দময়ন্তী সংবাদসহ নলরাজের অনুসন্ধানে দুত সৰ্ব্বত্র প্রেরিত হইল। অযোধ্যা হইতে প্রত্যাগত দূত ইহঁার সাঙ্কেতিক বচনের উত্তর আনয়ন করে। তখন ইনি জানিতে পারেন যে করিতেছেন। পরে সুদেবকে স্বীয় স্বয়ম্বরের সংবাদ সহ তথায় প্রেরণ করেন এবং তাঁহাকে বলিয়া দিলেন যে সেখানে পৌঁছিবার পরদিবস স্বয়ম্বর হইবার কথা যেন প্রকাশ করা হয়। অতঃপর সুদেব অযোধ্যায় উপস্থিত হইয়া ঋতুপর্ণ রাজাকে দময়ন্তীর পুনঃ স্বয়ম্বর আগামী কল্য হইবে বলিয়া সংবাদ দেন। বাহুকরূপী নলের অশ্বপরীক্ষা ও অশ্ব চালনার কৌশলে একদিনেই তাহারা বিদর্ভে উপস্থিত হইলেন। অতঃপর পরিচারিকা দ্বারা দময়ন্তী অবগত হইলেন যে বাহুক নলের ন্যায় বিনা অগ্নি, বিনা জলে সুস্বাদ আহারীয় প্রস্তুত করিলেন । অন্যান্য লক্ষণে র্তাহাকে ছদ্মবেশী নল জানিতে পারিয়া, দময়ন্তী অশেষ দুঃখ ভোগ করিয়া তিন বৎসর পরে স্বামীর সহিত মিলিত হইলেন । অতঃপর রাজধানীতে উপস্থিত হইয়া পুষ্করকে অক্ষত্ৰীড়ায় পরাজয় পূৰ্ব্বক, নল নিজ রাজ্য পুনঃপ্রাপ্ত হইলে, দময়ন্তী তথায় গমন سواه لا ] দশরথ পূর্বক পতিপুত্রসহ অবশিষ্ট জীবন সুখে যাপন করেন। (মহ) দশরথ—অযোধ্যার নরপতি বিশেষ। ইনি আজরাজের ঔরসে তৎপত্নী ইন্দুমতীর গর্ভে জন্ম গ্রহণ করেন। কৌশল্যা, কেকয়ী, ও সুমিত্র নামী ইহঁার তিনটা প্রধান মহিষী ছিলেন। কৌশল্যার গর্ভে শান্ত৷ নামী একটী কন্যা জন্ম গ্রহণ করে। ঐ কন্যা ইনি লোমপাদ রাজাকে অপত্যর্থে প্রদান করেন । বহুবর্ষ অপুত্রক থাকিয়া পরে জামাত। ঋষ্যশৃঙ্গের দ্বারা পুত্রেষ্টি যজ্ঞ করিলে, ইহার রাম, লক্ষ্মণ, ভরত, শত্রুঘ্ন চারিট পুত্র জন্ম গ্রহণ করেন। দশরথ অতি বীর পুরুষ ছিলেন। কথিত আছে যে ইনি দেবতা দিগকেও সাহায্য করিতেন । একদ৷ যুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত হইয়। প্রত্যাগমন করিলে,কৈকয়ীর শুশ্রুষায় আরোগ্য লাভ করেন। তজ্জন্ত মহিষীকে র্তাহার ইচ্ছানুরূপ দুইটী বর দিতে প্রতিশ্রুত হন। একদা মৃগয়ার্থ বনে গমন পূর্বক রজনীতে শব্দভেদি বাণে অন্ধকমুনির পুত্রকে মৃগ বোধে হত করেন । পুত্ৰশোকে জীবন বিসজ্জন করিবার সময়, অন্ধকমুনি শাপ প্রদান করেন যে ইনিও পুত্ৰশোকে মৃত্যুমুখে পতিত হইবেন। of so
