পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম চন্দ্র ছিলেন। বিদ্যালয় পরিত্যাগ করিবার পূৰ্ব্বেই ইনি, ডেপুটী ম্যাজি ষ্ট্রেটের পদে নিযুক্ত হন। অতি । দক্ষতার সহিত এই কাৰ্য্য সম্পন্ন করিয়া, ইনি ১৮৯১ খৃষ্টাব্দে পেনসন প্রাপ্ত হইয়াছেন। নির8৯১ খৃষ্টাব্দে ইনি “রায়বাহাদুৰঞ্জ এবং ఫిyసా8 খৃষ্টাব্দে “সি, আই, ই” উপাধি প্রাপ্ত হইয়াছেন । কৰ্ত্তব্য কার্য্য যে কিরূপ যত্বে বঙ্কিম বাৰু সম্পন্ন করিতেন তাহ নিম্ন লিখিত ঘটনায় কথঞ্চিৎ অবগত হওয়া যায় । একদ ইনি কোন একটি তদন্তের ভার অন্যের উপর বিন্যস্ত না করিয়া স্বয়ং তাহার অনুসন্ধান করিতে ইচ্ছক হইলেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইয়া ইনি বিপদগ্ৰস্ত হন । এমন কি ইহঁাকে কুম্ভীরসস্কুলনদীতে রাত্রিকালে নিমজ্জিত প্রায় হইয়া প্রাণ রক্ষা করিতে হইয়াছিল । সময় সময় কর্তব্যকার্য্যের অনুরোধে ইহঁাকে এইরূপ অনেক বিপদে পতিত হইতে হইত। কিন্তু বিপদের ভয়ে কখনও ইনি কৰ্ত্তব্য কাৰ্য্য হইতে প্রতিনিবৃত্ত হন নাই । কি ধনী, কি নির্ধন, কি দেশী কি বিদেশী, সকলকেই ইনি আইনের চক্ষে সমান দেখিয়া বিচার কার্য্য করিতেন। [ ১৭১ ] বঙ্কিম চন্দ পঠদ্দশাতেই বঙ্কিম বাবু বাঙ্গালাভাষায় মধ্যে মধ্যে পদ্য রচনা করিয়া প্রভাকরাদি সংবাদ পত্রে প্রকাশ করিতেন। সেই সময় ইনি “ললিত। মানস” নামে একখানি ক্ষুদ্র পদ্য পুস্তক প্রণয়ন করেন । ইহার বহুবর্ষ পরে ১৮৬৪ খৃষ্টাব্দে ইনি দুর্গেশনন্দিনী নামক ঐতিহাসিক উপন্যাস প্রকাশ করেন । ইহঁর মনোমোহিনী রচনা ও কল্পনায় বঙ্গবাসী মুগ্ধ হইল। এই পুস্তক রচনা করিয়াই বঙ্কিম বাবু বঙ্গভাষায় উচ্চদরের লেখকের পদে অধিষ্ঠিত হইয়া মধ্যে মধ্যে উপদ্যাস প্রণয়ন করিয়া স্বীয় অসাধারণ কল্পনা শক্তির পরিচয় দিয়া আসিতেছেন । এই সকল উপন্যাস অতি উচ্চ দরের। ইহাদের কয়েকখানি ইউরোপীয় ভাষান্তরে পরিবৰ্ত্তিত হইয়াছে। ইউরোপের ধীশক্তি সম্পন্ন ব্যক্তিগণ আধুনিক ভারতবাসীকে অপদার্থ মনে করেন—এরূপ মনে করিবার বিস্তর কারণও আছে। র্তাহারা যে উৎসুক হইয়া জনৈক বঙ্গবাসীর লেখনীপ্রস্থত উপন্যাস—বিষবৃক্ষ ও কপালকুণ্ডলা—স্বদেশীয় ভাষায় ভাষাস্তরিত করিয়াছেন ইহা বঙ্গবাসীর পক্ষে সামান্ত গৌরবের বিষয় নহে । সন ১২৭৯ সালে বঙ্কিম বাবু “বঙ্গদর্শন” নামে নূতন ধরণের এক