তুলসী s দেখিয়া তপোভঙ্গ করিয়া তাহার ভাৰ্য্যা হইবার বাসনা প্রকাশ করেন । তিনি দারপরিগ্রহে বিরত হইয়া তপস্তা করিতেছিলেন সুতরাং বিবাহে অসন্মত হইলেন । ইহঁাকে উপেক্ষা করায়, ইনি র্তাহাকে অভিসম্পাত করেন যে র্তাহার বিবাহ করিতেই হইবে । তিনি ইহঁাকে এই শাপ প্রদান করেন যে ইনি অসুরের জায়া হইবেন। অতঃপর তুলসী দেবীর সহিত শঙ্খচূড় অসুররাজের পরিণয় হয়। ইহঁারা বহুকাল সুখে বাস করেন। তদনন্তর দেবতাদিগের সহিত অসুররাজের যুদ্ধ উপস্থিত হইল। তখন সাধবী তুলসী স্বামীর জয় কামনায় বিষ্ণুর আরাধনায় প্রবৃত্ত হইলেন। তজ্জন্ত স্বয়ং মহাদেবও শঙ্খচুড়কে বিনাশ করিতে অসমর্থ হইলেন । অনন্তর বিষ্ণু অসুরের রূপ ধারণ পূর্বক ইহার নিকট গমন করিলে, অসুর নিহত হয়। তুলসী সহমৃতা হইলে, র্তাহার কেশ হইতে পবিত্র তুলসী বৃক্ষের উৎপত্তি হয়। ( ব্রহ্ম ) তুলাধার—সাধু পুরুষবিশেষ। ইনি কাশীতে বাস করিতেন । ধৰ্ম্ম ১০১ ] ত্রিপুর র্তাহাকে মোক্ষপদ প্রাপ্তির বিষয় উপদেশ দিয়াছিলেন। (মহt) ত্ৰিজট{—রাক্ষসীবিশেষ। রাবণ এই রাক্ষসীকে সীতার রক্ষণে নিযুক্ত করে। সীতার প্রতি আসক্ত হইয়৷ তাহার পক্ষপাতিনী হয় এবং সাধ্যানুসারে তাহার সাস্তুনা ও শুশ্রুষা করিত । (রামা) ত্ৰিত—মহর্ষি গৌতমতনয়। তপস্যায় ইনি বিশেষ উন্নতি লাভ করিয়াছিলেন। ইহঁার ভ্রাতৃগণ ইহাকে পিতার দ্যায় মন্ত করিতেন। কথিত আছে যে ইনি একদা ভ্রাতৃদ্বয় একত ও দ্বিতের সহিত যজ্ঞার্থ পশু অহিরণে গমন করেন । 'পগু সংগ্ৰহ হইলে, সকলে আশ্রমে প্রত্যাগমন করিতেছিলেন । পশুর লোভে ভ্রাতৃদ্বয় ইহঁাকে বনে ত্যাগ করিয়া প্রস্থান করেন। বৃক দর্শনে ইনি ভীত হইয়া পলায়নপর হইয়া এক কুপে পতিত হন। কথিত আছে যে ইনি সেই খানেই সোমযাগ আরম্ভ করিলেন। তখন দেবতারা তুষ্ট হইয়া ইহঁাকে উদ্ধার করেন। ইহঁার শাপে একত ও দ্বিত বৃকরূপ ধারণ করিয়া বনে গমন করেন। (মহ) মার্গে ইহার বিশেষ উন্নতি হইয়া ত্রিপুর—ময়দানব নিৰ্ম্মিত স্বর্ণ, ছিল । মুনিবর জাজলি ইহার নিকট উপস্থিত হইলে, ইনি রৌপ্য, ও লৌহের পুরত্রয়। এই সকল পুরে অস্বরগণ বাস করিত ।
