ক্রুদ্ধ হইয়া, প্রমথগণকে বলিলেন, “তোমরা এই উদ্ধত বালককে সমুচিত শাস্তি প্রদান কর।” শিবের আদেশে প্রমথগণ একযোগে গণেশকে আক্রমণ করিলেন । তখন গণেশের সহিত শিবামুচরদিগের তুমুল সংগ্রাম উপস্থিত হইল এবং প্রমথগণ সকলে গণেশ-হস্তে পরাজিত হইয়া শিবের নিকটে সকল ঘটনা নিবেদন করিলেন । তখন শিব ব্রহ্মাকে বলিলেন যে, তিনি যেন যাইয়া গণেশকে সকল বিষয় বুঝাইয় শান্ত করেন এবং শিবকে গৃহে প্রবেশ করিতে যেন আর বাধা না দেন । দিগকে জগৎ সংহার করিতে আজ্ঞা দিলেন। তখন সমূহ বিপদ দেখিয়া, দেবগণ বিশেষরূপে পাৰ্ব্বতীর স্তব করিয়া তাহার প্রসন্নতা সম্পাদন করিলেন । অতঃপর শিবাদেশে প্রমথগণ উত্তর দিকে গমনপূৰ্ব্বক একটি একদন্ত বিশিষ্ট হস্তীর মস্তক ছেদন করিয়া, আনয়ণপুৰ্ব্বক শিবতনয় গণেশের স্কন্দদেশে যোজিত করিয়া দিলে, গণেশ পুনরায় জীবন লাভ করিলেন। শিব-জ্ঞান-৩২-৩৪ । (৮৯) স্বাক্টর আদিতে এক পরমাত্মা ভিন্ন অপর কিছুরই অস্তিত্ব ছিল না । সেই পরমাত্মা তাহা না হইলে গণেশের অশেষ হইতে প্রকৃতি ও পুরুষের উদ্ভব হয় । বিপদ ঘটবে। ব্রহ্মা শিবের আদেশে গণেশের নিকট উপস্থিত হইলে, গণেশ তাহাকে শিবানুচর বিবেচনায় তাহার শ্মশ্র উৎপাটনপূর্বক এক অর্গল লইয়া তাহাকে প্রহার করিতে উদ্যত হইলেন । ব্রহ্ম প্রাণভয়ে পলায়ন করিয়া শিবের | | নিকট উপস্থিত হইলেন । অনন্তোপায় হইয়া বিষ্ণু ও শিব অন্যান্য তথন দেবগণকে সঙ্গে লইয়া গণেশের বিরুদ্ধে । ঐ প্রকৃতি ও পুরুষ তপস্তার উপযোগী স্থান অন্বেষণ করাতে নিগুণ পরমাত্মা স্বীয় তেজোভূত পঞ্চক্রোশ ব্যাপী নগরী নিৰ্ম্মণপূর্বক তাহাদিগকে প্রদান করিলেন । তখন প্রকৃতি ও পুরুষ তথায় তপস্তায় নিযুক্ত হইলেন। সেই তপস্তাকালে তাহাদিগের গাত্রনির্গত স্বেদ হইতে জল-ধারা নিঃস্থত হইয়া সমস্ত ব্ৰহ্মাণ্ড প্লাবিত করিয়৷ অভিযান করিলেন এবং ঘোরতর যুদ্ধের ফেলিল। তাহ দেখিয়া নিগুণ শিব সেই পল শিব গণেশের মস্তক দেহহইতে জলরাশি প্লাবিত পঞ্চক্রোশ-ব্যাপিনী বিচ্ছিন্ন করিয়া ফেলিলেন। নারদ । কাশীকে নিজ ত্রিশূলাগে স্থাপন প্রমুখ iং এই সংবাদ দেবী পাৰ্ব্বতীর কর্ণগোচর হইলে, তিনি অতিশয় ক্রোধে অরিক্তলোচন হইয়া, সহস্ৰ সহস্ৰ শক্তিগণকে স্বজনপূর্বক তাহা সহিত নিদ্রামগ্ন হইলেন । করিলেন । বিষ্ণু তদুপরি প্রকৃতির কিয়ৎকাল পরে, তাহার নাভিপদ্ম হইতে পিতামহ ব্ৰহ্মা প্রাচুভূত হইয়ু, শিবের আজ্ঞা
