পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰহলাদ অতি অল্প বয়সেই প্ৰহলাদ হরিভক্ত হন । বিদ্যাভ্যাসার্থ শিক্ষকের নিকট অপিত হইলে, ইনি প্রায় সকল সময় হরিনাম করিতেন । ইছার পিতা বিষ্ণুবিদ্বেষী ছিলেন, তজন্ত শিক্ষক ইহঁাকে বিষ্ণুর উপাসনা ত্যাগ করিতে বলেন । কিন্তু ইনি সে উপদেশে কর্ণপাত না করিয়া হরিনাম রসে মগ্ন রহিলেন । শিক্ষার উন্নতি পরীক্ষার জন্ত প্রহ্লাদ পিতৃসমীপে নীত হইলেন। পিতাকে বিষ্ণুবিদ্বেষী জানিয়াও ইনি নিৰ্ভীক চিত্তে হরিগুণ ব্যাখ্যা করিতে প্রবৃত্ত হইলেন । হরিভক্তি ত্যাগ করিবার জন্য পিতৃ আদেশ পালন করিতে অনিচ্ছক হইলেন। ক্ৰোধসহকারে দৈত্যরাজ ইহঁাকে পুনরায় শিক্ষকসমীপে প্রেরণ করিয়া, শিক্ষককে ইহঁার মত পরিবৰ্ত্তন করিতে আদেশ করিলেন । ইনি গুরুগৃহে নীত হইয়া অতি যত্নের সহিত শিক্ষিত হইতে লাগিলেন। শিক্ষক ইষ্টাকে বিষ্ণুভক্তি পরিত্যাগ করাইবার জন্ত অশেষ চেষ্টা করিয়া বিফল মনোরথ হই লেন। ইনি কিছুতেই হরিনাম ত্যাগ করিতে স্বীকৃত হইলেন না। প্রঙ্গলাদ পুনরায় পিতৃসমীপে নীত [ ১৬৯ ] প্ৰহলাদ সহাস্তবদনে হরিগুণ ব্যাখ্যা করিতে লাগিলেন । ক্রোধে কিংবা অনুনয়ে প্ৰহলাদ হরিনাম ত্যাগ না করিলে, দৈত্যপতি ইহঁার বধের আদেশ করিলেন। ইনি অবিচলিত চিত্তে কেবল হরিনাম করিতে প্রবৃত্ত হইলেন। অতঃপর কথিত আছে যে খড়গাঘাতে, হস্তিপদতলে, অগ্নিতে, সমুদ্রে, পৰ্ব্বতের উচ্চস্থান হইতে পতনে, কিংবা বিষপ্রয়োগে প্রহ্লাদের মৃত্যু হইল না । ইনি কেবল অনন্তমনে, অনদ্যোপায়ে, হরিনাম করিতে ছিলেন। বিপদভঞ্জন হরি সকল বিপদ হইতে ইহঁাকে মুক্ত করেন। কোন প্রকারে ধ্বংস না হইলে, প্রহ্লাদ পুনরায় রাজসমীপে নীত হইলেন। ভূপতি ইহঁাকে নানামতে বুঝাইয়া হরিনাম ত্যাগ করিতে বলিলেন। প্ৰহলাদ কোনক্রমে তাহাতে স্বীকৃত হইলেন না। এ সকল বিপদে প্রাণরক্ষার উপায় জিজ্ঞাসিত হইয়া, ইনি উত্তর করিলেন যে হরির কৃপাই সকল বিপদের বিনাশক। দৈত্যরাজ ক্রোধে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তোর হরি কোথায় আছে” ! প্রহ্লাদ স্থিরচিত্তে উত্তর করিলেন, “তিনি হইলেন। ইহঁাকে তখনও হরিভক্ত দেখিয়া দৈত্যরাজ ক্রোধে অধীর হইলেন। কিন্তু প্ৰহলাদ সৰ্ব্বত্রই আছেন।” দৈত্যরাজ । জলদগম্ভীরস্বরে বলিলেন, ‘ হরি এই স্ফটিকস্তম্ভে আছে ?" প্রহ্ন দি