ডিম্বক হইল। একদা দুৰ্ব্বাসা ঋষির কেীপীন চ্ছেদন এবং তাহাকে অপমান করে। তিনি কৃষ্ণকে সমুদায় জ্ঞাত করিয়া ইহাদের দমনের জন্য অনুরোধ করেন । ব্ৰহ্মদত্ত যজ্ঞ করিতে উদ্যত হইলে, ইহারা কৃষ্ণকে অবজ্ঞা করিয়া করদ বলিয়া তাহার নিকট কর চাহিয়া পাঠায় । অতঃপর কৃষ্ণের সহিত ইহাদের যুদ্ধ উপস্থিত হইলে, কৃষ্ণের যুদ্ধ হংস সহ করিতে না পারিয়া যমুনায় ঝাপ দেয়। তাহাকে আর উখিত হইতে না দেখিয়া ডিম্বক যমুনায় নিজ জীবন বিসর্জন করে । (হরি) তক্ষক—সর্পরাজবিশেষ। ইনি মহর্ষি কগুপের ঔরসে কন্দ্রর চতুর্থ তনয়। ইহঁার সহিত দেবরাজ ইন্দ্রের বন্ধুত্ব ছিল। ইনি খাণ্ডববনে বাস করিতেন। একদা নাগরাজ স্ত্রী ও পুত্র অশ্বসেনকে আবাসে রাখিয়া কুরুক্ষেত্রে গমন করিয়াছিলেন। এই সময় কৃষ্ণাৰ্জ্জুনের সাহায্যে অগ্নিদেব খাণ্ডব বন দাহ করায় ইহার স্ত্রী, পুত্র সহ পলাইবার চেষ্টা করিয়া অৰ্জু নের শরে নিহত হইলেন । অশ্বসেন ইন্দ্রের সাহায্যে রক্ষা পাই লেন | উত্তঙ্কমুনি গুরু দক্ষিণার জন্ত পৌষ্য রাজপ্রত্নীর কুণ্ডলদ্বযু আনিবার [ ৯৬ ] তক্ষক সময়, তক্ষক তাহা হরণ করেন। অতঃপর মুনি পাতালে গমন পূৰ্ব্বক তাহা প্রাপ্ত হইয়া নাগরাজের আচরণে কুপিত হইলেন। শৃঙ্গী নামক ঋষিকুমারের শাপ সফল করিবার মানসে, তক্ষক হস্তিনাপুরে গমন করেন। পথে কাশ্যপ নামক ব্রাহ্মণের সহিত ইহার সাক্ষাৎ হয় । তিনি মন্ত্রবলে পরীক্ষিৎ রাজাকে জীবিত করিতে অভিলাষ প্রকাশ করেন। পরীক্ষাস্বরূপ ইনি একটা বৃক্ষ দংশন করিবামাত্র শুষ্ক হইলে, তিনি মন্ত্র বলে তাহ সজীব করেন । ব্রাহ্মণ অর্থলোভী জানিতে পারিয়া, ইনি র্তাহাকে অর্থ দ্বারা তুষ্ট করিয়া হস্তিনাপুরে গমনে প্রতিনিবৃত্ত করিলেন। অতঃপর অতি সূক্ষ্ম দেহ ধারণ করিয়া ফলের মধ্যে অবস্থান পূর্বক পরীক্ষিতের নিকট উপস্থিত হইলেন। রাজা ভক্ষণার্থ সেই ফল চ্ছেদন করিলে, ইনি তাহাকে দংশন করিয়া শমন সদনে প্রেরণ করেন । মহারাজ জনমেজয় হিংসার বশবৰ্ত্তী হইয়া পিতৃহন্ত তক্ষক সহ সৰ্পকুল নিৰ্ম্মল করিবার জন্য সর্পযজ্ঞের অনুষ্ঠান করেন ৷ তক্ষক ভয়ে ইন্দ্রের শরণাপন্ন হইলেন। কিন্তু ইন্দ্র আত্মরক্ষার্থ ইহঁাকে ত্যাগ করিতে বাধ্য হইলে, ইনি অভূি:
