পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দময়ন্তী তদনন্তর নলরাজ লোকপালদিগের নিকট আগমন পূর্বক দময়ন্তীর উত্তর যথাবৎ জ্ঞাপন করিলেন। দেবগণ দময়ন্তীকে ভূয়োভূয়: প্রশংসা করিয়া স্বয়ম্বর সভায় নলের রূপ ধারণ করিয়া উপস্থিত হইলেন। দময়ন্তী সভায় গমন পূর্বক নলাকৃতি পাচজন পুরুষ দেখিলেন । তখন দেবতাদিগের উদ্দেশ্রে প্রণাম করিয়া তাহদিগকে ছায়া-বিহীন, স্বেদরহিত, নির্নিমেষ-লোচন, অম্লান-মাল্যধারী ও ভূমি স্পর্শ ব্যতিরেকে অবস্থিত দেখিতে পাইলেন। তখন ইনি পুণ্যশ্লোক নলরাজের গলদেশে বরমাল্য অর্পণ করিলেন। দেবগণ ইহার আচরণে অতীব সন্তুষ্ট হইয়া প্রস্থান করিলেন । দময়ন্তীর আশায় আশান্বিত কলির সহিত দেবতাদিগের সাক্ষাৎ হয়। দেবতাদিগকে উপেক্ষা করিয়া নলরাজকে দময়ন্তীর বরণ সংবাদে কলি কুপিত হইলেন এবং দেবতাদিগের নিবারণ সত্বেও ইহঁদের অনিষ্টের চেষ্টায় রত রছিলেন । দময়ন্তী নলরাজের সহ সুখে নিষধ রাজ্যে বাস করিতে লাগিলেন। ইহঁর গুণে সকলে বাধ্য হইল । ইহার গর্ভে ইন্দ্রসেন নামে তনয় এবং ইন্দ্রসেনা নামী তনয়ার [ ১০৬ ] দময়ন্তী জন্ম হইল। দ্বাদশ বৎসর দময়ন্তী সুথে অতিবাহিত করিলেন। অতঃপর ছিদ্র পাইয়া কলি নলরাজের শরীরে প্রবেশ করিয়া র্তাহাকে ভ্রাতা পুষ্করের সহিত অক্ষত্ৰীড়ায় নিযুক্ত করিলেন । ক্রীড়াসক্ত হইয়া যথাসৰ্ব্বস্ব অপহৃত হইতে দেখিয়া, দময়ন্তী স্বামীকে প্রকৃতস্থ করিবার জন্য বারম্বার চেষ্টা করিয়া বিফল মনোরথ হন। অনন্তর বাষ্ণেয় সারথির সহিত ইন্দ্রসেন ও ইন্দ্রসেনাকে পিতৃভবনে প্রেরণ করিয়া ঘটনাচক্রের অধীন হইয়া রহিলেন । নলরাজ রাজ্যাদি সৰ্ব্বস্ব হৃত হইলে, দময়ন্তী তাহার সহিত এক এক বস্ত্র পরিধান করিয়া নগরের বহিঃপ্রদেশে গমন করিলেন । পুষ্করের শাসনে ইহঁাদিগকে কেহ আহার বা আশ্রয় প্রদান করিল না । ইহঁারা ত্রিরাত্র উপবাসী থাকিয়া বনে গমন করিলেন । পক্ষী ধরিতে গিয়া নলরাজ পরিধেয় বস্ত্র বিহীন হইলে, দময়ন্তী স্বীয় বস্ত্রের অৰ্দ্ধাংশ তাহাকে প্রদান পূৰ্ব্বক দুই জনে একবস্ত্র পরিধান করিলেন। নল দময়ন্তীকে বিদর্ভের পথ প্রদশন করিয়া তথায় যাইতে অনুরোধ করিলেন। পিতৃভবনে মুখে থাকা অপেক্ষা পতিসহ বনবাস ইনি শ্ৰেয়ঃ জ্ঞান করিলেন। স্বামীকে