পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় পৌরাণিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৫৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

)Slテa জীবনী-কোষ—ভারতীয় পৌরাণিক । মহাসমারোহ সহকারে শিবের সহিত বায়ু-৫৪ । (৪৩) পুরাণাদিতে প্রধানতঃ পাৰ্ব্বতীর শুভবিবাহ ক্রিয়া সম্পন্ন হইল। চারি প্রকার প্রলয়ের বর্ণনা আছে। ব্ৰহ্মপু-৩৬। (৪২) সমুদ্র মন্থন করিতে প্রথম নিত্য প্রলয়। জগতে প্রতিদিন যে, করিতে ভয়ানক বিষ উদ্ভূত হইয়া, জীবনাশ হইতেছে, ইহাই নিত্য প্রলয়। দেবাস্বরগণকে আহান করিয়া বলিল, তৎপরে কল্প-অবসানে যে ভূত সংহার *হয় তোমরা আমাকে গ্রাস কর, হয়, তাহার নাম নৈমিত্তিক দ্বিতীয় প্রলয়। নতুবা আমিই তোমাদিগকে গ্রাস মহত্তত্ত্ব হইতে স্থলভূত সমুদয় জীবের করিব।” কিন্তু দেবামুরদিগের মধ্যে ক্ষয়, তাহাই তৃতীয় প্রাকৃত প্রলয়। কেঁহই সেই কালকূটকে ভক্ষণ করিতে এবং তত্ত্বজ্ঞানের উদয়ে তত্ত্বজ্ঞানীর যে সমর্থ হইলেন না। সেই ভয়ানক অবিদ্যার নাশ হয়, তাহাই চতুর্থ বিষের তেজে বিষ্ণুর দেহ কৃষ্ণবর্ণ আত্যান্তিক প্রলয়। নৈমিত্তিক প্রল"ইয়া গেল, অন্যান্ত দেবগণের মধ্যে য়ের পর, প্রাকৃত প্ৰলয় হয়। ঐ প্রলয় জিধিকাংশ মূৰ্ছিত হইয়া পড়িলেন, উপস্থিত হইলে ভগবান কালারি-রুদ্র কাহারও কাহারও প্রাণ বিয়োগও চরাচর জগত ভস্মীভূত করেন। অতঃ ছইল। তখন দেবাক্ষরগণ অনন্তোপায় পর পাৰ্ব্বতীকে অবলোকন করিয়া তিনি হইয়া, দেবাদিদেব শঙ্করের শরণাপন্ন মহা আনন্দে তাণ্ডব নৃত্য করিতে খইলেন এবং সেই কালকূট পান করিয়া থাকেন। এই প্রাকৃত প্রলয়ে ভগবান তাহাদিগের জীবন রক্ষা করিতে বলি- শিব ভূতগণের সহিত সকল পদার্থেব লেন। তাঁহাদের প্রার্থনায় শঙ্কর ধ্বংস করিয়া, নিজে একমাত্র অবস্থান তাহাদিগকে সাম্বন দিয়া সেই মহাভয়- করেন। সেই প্রলয় হইলে ব্ৰহ্মাদি কালকূট পান করিতে সন্মত হইলেন। দেবগণের আর স্বষ্টি হয় না। এক অতঃপর শঙ্কর বৃষারোহণ করিয়া সত্বর শূলপাণি শিবেরই ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও সমুদ্রতটে উপস্থিত হইলেন এবং বাম মহেশ্বর এই তিন শক্তি। শিব স্বয় হস্তে পাত্র ধারণ করিয়া সেই মহাভয়ঙ্কর এই শক্তি সকলের অপেক্ষ শ্রেষ্ঠ । কালকূট পান করিলেন। শিব সেই সৌর-৩৩। (৪৪) ব্ৰহ্মার আদেশে শিব বিষপান করিয়া, দেবামুরগণকে নির্ভর (রুদ্র) আত্মতুল্য গ্রজ স্বষ্টি করিতে করিলে, তাহারা আনন্দে নৃত্য করিতে আরম্ভ করিলে, ব্রহ্মা ভীত হইয়। লাগিলেন এবং পরে নানারূপ স্তোক- উহাকে ঐরুপ প্রজা স্থা করিতে বাক্যে তাঁহাকে প্রসাদিত করিয়া নিজ নিষেধ করেন। তখন শিব বলিলেন, নিজ স্থানে গমন করিলেন। মৎ-২৫.। “আমি বিরত হইলাম, এক্ষণে আপনি