পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অজ [ ७ ] অণীমাণ্ডব্য তাহাদিগকে সন্মোহন শরে পরাস্ত অণীমাণ্ডব্য-ব্রহ্মর্ষি বিশেষ। ইনি করেন। কিছুকাল পরে ইন্দুমতীর মৃত্যু হয়। স্ত্রীবিয়োগে অজ অতিশয় শোকাকুল হইয়া পুত্র দশরথকে রাজ্যভার দিয়া, অবশিষ্ট জীবন তপশ্চরণ পূৰ্ব্বক অতিবাহিত করিতে বনে গমন করেন । অজমীঢ়–চন্দ্রবংশীয় রাজাবিশেষ। বহু যজ্ঞাদি করিয়া ইনি অতি যশস্বী হইয়াছিলেন। অজামিল—পাষণ্ড ব্রাহ্মণ বিশেষ। নি অতি কুকৰ্ম্মান্বিত লোক ছিলেন। নিজ ভাৰ্য্যা ত্যাগ করিয়া জনৈক গণিকার সহিত দিবা রাত্রি অতিবাহিত করিতেন। তাহার গর্ভে ইহার আটট পুত্র হয়। কনিষ্ঠ পুত্র নারায়ণের প্রতি ইনি বড় স্নেহাসক্ত ছিলেন। মৃত্যুর পূৰ্ব্বে বিপ্র প্রিয়পুত্রকে “নারায়ণ”, “নারায়ণ” বলিয়া অনবরত ডাকেন। কথিত আছে যে পুত্ৰ নারায়ণকে ডাকিতে ডাকিতে সচ্চিদানন্দ নারায়ণের প্রতি ইহার মন আকৃষ্ট্র হয়। নারায়ণে মন নিবিষ্ট হওয়ায় ইহার মুক্তিলাভ হয়। অঞ্জনা--কুঞ্জর কপির কন্যা । ইহার সহিত সুমেরুর রাজা কেশরীর বিবাহ হয়। পবনদেবের বরে অঞ্জ আশ্রমের দ্বারদেশে বৃক্ষমূলে উপবেশন করিয়া মৌনাবলম্বন পূৰ্ব্বক তপস্তা করিতেন। একদা কয়েকজন তস্কর নগর হইতে দ্রব্যাদি অপহরণ করিয়া নগরপালদিগের দ্বারা তাড়িত হইয়া মাওব্যের আশ্রমে উপস্থিত হয়। তাহারা আশ্রমে দ্রব্যাদি গোপন করিয়া, লুক্কায়িত রহিল। নগরপালগণ তথায় উপস্থিত হইয়া ইহাকে তস্করদিগের বিষয় জিজ্ঞাসা করায় ইনি কোন উত্তর করিলেন না। তথন তাহারা আশ্রমে অপহৃত দ্রব্য পাইয়া তস্করদিগের সহিত মৌনাবলম্বী ঋষিকেও বিচারধীন করিল। বিচারে ইহার শূলের ব্যবস্থা হয়। ঋষি শূলে বিদ্ধ হইয় জীবিত রহিলেন । তখন রাজপুরুষের ইহাকে মুক্ত করেন. কথিত আছে যে ঋষি তৎপরে যমরাজের নিকট গিয়া নিজের শূল বেধের হেতু জিজ্ঞাসা করিয়া অবগত হন যে ইনি বাল্যে পতঙ্গের পুচ্ছদেশে তৃণ বিদ্ধ করিয়াছিলেন বলিয়া ইহার ঐক্লপ শাস্তি হইয়াছে । ব্রহ্মর্ষি তখন এই অন্যায় শাস্তিতে অসন্তুষ্ট হইয়া এই বলিয়া পাপের বয়স নিৰ্দ্ধারণ করেন যে চতুর্দশ বৎসরের পূৰ্ব্বে কেহ কোন পাপের ভাগী হইবে না। ঋষিবর ঐ অনু