२०१8 জীবনী-কোষ-ভারতীয়-পৌরাণিক। হইলেন। মহর্ষিগণ কগুপাত্মজের এই অদ্ভূত কাৰ্য্য দর্শনে বিস্ময়াবিষ্ট হইয়া বলিলেন, "যেহেতু এই খগরাজ অতি গুরুভার গ্রহণ করিয়াও অবিচলিত চিত্তে গগনমার্গে উড় উীন হইল, তজ্জন্ত অস্তাবধি তাহার নাম হইল গরুড় ।” অনন্তর বৈনতেয় পিত্রাদেশে সেই বৃক্ষশাখা, জনমানবশূন্ত, নিরবচ্ছিন্ন তুষাররাশি সমাকীর্ণ এক পৰ্ব্বতের উপরে নিক্ষেপ করিবার জন্য প্রস্থান করিলেন এবং সেইরূপ এক স্থানে উপস্থিত হইয়া বৃক্ষশাখা ভূতলে নিক্ষেপ করিলেন। অতঃপর সেই পৰ্ব্বতোপরি গজকচ্ছপকে ভক্ষণ করিয়া ক্ষুন্নিবৃত্তি করিলেন। অনন্তর পক্ষিরাজ পুনরায় অমৃতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করিলেন । দেবগণ তাহ জানিতে পারিয়৷ মহাভয়ঙ্কর অস্ত্র সমবেত হইলেন। গরুড় তাহাদের সকলকেই যুদ্ধে পরাজিত করিয়া অমৃত লেন । সহিত র্তাহার সাক্ষাৎ হইল । অতিশয় প্রীত হইয়া তাহাকে বর প্রার্থনা করিতে বলিলেন । কশ্যপনন্দন বলিলেন উপরিভাগে অবস্থান করিতে বাসনা করি এবং অমৃত পান না করিয়াও जांमि श्रख द्र ७ अभद्र श्हे८ङ हेछ् যাইতেছেন। লেও তিনি ইহার বিন্দুমাত্র প্রদান করিবেন না। তবে ঐ অমৃত যখন বিনতার নিকটে রক্ষা করিবেন, তখন শস্ত্রাদি গ্রহণপূর্বক অমৃতরক্ষার জন্য । করি।” নারায়ণ গরুড়কে সেই বরই প্রদান করিলেন । অনন্তর খগরাজ । নারায়ণকেও বর প্রার্থনা করিতে বলিলে, দেবনারায়ণ কগুপ-নন্দনকে র্তাহার বাহন হইয়া রথের ধ্বজে অবস্থান করিতে বলিলেন । গরুড়ও: তাহাতে সন্মত হইলেন। মহাভাআদি-১৬, ২৩-৩৩ । (৩) অমৃত-হারী, গরুড়কে বজ্রপ্রহারে কাতর করিতে না পারিয়া ইন্দ্র যখন র্তাহার সহিত মৈত্রী বন্ধনে আবদ্ধ হইলেন, তখন গরুড় পুরন্দরকে বলিলেন যে, তিনি জননীর আদেশে অমৃত হরণ করিয়া লইয়। সুতরাং প্রার্থনা করি ইন্দ্র ইচ্ছা করিলে পুনরায় তাহ হরণ করিয়া লইয়া যাইতে পারেন। তখন ইন্দ্র সন্তুষ্ট হইয়। গরুড়কে বর প্রার্থন গ্রহণপূর্বক প্রত্যাগমন করিতে লাগিপথিমধ্যে দেবদেব নারায়ণের । তিনি । বৈনতয়ের অদ্ভুত পরাক্রম দর্শন করিয়া করিতে বলিলে, বিনতানন্দন, মহাভয় द्वे সপ সকল যেন তাহার ভক্ষ্য হয়, এ প্রার্থনা জানাইলেন । পুরন্দর সেই বরই প্রদান করিলেন । অনন্তর কশ্বপায়ুজ অমৃত সহ মাতৃ-সন্নিধানে উপস্থিত হইয়। সপগণকে বলিলেন, “আমি আপনার "আমি এই কুশের উপর অমৃত স্থাপন করিলাম, তোমরা স্নান, পূজা সমাপন করিয়া ইহা গ্রহণ কর।” নাগগণ গরুড়-বাক্যে হৃষ্ট হইয়া যখন স্নানার্থ
