পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নানাক [ ১৪৪ ] নারদ উপকারিতা অনুভব করিয়া, নানক নাভাজী—ভক্তমালা গ্রন্থের প্রণেতা। গৃহী হইতে ইচ্ছুক হইলেন। অতঃপর, ইনি গুরুদাসপুর জেলার অধীন ইরাবতীতটে করতালপুর নামক স্থানে বসতি করিলেন। সেইখানে পুত্ৰকলত্রাদি আনয়নপূৰ্ব্বক অনাসক্ত ভাবে সংসারী হইলেন। নানক অবশিষ্ট জীবন একমাত্র ঈশ্বরের উপাসনায় অতিবাহিত করেন। ইহঁার পবিত্র জীবন, সাধু ব্যবহার, এবং সৎ উপদেশ লোকের মন মোহিত করিত। অনেকে ইহঁার শিষ্য হইয়া সুর্থী হইল। ধৰ্ম্মের বাহাভাব পরিহার পূর্বক কায়মনোবাক্যে ধৰ্ম্মাচরণ করিতে ইনি উপদেশ দিতেন এবং স্বয়ংও সেইরূপ ব্যব: হার করিতেন। উপযুক্ত পাত্রে দান মানবজীবনকে পবিত্র করিতে সমর্থ ; সেইজন্ত নানক দানের গুণ বিশেষরূপে ব্যাখ্যা করিয়াছেন । ১৬৩৯ধৃষ্টাব্দে সত্তর বৎসর বয়সে এই মহাত্মা মানবলীলা সম্বরণ করেন। নানকের উপদেশাবলী আদিগ্রন্থ নামে শিখদিগের ধৰ্ম্মগ্রন্থ। পবিত্র চরিত্র এবং আময়িক ব্যবহারে ইনি সকলের শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। কি হিন্দু কি মুসলমান সকলেই ইহঁাকে মহামান্ত করিতেন — { হিন্দুক গুরু মুসলমানক পীর, উস্কা নাম নানক সাহেব ফকীর। কথিত আছে যে ইহঁার পঞ্চ বৎসর বয়সে দেশে ভয়ানক দুর্ভিক্ষ উপস্থিত হইলে, ইনি অরণ্যে পরিত্যক্ত হন। বালক মৃত্যুমুখে পতিত হইবার উপক্রম হইলে, অগরজী নামে জনৈক সিদ্ধ পুরুষ ইহঁাকে রক্ষা করেন। নাভাজী তাহার আশ্রয়ে অবস্থান পূর্বক উপদেশ লাভে ক্রমে বিষ্ণুভক্ত হইলেন। ইনি সময়ে একজন জ্ঞানী লোক হইয়া বিখ্যাত ভক্তমালা গ্রন্থ প্রণয়ন করিয়া চিরস্মরণীয় হইয়াছেন । নারদ–ব্রহ্মার মানসপুত্র। ব্ৰহ্মা ইহঁাকে স্বষ্টি কার্য্যের ভারাপণ করেন। কিন্তু তাহাতে ঈশ্বরপ্রাপ্তির বিঘ্ন সম্ভাবনায় ইনি পিত্রাজ্ঞা পালনে সম্মত হন না । তজ্জন্য পিতার অভিশাপে ইহঁাকে গন্ধৰ্ব্ব ও মানব যোনিতে জন্মগ্রহণ করিতে হইয়াছিল। ইনি বড় বিষ্ণুভক্ত ছিলেন এবং তন্ময়চিত্তে তপস্যা করিতেন । হরিনাম গান করিয়া ইনি সৰ্ব্বত্র ভ্রমণ করিতে বড় ভাল বাসিতেন । নানকের গতিবিধি সৰ্ব্বত্র ছিল এবং অবশ্যক মত ইনি সকল কার্য্যে প্রবৃত্ত হইতেন। ইনি ঘটক হইয়া শিবের বিবাহ সংঘটন করেন । ইহার চেষ্টায় অন্ধক দৈত্যের বিনাশ হয় ।