পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নন্দিনী সস্ত্রীক বসুগণ বিহার করিতেছিলেন। দু্য নামক বসুর পত্নী নন্দিনীকে দর্শন করিয়া, তাহার প্রাপ্তির জন্ত স্বামীকে অনুরোধ করেন। তখন হ্য অন্ত বস্থর সাহায্যে ইহঁাকে হরণ করিলে, বশিষ্ঠের অভিসম্পাতে র্তাহাদিগকে ধরাতলে জন্ম গ্রহণ করিতে হয় । কামধেনু নন্দিনীর নিমিত্ত বশিষ্ঠ ও বিশ্বামিত্রে বিবাদ হয়। বিশ্বামিত্ৰ সসৈন্যে বশিষ্ঠের আশ্রমে উপস্থিত হইলে, তিনি ইহার সাহায্য তাহাকে পরিতোষপূৰ্ব্বক ভোজন করান। বিশ্বামিত্র ইহঁাকে লইতে ইচ্ছুক হইলে, বশিষ্ঠ ইহঁাকে ত্যাগ করিতে অসম্মত হন । তথন দুইজনে বিবাদ আরম্ভ হইলে, মুনিবর ইহঁার সাহায্যে রাজাকে পরাস্ত করিয়াছিলেন । ( রাম ) নন্দী—মহাদেবের প্রধান অনুচর। ইনি দধীচি মুনিব শিষ্য ছিলেন এবং শিবমন্ত্রে দীক্ষিত হন । ক্রমে ইনি একজন প্রধান শিবভক্ত হইয়া উঠেন। গুরুসহ ইনি একদ দক্ষালয়ে গমন পূর্বক দক্ষরাজ মুখে শিবনিন্দ শ্রবণ করিয়া, তাহাকে ছাগমুণ্ডবিশিষ্ট হইবার অভিশাপ প্রদান করেন। ইনি মহাদেবের পাশ্বৰ্গরাপে নিযুক্ত হইয়াছিলেন। [ ১৩৬ ] নভগ একদা বন নবীনচন্দ্র সেন—বঙ্গের বিখ্যাত কবি । ইনি চট্টগ্রামে ভদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করিয়া ভদ্রোচিত শিক্ষাপ্রাপ্ত হন। নবীনবাবু ইংরাজি অধ্যয়ন করিয়া বিঃ এঃ উপাধি প্রাপ্ত হইলে, ডিপুটী ম্যাজিষ্ট্রেটের কার্ষ্যে নিযুক্ত হন। অতি দক্ষতার সহিত ইনি রাজকাৰ্য্য সম্পন্ন করিতেছেন । নবীনবাবু পাঠাবস্থা হইতে কবিতা লিখিতে প্রবৃত্ত হন। মধ্যে মধ্যে ইহঁর কৃত কবিতা সাময়িক পত্রিকায় প্রকাশিত হইত। সেই সকল সংগ্রহপূর্বক এবং অনেক গুলি নুতন কবিতা প্রণয়ন করিয়া ইনি “অবসর সরোজিনী” নামে কবিতাপুস্তক প্রকাশ করেন। ইহার কয়েক বৎসর পরে “পলাসির যুদ্ধ” নামে কাব্য প্রকাশিত হয়। “রঙ্গমতী” প্রভৃতি ইহঁার আরও কয়েক খানি কাব্য প্রকাশিত হইয়াছে। নবীন বাবুর লেখনী প্রস্থত তেজস্বিনী কবিতা র্তাহীকে বঙ্গভাষার অস্তিত্ব কাল পৰ্য্যস্ত জীবিত রাখিবে । নভগ—মুনিবিশেষ। ইনি বৈবস্বত মকুর তনয় । নভগ বহুকাল গুরুগৃহে অবস্থান করিলে, ইহার ভ্রাতৃগণ ইহঁাকে ফ্রহ্মচারী মনে করিয়া পিতৃধন বিভাগ করিয়া