পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চজন পঞ্চজন—অসুরবিশেষ। এই অসুর শঙ্খরূপ ধারণ পূৰ্ব্বক সমুদ্রগর্ভে বাস করিত। সান্দীপনী মুনির পুত্র প্রভাসতীর্থে স্নান করিবার সময়, পঞ্চজন তাহাকে হরণ করে। কৃষ্ণ গুরুদক্ষিণ প্রদান কালে গুরুপুত্রকে আনয়নার্থ ইহার নিকট গমন পূৰ্ব্বক, যুদ্ধে ইহাকে নিহত করেন । এই অসুরের অস্থিতে পাঞ্চজন্ত শঙ্খ প্রস্তুত হয়। (মহ) পঞ্চশিথ—মুনিবিশেষ। মুনিবর তপোরত হইয়া মোক্ষপদ প্রাপ্তির জ্ঞান লাভ করেন । ইনি একদা মিথিলায় জনদেব সকাশে গমন করিলে, তিনি ইহাকে আচার্য্যের পদে বরণ করেন। মুনিবর মিথিলায় অবস্থান পূৰ্ব্বক তাহাকে ধৰ্ম্ম বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করেন। (মহা) তঞ্জলি—মুনিবিশেষ। ইনি কাতা য়ণকৃত পাণিনি ব্যাকরণের সমালোচনা বাৰ্ত্তিকের টীকা মহাভাষ্য প্রণয়ন করেন । কথিত আছে যে গোনার্দ ( বর্তমান গোণ্ডা) নামক স্থানে গোণিক নামী রমণীর গর্ভে ইনি জন্মগ্রহণ করেন। সময়ে সময়ে ইহার কাশ্মীর বাসেরও উল্লেখ আছে। আনুমানিক У 8 o পূৰ্ব্ব খৃষ্টাব্দে পতঞ্জলি বর্তমান ছিলেন । পতঞ্জলি একজন দার্শনিকও [ 8న ] পদ্মিনী ছিলেন। ইহঁার যোগশাস্ত্র বিষয়ক গ্রন্থ “পাতঞ্জল দর্শন” প্রসিদ্ধ। মতাস্তরে মহাভাষ্যকার পতঞ্জলি দর্শন শাস্ত্রের প্রণেতা নহেন । (পাণিনি) পদ্মিনী-প্ৰসিদ্ধ রাজপুত মহিলা । ইনি চিলোনপতি হামির শঙ্খের দুহিতা ছিলেন । ইহার সহিত চিতোরাধিপতির পিতৃব্য ভীমসিংহের পরিণয় হয়। রূপগুণে ইনি অতুলনীয়া ছিলেন। কথিত আছে যে সে সময় ইহঁার দ্যায় রূপবতী রমণী ভারতে আর ছিল না । পদ্মিনীর অলৌকিক রূপ লাবণ্যের সংবাদে দিল্লীপতি আলাউদিনের মন বিচলিত হয় । তিনি ইহার প্রার্থী হইয়া চিতোর অবরোধ করেন। প্রায় সমগ্র ভারতবর্ষ জয় করিয়া আল মনে করিয়াছিলেন যে, সামান্ত চিতোর দুর্গ সহজে জয় করিতে পরিবেন । কিন্তু রাজপুতদিগের বীরত্বে তাতার আশা নিষ্ফল হইল। অবশেষে চাতুরী প্রকাশে স্বীয় উদ্দেশু সাধন করিতে মনস্থ করিলেন । তিনি প্রকাশ করিলেন যে পদ্মিনীকে দর্পণে দর্শন মাত্র পরিতৃপ্ত হইয়া সসৈন্তে প্রত্যাগমন করিবেন। ভীমসিংহ এই প্রস্তাবে স্বীকৃত হইলে, আল দুর্গে প্রবেশ পূৰ্ব্বক, দর্পণে পদ্মিনীকে দশন করিয়া