পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুৰ্য্যোধন ছিলেন। অতঃপর পাণ্ডবগণ ধৃত- , রাষ্ট্রের দ্বারা আহুত হইয়া ইন্দ্রপ্রস্থে রাজ্য স্থাপন পূৰ্ব্বক রাজত্ব করিতে প্রবৃত্ত হইলে,ইনি র্তাহীদের বিরুদ্ধে বিশেষ কিছু করিতে পারিলেন না। পাণ্ডবগণ সমারোহ পূৰ্ব্বক রাজস্থয় যজ্ঞ করিয়৷ অতীব যশস্বী ও বিখ্যাত হইলেন । তাহাদিগের গৌরববৃদ্ধিহেতু দ্বেষবশতঃ ইনি অতি হুঃখিত হইলেন । অতঃপর দুৰ্য্যোধন পিতার মত করাইয়া যুধিষ্ঠিরকে দূত ক্রীড়ার্থ হস্তিনাপুরে আমন্ত্রণ করেন। অক্ষত্ৰীড়াপটু ইহঁর মাতুল শকুনি ইহঁার পক্ষে ক্রীড়া করিতে প্রবৃত্ত হইলেন । শকুনির কপট ক্রীড়ায় যুধিষ্ঠির হৃতসৰ্ব্বস্ব হইয়া চারি ভ্রাতা ও দ্রৌপদীকে পর্য্যন্ত পরাজিত হইলেন। তখন ইনি দ্রৌপদীকে সভায় আনয়নার্থ দূত প্রেরণ করেন। দূত সে কার্য্যে অসমর্থ হইলে, ভ্রাতা দুঃশাসনকে তৎকার্য্যসাধনে আদেশ করা হইল। দুঃশাসন কেশ ধারণ পূৰ্ব্বক দ্রৌপদীকে সভায় আনয়ন করেন । ইনি তাহাকে নানা রূপ উপহাস করিয়া বস্ত্র উত্তোলন পূৰ্ব্বক বাম উরু প্রদর্শন করেন । তদর্শনে ভীম প্রতিজ্ঞা করেন যে যুদ্ধে গদা বেন । অতঃপর শ্বতরাষ্ট্র দ্রৌপদীর [ 558 j র্য্যাধন উপর সন্তুষ্ট হইয়া পাণ্ডবগণকে স্বরাদ্ভু্য প্রত্যাগমন করিতে অনু মোদন করিলেন । পাণ্ডবগণ হস্তিনাপুর হইতে গমন করিলে, দুৰ্য্যোধন পিতার মত করাইয়া পুনরায় দ্যুতক্রীড়ার্থ তাহাদিগকে আনয়ন করেন । এবার দ্বাদশ বৎসর বনবাস ও এক বৎসর অজ্ঞাতৰাসের পণ রাখিয়া অক্ষত্ৰীড়া হইল। দ্যুতে যুধিষ্ঠির পরাস্ত হইলে, পাণ্ডবগণ সন্ত্রীক বনগমন করিলেন । ইনি অতীব সুখী হইয়া উভয় রাজ্যের অধীশ্বর হইলেন। দুৰ্য্যোধন ভানুমতী নামী মহিলার পাণিগ্রহণ করেন। সখা কর্ণের সাহায্যে চিত্রাঙ্গদরাজকন্তকে স্বয়ম্বর সভা হইতে হরণ করিয়া বিবাহ করেন। ইহার লক্ষ্মণ নামে পুত্র এবং লক্ষ্মণ নাম্নী কন্যার জন্ম হয় । তনয়া বয়ঃপ্রাপ্ত হইলে, ইনি র্তাহার স্বয়ম্বর ঘোষণা করেন । কৃষ্ণের পুত্র শাশ্ব র্তাহাকে হরণ করিলে, ইনি যুদ্ধে যাদবকে পরাস্ত করিয়া বন্দী করেন। বলরামের আদেশে ইনি শাম্বকে ত্যাগ না করিলে, তিনি হস্তিনাপুর ধ্বংস করিতে উদ্যত হইলেন। তখন ভয়ে দুৰ্য্যোধন শাম্বকে কারামুক্ত করিয়া লক্ষ্মণার সহিত বিবাহ দেন । বলরামের তুষ্ট সাধন পূর্বক, শিষ্যত্ব গ্রহশ"