পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বালখিল্য বালখিল্য, ( বালিখিল্য )—অঙ্গুষ্ঠ প্রমাণ ষষ্টি সহস্ৰ যতিগণ ইহঁীরা ব্ৰহ্মার মানস পুত্র। যতিগণ সতত তপশ্চরণে নিরত। (মহ) বালী, (বালি)—ইন্দ্রের পুত্র, কপি রাজ। বানরবর রক্ষরজ ইহার পালক পিতা। কিষ্কিন্ধায় ইহার রাজধানী ছিল। ইহার স্ত্রীর নাম তারা এবং পুত্রের নাম অঙ্গদ । সুগ্ৰীব ইহার কনিষ্ঠ ভ্রাতা । বালী অতি বলিষ্ঠ বীর ছিল। একদা মহিষাস্থর দুন্দুভি সমরাভিলাষে বালীর নিকট উপস্থিত হয়। উভয়ে ঘোরতর যুদ্ধ হইলে, বালী বলাধিক্য প্রযুক্ত অসুরকে বিনাশ করিল। অতঃপর তাহার মৃতদে উত্তোলন পূর্বক দূরে নিক্ষেপ করে। ঋষ্যমুখ পৰ্ব্বতে মতঙ্গমুনির আশ্রমে সেই দেহ পতিত হইলে, তাহার রক্তবিন্দু মুনির শরীরে নিক্ষিপ্ত হয়। তজ্জন্ত মুনিবর শাপ প্রদান করেন যে বালী সে সুবনে প্রবেশ করিলে বিনষ্ট হইবে। একদা দিক্‌বিজয়ার্থ বহির্গত হইয়া, রক্ষঃরাজ রাবণ কিষ্কিন্ধায় উপস্থিত হন। বালী তাহাকে সমরে পরাজয় করিয়! অশেষ লাঞ্ছনা প্রদান পূৰ্ব্বক মুক্ত করে। ছন্দুভির পুত্র মায়াবী যুদ্ধাৰ্থ বালীর নিকট উপস্থিত হইলে, কপিবর { ১৮২ ] বাল্মীকি তাহার প্রতি ধাবিত হয়। অসুর ভয়ে পলায়ন পূর্বক এক গহবরে প্রবেশ করে। সুগ্ৰীবকে গহবর দ্বারে রক্ষা পূৰ্ব্বক বালী তাহার মধ্যে প্রবিষ্ট হয়। অতঃপর সংবৎসর পরে বালী অসুরকে নিহত করিয়া গহবর হইতে উত্থিত হইবার জন্ত উদ্যত হয়। ইতিমধ্যে সুগ্ৰীব তাহাকে হত মনে করিয়া কিঙ্কিন্ধায় গমন পূর্বক সিংহাসন আরোহন করে। বালী ভ্রাতার ব্যবহারে কুপিত হইয়া, তাহার স্ত্রী গ্রহণ পূর্বক তাহাকে দেশ হইতে দুরাত করে। সুগ্ৰীব বন্ধুবান্ধবসহ ঋষ্যমুখ পৰ্ব্বতে আশ্রয় লইয়া বালীর হস্ত হইতে নিস্কৃতি পায়। রামের বনবাস কালে সীতা রাবণ কর্তৃক হৃত হইলে, তিনি সুগ্ৰীবের সহিত মিত্রতা স্থাপন করেন। অতঃপর বালী ও সুগ্ৰীবে যুদ্ধ উপস্থিত হইলে, রাম বাণাঘাতে ইহাকে নিহত করেন। (রামা) বাল্মীকি—রামায়ণের রচয়িত, ঋষি বিশেষ। ইনি প্রচেতার পুত্র ছিলেন এবং ইহঁার নাম প্রথমে রত্নাকর ছিল । ইনি দস্থ্যবৃত্তি দ্বারা অগ্রে জীবিকা নিৰ্ব্বাহ করিতেন । কথিত আছে যে ইনি একদা জনৈক পথিক ব্রাহ্মণকে বধ করিয়া তাহার দ্রব্যাদি আত্মসাৎ করিতে উদ্যত হইলে, তিনি ইহাকে