিয়া শঙ্করকে তিরস্কার করিয়া বলেন —“আপনি কেন ঐ ব্রাহ্মণকে বর দিতেছেন না ? লোকে আপনাকে মে উগ্ৰকৰ্ম্মা বলে, তাহ। নিরর্থক নহে ।” তাহাতে শঙ্কর বলেন-"এই ব্রাহ্মণ অতিশয় ক্রুদ্ধস্বভাব এবং ঐ জন্তই তপস্তায় তাহার সিদ্ধিলাভ হইতেছে না । তিনি কিরূপ ক্রোধাম্বিত ব্যক্তি তাহা আমি তোমাকে দেখাইব ।’ এই বলিয়া তিনি স্বীয় বাহন বৃষকে বলিলেন, “তুমি যাইয়া ভৃগুর ক্রোধ উৎপাদন কর।” বৃষ শঙ্করের আদেশে নৰ্ম্মদাতারে উপস্থিত হইয়া শৃঙ্গ দ্বারা আঘাত করিয়া তপস্তারত ভৃগুকে নৰ্ম্মদা-সলিলে নিক্ষেপ করিল। ভৃগুর ক্রোধানল তাহতে উদ্দীপ্ত হইয়৷ উঠিল এবং তিনি শিখা, যজ্ঞোপবীত, উত্তরায় ও বসন সুসংবৃত করিয়া ব্ৰহ্মদণ্ডের ন্তায় দণ্ড গ্রহণ পূর্বক বৃষের বধসাধনার্থ তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ ধাবমান হইলেন । বৃষ ভৃগুর আক্রমণ হইতে রক্ষা পাইবার প্রয়াসে দ্বীপ হইতে দ্বীপান্তরে, সাগর হইতে সাগরাস্তরে ধাবিত হইতে লাগিল । ভৃগু ও দণ্ড হস্তে তাহার পশ্চাদ্ধাবন করিতে লাগিলেন। সপ্ত পাতাল, ভূলোকাদি লোক সমুয়ে গমন করিয়া