যুদ্ধ হয়। রাবণ ক্রোধে পৰ্ব্বত উত্তোলন ভ্রমণ করিতে করিতে, বৃহস্পতির পুত্র পূর্বক মীশ্বরকে আঘাত করিতে ব্রহ্মর্ষি কুশধ্বজের কন্যা বেদবতীকে উদ্যত, হইলে মহাদেব পদাঙ্গুষ্ঠ দ্বারা দেখিতে পান। বেদবতী বিষ্ণুকে গৰ্ব্বত চাপিয়া ধরিলেন। তাহাতে রাব- পতিরূপে পাইবার জন্ত, তপস্তায় ণের বুছে নিষ্পেষিত হইবার উপক্রম নিযুক্ত ছিলেন। পাপমতি রাবণ হইল। সেই কষ্টে রাবণ ভয়ানক চাৎ- তাহার কেশাকর্ষণপূর্বক অপমান কার করেন। এই জন্যই তিনি রাবণ করিলে, তিনি রাবণকে শাপ প্রদাননামে খ্যাত হন। অমাত্যগণের পরামর্শে পূর্বক অগ্নিতে প্রবেশ করিয়া প্রাণত্যাগ উপস্থিত বিপদ হইতে উদ্ধার পাইবার করিলেন । (রামা-উত্ত-১৭, দেবীভাজন্ত, রাবণ মহাদেবের স্তব আরম্ভ ৯ষ্কন্দ-১৬ । বেদবতী দেখ) । রাবণ তথ} করেন। মহাদেব তাহার স্তবে সন্তুষ্ট হইতে প্রস্থানপূর্বক উশীরবীজ নামক হইয়া, বর দিতে উপস্থিত হইলে, রাবণ দেশে উপস্থিত হইয়া মরুত্ত রাজাকে Solz, প্রার্থনা করিলেন—“আমার অবশিষ্ট জীবন যেন যথেচ্ছাচার ভাবে অতিবাহিত করিতে পারি এব° সৰ্ব্বপ্রাণী জয়ের জন্ত কোনও অস্ত্র আমাকে প্রদান করুন।” মহাদেব সস্তুষ্ট হইয় বলিলেন—“তোমার অবশিষ্ট জাবন । যথেচ্ছাচার ভাবেই যাপন করিতে । পরিবে, আর আমি এই সুবিখ্যাত । চন্দ্রহাস নামক মহাদীপ্ত গড়গও তোমাকে প্রদান করিলাম । কিন্তু ইহার প্রতি অবজ্ঞা-প্রদর্শন করিলেই, । এই স্থানেই রাবণের সহিত বৈরোচন ইহা অামার নিকট প্রত্যাগমন করিবে। রামা-উত্ত-১-১৬। (৩) মহাদেবের বরে রাবণ আরও দুর্দান্ত হইয়া উঠিলেন । পরাস্ত করেন । তৎপরে অযোধ্যায় প্রবেশ পূর্বক ইক্ষ্মাকু বংশীয় রাজা অনরণ্যের সহিত যুদ্ধ করেন। অনরণ্য রাবণ-হস্তে পরাজিত হইয়া শাপ দেন, “আমার বংশীয় দাশরথি তোমাকে সাহার করিবে ।” রাবণ তৎপরে যমকে যুদ্ধে পরাজিত করিয়া রসাতলে প্রবেশ করেন এব° কালকেয় বংশীয় দৈত্যদিগকে পরাস্ত করেন । এই সময়ে স্বায় ভগিনী স্পনখার স্বামী বিদ্যুজিহবকেও রাবণ বধ করেন। ললির সাক্ষাৎ হয় । ইহার পবে রাবণ স্বৰ্য্যলোকে গমনপূৰ্ব্বক, স্বৰ্য্যকে অনেক অনেক ক্ষত্রিয় রাজা তাহার হস্তে ; যুদ্ধে পরাজিত করেন। (রাম-উত্তনিধন প্রাপ্ত হইলেন। কেহ কেহ বা । ২৫) । ইহার পরেই রাবণের সহিত পরাজয় স্বীকারপূর্বক রক্ষ পাইলেন। মান্ধাতার ঘোরতর যুদ্ধ উপস্থিত হয়। একদা রাবণ হিমালয়ের কাননপ্রদেশে । তদশনে মহর্ষি পুলস্ত্য ও গালব তথার
