পরশুরাম [ ১৫৩ ] পরাশর দশরথ তনয় রাম বিবাহান্তে ভ্রাতৃ- করেন। বীরবর কর্ণ ব্রাহ্মণ গণ সহ অযোধ্যায় গমন কালে, বলিয়া পরিচয় দিয়া ইহঁার নিকট পরশুরাম তাহদের নিকট উপস্থিত অস্ত্র শিক্ষার্থ উপস্থিত হন। হন। দশরথ ভয়ে, অভিভূত হইলেন, কিন্তু রাম নিৰ্ভীকচিত্তে ইহঁার সহিত কথোপকথনে প্রবৃত্ত হইলেন। হরধনু ভঙ্গ করায় রামের বীৰ্য্য ইহঁার সহ্যংহইল না। ইনি তাহাকে স্বীয় বৃহৎ সুদৃঢ় ধনুক প্রদানপূর্বক তাহাকে বাণ যোজনা করিতে বলেন । তিনি অবলীলাক্রমে সেই ধনুতে বাণ যোজনা করিয়া ইহঁার ইচ্ছানুসারে ইহঁার তপোপার্জিত স্বর্গলোক রোধ করেন। ইনি হতদৰ্প ও হতমান হইয়া দ্রুতগতিতে মহেন্দ্ৰ পৰ্ব্বতে প্রত্যাগমন করিলেন। মহাবীর ভীষ্ম ও দ্রোণ পরশুরামের নিকট অস্ত্র শস্ত্রে শিক্ষিত হইয়াছিলেন । কাশিরাজের জ্যেষ্ঠ তনয়া অম্বা ইহার শরণাগত হইলে, ইনি র্তাহার সহিত ভীষ্মের নিকট উপস্থিত হন । ইনি ভীষ্মকে অস্বাগ্রহণ জন্য অনুরোধ করিলে, তিনি তাহাতে অসন্মত হন। ক্রমে দুইজনে বিবাদ উপস্থিত হইলে, গুরুশিষ্যে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ আরম্ভ হয় । ত্রয়োবিংশতি দিবস ঘোরতর যুদ্ধের পর ক্ষত্রিয়ান্তক পরশুরাম শিষ্য ভীষ্মের নিকট পরাজয় স্বীকার পূর্বক গমন ইনি র্তাহাঁকে অস্ত্রশস্ত্রে সুশিক্ষিত করেন। একদা ইনি প্রিয়শিষ্য কর্ণের উরুদেশে মস্তক স্থাপন পূর্বক নিদ্রাভিভূত হন। দৈবযোগে দংশকীট কর্ণের উরুদেশ ভেদ করিতে আরম্ভ করে। গুরুর নিদ্রা ব্যাঘাতের ভয়ে তিনি তদবস্থায়ই উপবিষ্ট ৱহিলেন । অতঃপর রক্তম্পর্শে নিদ্রাভঙ্গ হইলে, ইনি সমুদায় অবগত হইয়া কর্ণকে ক্ষত্রিয় বলিয়া সন্দেহ করেন । কর্ণ আত্মবৃত্তান্ত প্রকাশ করিলে, ইনি তাহাকে অভিশাপ প্রদান করেন যে মৃত্যুসময়ে ব্রহ্মাস্ত্র সকল তাহার স্মরণ থাকিবে, না এবং মহাস্ত্র সকল নিম্প্রভ হইবে। ( রাম, মহ, ব্রহ্ম ১ পরাশর—ঋষিবিশেষ । বশিষ্ঠ পুত্র শক্তির ঔরসে তৎপত্নী অদৃশুস্তীর গর্ভে ইহঁার জন্ম হয়। ইনি পুলস্ত্যের নিকট বিষ্ণুপুরাণ শ্রবণ করিয়া তাহা মৈত্রেয় মুনির নিকট বর্ণন করেন । রাক্ষস কর্তৃক পিতৃবধ জন্ত ইনি রাক্ষস যজ্ঞের অনুষ্ঠান করেন। বহু ংখ্যক রাক্ষসের বিনাশ হইলে পর পুলস্ত্যের অমুরোধে ইনি যজ্ঞ বন্ধ করেন ।
