পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দমন ] ه ه د [ দমন—ঋষিবিশেষ । ইহার বরে বিদর্ভরাজ ভীম, দম প্রভৃতি পুত্র এবং কন্যারত্ব দময়ন্তীকে প্রাপ্ত হন। মুনিবরের প্রসাদে জন্ম বলিয়া পুত্রকন্তরি নাম ইহার নামামুসারে রক্ষিত হয় । (মহ) দময়ন্তী—মহারাজ নলের দমন ঋষির বরে বিদর্ভরাজ ভীমের ঔরসে ইহঁার জন্ম হয়। বয়ঃক্রমের সহিতইহঁার রূপগুণের বৃদ্ধি পাইতে লাগিল। ক্রমে ইনি অদ্বিতীয় রূপবতী ও গুণবতী মহিলা বলিয়া বিদিত হইলেন। আলৌকিক রূপগুণের সংবাদে মহীপতিগণ ইহঁর পাণিগ্রহণে উৎসুক হইলেন । নিষধাধিপতি মহারাজ নল, রূপগুণের প্রশংসা শ্রবণে দময়ন্তীর প্রতি আসক্ত হইলেন। ইনিও রূপগুণবলবীৰ্য্যসম্পন্ন নলরাজের যশঃসৌরভে মুগ্ধ হইয়া র্তাহার প্রতি অনুরাগিণী হইলেন। পরস্পরের গুণানুবাদ সৰ্ব্বজনমুখে সতত শ্রবণ করিতে করিতে উভয়ের প্রতি উভয়ের অনুরাগ বৰ্দ্ধিত হইতে লাগিল । কথিত আছে ষে একটী কামচারী মরাল ইহঁদের পূৰ্ব্বক পতিভাবে বরণ করিলেন ;

  • , কিন্তু মনোভাব গোপন রাখিলেন ।

দময়ন্তী তৎকালীন প্রথানুসারে বিদর্ভরাজ দময়ন্তীর স্বয়ম্বর ঘোষণা করিলেন। নানা দিগ দেশ হইতে নৃপতিবৃন্দ কুণ্ডিন নগরে আগমন করিতে লাগিলেন। মহারাজ নলও স্বয়ম্বর সভায় উপস্থিত হইবার জন্য যাত্রা করিলেন। কথিত আছে যে নারদের মুখে দময়ন্তীর রূপগুণের সংবাদ শ্রবণে ইন্দ্র, যম, বরুণ, এবং অগ্নিদেব কন্যারত্ন প্রাপ্তির আশায় বিদর্ভদেশে প্রয়াণ করেন । র্তাহারা পথে নলরাজের সাক্ষাৎ পাইয় তাহাকে দময়ন্তীর নিকট দূতরূপে প্রেরণ করেন । ইন্দ্রের ররে অন্যের অদৃশু হইয়া, তিনি দময়ন্তীর আগারে প্রবেশ পূৰ্ব্বক দেবতাদিগের সন্দেশ প্রদান করিলেন । দময়ন্তী নলরাজের পরিচয় পাইয়া অতীব সুখী হইলেন এবং তাহার অলৌকিক রূপে এবং সত্যপালনে মোহিত হইয়া পূৰ্ব্বাপেক্ষ তাহার পক্ষপাতিনী হইলেন। অতঃপর র্তাহাকে বলিলেন “ আমি আপনাকে পূৰ্ব্বেই পতিত্বে বরণ করিয়াছি। এখন দেবরাজ ইন্দ্র, ধৰ্ম্মরাজ যম, জলাধিপ বরুণ, অথবা তেজোধিপ অগ্নিদেবকে পতিত্বে বরণ করিলে আমি ব্যাভিচারিণী হইব । অতএব স্বয়ম্বর সভায় আমি আপনাকেই বরণ করিব।”