জীবনী-কোষ-ভারতীয়-পৌরাণিক । অপর সৎপাজ প্রাপ্ত হইলে পূৰ্ব্বোক্ত উদগ্রীব হইল। অতঃপর সেই তাপস শুষ্কপ্রদাতার পরিবর্তে তাহার সহিত পুনরায় হুঙ্কার করিলেন। জমমই বিবাহ দেওয়া যাইতে পারে। মহাভা- দেবপুর হইতে অঙ্গরাগণ নৃত্যগীত আহশী-৪৪ । করিতে করিতে তথায় উপস্থিত হইল । সত্যবাহ—বৈদিককালের একজন তৎসঙ্গে এক পরম জ্যোর্তিৰ্ম্ময় শিবঋষি । মুণ্ডক । অথৰ্ব্ব দেখ । লিঙ্গও সেইস্থানে আবিভূত হইল । সত্যবিক্রম–আস্তকল্পে সত্যবিক্রম এইসকল পরমাশ্চৰ্য্য ঘটনা অবলোকন নামে স্বৰ্য্যবংশীয় এক রাজা ছিলেন । করিয়া রাজা তাপসকে ঐ সকল রহস্তের শত্ৰুগণ-কর্তৃক হৃতরাজ্য হইয়া সত্য- কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন । তাপস bbs) e বিক্রম নরপতি বশিষ্ঠের আশ্রমে গমন করেন এবং তাঁহাকে যথোচিত বন্দনা করিয়া, কি উপায়ে তিনি পুনরায় নিজ রাজ্য লাভ করিতে পারিবেন, তদ্বিষয়ে উপদেশ প্রার্থনা করেন । বশিষ্ঠ ঋষি তাহাবে মহাকাল বনে যাইয়া তথায় অবস্থিত এক তাপসের নিকট পরামর্শ জিজ্ঞাসা করিতে বলিলেন । সত্যবিক্রম বশিষ্ঠের পরামর্শমঙ মহাকালবনে যাইয়া সেই তাপসকে অবলোকন করিলেন । সেই তাপসও রাজাকে দেখিয়া পরম সমাদর প্রদর্শন | করিয়া সহসা ভীষণ হুঙ্কার করিলেন । অমনি ভূমিতল ভেদ করিয়া পাঁচজন অতি পরমাসুন্দরী কন্যা উখিত হইল । তাহাদের মধ্যে এক জনের হস্তে এক কনকনিৰ্ম্মিত পীঠ ; একজনের হস্তে জলপূর্ণ ভৃঙ্গার ; দুইজন বীজনহস্ত। তাহার। সসম্মান সত্যবিক্রম রাজার দুই পাখে দণ্ডায়মান হইল এবং পঞ্চম কস্তা ঘূপতির পদদ্বয় প্রক্ষালণের নিমিত্ত বলিলেন যে ঐ সকল তাহার তপস্তার প্রভাবে সম্ভব হইয়াছে । তিনি আরও বলিলেন যে সেই জ্যোতিৰ্ম্ময় লিঙ্গের আরাধনা করিয়া ঐ রূপ অসামান্ত ক্ষমতা লাভ করিয়াছেন । এইকথা বলিয়৷ সেই তাপস পুনরায় এক হুঙ্কার প্রদান করিলেন এবং তখনই তাহার মুখ হইতে হুতাশন আবিভূ ত হইয়া চরাচর পরিব্যাপ্ত করিয়৷ ফেলিল । অতঃপর তাপস সেই অগ্নিজালা প্রশমিত করিয়া হুঙ্কর দ্বারা বামু-প্রবাহ স্বষ্টি করিলেন । তখন আর কিছুই দৃষ্টি গোচর হইল না । সত্যবিক্রম হতবুদ্ধি হইয়া চারদিকে দৃষ্টিপাত করিতে লাগিলেন । এমন সময়ে এক ভীষণ শব্দ হইল এবং প্রাকারাদি-পরিবৃত, সুবর্ণময় অট্টালিকাদি-সমন্বিত জন সংকুল এক মহানগরী প্রাচুভূত হইল । পুনরায় এক মহান শব্দ হইল এবং ছুই জন নারী দৃষ্টি গোচর হইল। তাছাদের একজন শুভ্ৰবস্ত্র, অপর জন কৃষ্ণবস্তু
