পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৮৫ ] ইক্ষাকুর মৃত্যুর পর বিকুক্ষি পিতৃসিংহাসন আরোহণ করিয়া জুনিয়মে রাজ্য শাসন করিয়া যশস্বী হইলেন। (রাম, বিষ্ণু) বিক্রমাদিত্য–উজ্জয়িনীর বিখ্যাত রাজা। খৃষ্টের ৫৬ বৎসর পূৰ্ব্বে ইনি রাজত্ব করেন। ইহঁার পিতার মাম গন্ধৰ্ব্ব সেন। পিতার মৃত্যুর পর ইহার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা শঙ্কু সিংহাসন প্রাপ্ত হন। ইনি তখন দেশ বিদেশে ভ্রমণ করিয়া নানা দেশের রীতিনীতি ও রাজ্য-শাসন-প্রণালী পর্য্যবেক্ষণ করিতেন। মতান্তরে উল্লেখ আছে যে ইনি এই সময় ব্যবসায় লিপ্ত ছিলেন । ইহার তপস্তার বিবরণও শুনা যায়। শঙ্কু অতি অত্যাচারী নরপতি হইয়া উঠেন এবং বিক্রমাদিত্যকে বধ করিবার জন্ত চেষ্টা করেন। ইনি তাহাকে বিনাশ করিয়া রাজা হন। মতান্তরে কথিত আছে যে পিতার মৃত্যু হইলে, বিক্রমাদিত্য রাজা হন। পরে বৈমাত্র ভ্রাতা ভর্তৃহরিকে রাজ্য শাসনের ভার প্রদান পূৰ্ব্বক স্বয়ং বিদেশে ভ্রমণার্থ বহির্গত হন। তিনি ভাৰ্য্যার চরিত্রদোষে বিরাগী হইয়া সংসার পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক সন্ন্যাস ধৰ্ম্ম অবলম্বন করেন । তদনন্তর ৰিক্ৰমাদিত্য স্বদেশে প্রত্যগমন পূৰ্ব্বক রাজ্য শাসন করিতে প্রবৃত্ত হইলেন। বিক্রমাদিত্য যাবতীয় রাজগুণে হইয়া, ভূষিত বিক্রমাদিত্য শীঘ্রই বিখ্যাত হইলেন। ইনি সুবাহ নামক জনৈক নরপতির নিকট বত্রিশ পুত্তলিকার উপরিস্থিত সিংহাসন প্রাপ্ত হন। রাজ্যের সমৃদ্ধি সম্পদনে ইনি বিশেষ চেষ্টিত ছিলেন । গুপ্তচর দ্বারা দেশের সর্বস্থানের ংবাদ রাখিতেন। সৈন্তাধ্যক্ষ সহ স্বয়ং ছদ্মবেশে সৰ্ব্বত্র ভ্রমণ করিয়া সৰ্ব্ব বিষয়ের তত্ত্ব লইলেন। এই বেশে ইহঁারা তাল বেতাল নামে খ্যাত । বিক্রমাদিত্য স্বয়ং একজন পণ্ডিত লোক ছিলেন এবং গুণীগণের মর্য্যাদা সৰ্ব্বতোভাবে রক্ষা করিতেন। দেশের বিখ্যাত বিদ্বান ব্যক্তি সকল ইহঁার আশ্রয়ে বাস করিতেন। ইহঁাদের মধ্যে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ পণ্ডিতগণ দ্বারা একটী নবরত্বের সভা গঠিত হয় । সেই বিখ্যাত পণ্ডিতগণের নাম—কলিদাস, বররুচি, অমরসিংহ শঙ্কু, বেতালভট্ট, ঘটকপর, বরাহমিহির, ধন্বন্তরি, ও ক্ষপণক। নিজ নিজ বিদ্যা বুদ্ধিবলে ইহারা সকলেই বিখ্যাত চইয়াছেন । সংস্কৃত সাহিত্যের চর্চা \& উন্নতি যেরূপ এই সময় হয়, এরূপ ভারতে আর কখন হয় নাই। বিক্রমাদিত্য মহা পরাক্রান্ত সম্রাট ছিলেন। বিদেশী শত্রুদিগকে যুদ্ধে