দেবকী ছেন । অতঃপর কংস স্বামীসহ দেবকীকে কারামুক্ত করিলেন। কৃষ্ণ কংসধ্বংস করিলে, ইনি পুত্রমুখ দর্শনে অতীব সুখী হইলেন। যদুবংশ ধ্বংসের পর বসুদেব যোগাবলম্বন পূর্বক দেহত্যাগ করিলে, দেবকী তাহার সহগামিনী হইয়াছিলেন। ( মহ ) দেবযানী—অস্থরগুরু শুক্রাচার্যের তনয় । ইনি পিতার অতি প্রিয়পাত্রী ছিলেন। বৃহস্পতির পুত্র কচ শুক্রাচার্য্যের নিকট শিক্ষার্থ আগমন করিয়! গুরু ও গুরুদুহিতার মনস্তুষ্টি সাধন করেন। কচের সদব্যবহার ও সৌজন্তে ইনি তাহার উপর অতীব সস্তুষ্ট হইলেন। র্তাহাকে দৈত্যগণ পুনঃপুনঃ বধ করিলে, ইনি পিতাকে অনুরোধ করিয়া তাহাকে পুনজীবিত করিতেন। ক্রমে র্তাহার প্রতি ইহঁার প্রণরের সঞ্চার হইল। বিদ্যাশিক্ষান্তে কচ স্বর্গে যাইতে উদ্যত হইলে, ইনি তাহাকে পতিভাবে পাইতে অভিলাষ প্রকাশ করেন । গুরুতনয়া সহোদরা জ্ঞানে কচ তাহীতে সন্মত হন না। ইনি র্তাহাকে অভিসম্পাত করেন যে র্তাহার শিক্ষিত মৃত সঞ্জীবনী বিদ্যা ফলদায়িনী হইবে না । তিনি, ইহাকে শাপ প্রদান = করিলেন যে ইনি ব্রাহ্মণেৱ ভাৰ্য্য৷ [ ১১৯ ] দেবযানী ন হইয়া ক্ষত্রিয়ের ভাৰ্য্যা হইবেন। দেবযানীর সহিত দৈত্যরাজকন্ত শৰ্ম্মিষ্ঠার সর্থীভাব ছিল। একদ ইহঁার একত্রে জল ক্রীড়ায় গমন করেন । স্বানান্তে শৰ্ম্মিষ্ঠা আগ্ৰে তীরে উঠিয়া ভুলক্রমে দেবযানীর বস্ত্র পরিধান করেন। এই বিষয় লইয়া দুইজনে মগ বিতও উপস্থিত হইল। পরে শৰ্ম্মিষ্ঠ৷ ইহঁাকে আঘাত করিয়া একটা শুদ্ধ কূপে নিক্ষেপ পূর্বক গৃহে গমন করেন। মহারাজ যযাতি দৈবযোগে মৃগয়ার্থ সেই বনে উপস্থিত হইয়া ছিলেন । জল অন্বেষণে তিনি সেই কূপের নিকট উপস্থিত হইয়। তন্মধ্যে দেবযানীকে দর্শন পূর্বক উদ্ধার করিলেন। ইনি রাজার সৌজন্তে এবং রূপে মুগ্ধ হইলেন। অতঃপর ইনি শৰ্ম্মিষ্ঠার দুর্ব্যবহার পিতার গোচর করিলে, তিনি বৃষপৰ্ব্বরাজের রাজ্য ত্যাগ করিতে উদ্যত হইলেন। দৈত্যরাজ শৰ্ম্মিষ্ঠাকে দাসীরূপে প্রদান পূৰ্ব্বক দেবযানীর তুষ্টিসাধন করিলেন। তদনন্তর দেবযানী ক্রীড়ার্থ সেই বনে গমন করেন। ষষতিও মৃগয়া উপলক্ষে তথায় উপস্থিত হইয়াছিলেন - উভয়ের সহিত সাক্ষাৎ হইলে, দেবযানী পূৰ্ব্ব উপকার স্বরণ পূর্বক তাহার প্রতি অতীব প্রীত হইলেন। রাজাকে সৰ্ব্বতো
