বিশ্বামিত্র সাহায্যে বিশ্বামিত্ৰ ধেমু লইতে চেষ্টা করিলে, শবলা ঋষির আদেশে সেনা স্বষ্টি করিয়া রাজার সৈন্ত ংস করিলেন । রাজার শত পুত্র বশিষ্ঠের প্রতি ধাবিত হইলে, তিনি তাহাদিগকে হুঙ্কার দ্বারা দগ্ধ করিলেন । বিশ্বামিত্র হতপুত্র ও হতসৈন্ত হইয়া অতীব দুঃখীত চিত্তে এক পুত্রকে রাজ্যে প্রত্যাগমন পূৰ্ব্বক রাজ্যশাসন করিতে আদেশ করিয়া স্বয়ং বনে গমন করিলেন। ইনি অতি কঠোর তপস্যা দ্বারা মহাদেবকে পরিতুষ্ট করিলে, তিনি বর প্রদানার্থ ইহার নিকট উপস্থিত হইলেন। ইনি মন্ত্র ও রহস্যের সহিত সীঙ্গোপাঙ্গ ধনুৰ্ব্বেদ প্রাপ্তির বর লইলেন । অতঃপর কৃতাস্ত্র হইয়া, ইসি বশিষ্ঠের আশ্রমে গমন পূর্বক তাহ বিনষ্ট করিলেন। তদন্তর ঋষিবর ক্রুদ্ধ হইয়। ব্ৰহ্মদও হস্তে ইহঁার নিকট উপস্থিত হইলে, ইনি তাহার উপর অস্ত্র ক্ষেপণ করিতে লাগিলেন । তিনি ব্ৰহ্মদও দ্বারা ইহঁার ব্রহ্মাস্ত্র প্রভৃতি সমুদায় অস্ত্র ব্যর্থ করিলেন। হতমান ও হতদপ হইয়া ৱিশ্বা বলের শ্রেষ্ঠত্ব দর্শন করিয়া, ব্রাহ্মণত্ব লাভ করিবার জন্ত তপস্যা করিত্বে কৃতনিশ্চয় হইলেন। [ ১৯২ ] বিশ্বামিত্র অতঃপর ইনি সস্ত্রীক দক্ষিণদিকে গমন করিয়া তপশ্চরণে প্রবৃত্ত হইলেন । এই সময়ে ইহঁার তিনটী পুত্র জন্ম গ্রহণ করে । বহু বর্ষ পরে ব্ৰহ্মা ইহঁার নিকট উপস্থিত ছুইয়া ইহঁাকে রাজর্যিত্ব প্রদান করিলেন । এই সময় রাজা ত্রিশস্থ সশরীরে স্বর্গে যাইবার জন্য চেষ্টত হইয়া গুরু ও গুরু পুত্রদিগের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হইয়া ইহঁার নিকট উপস্থিত হইলেন । ইনি যজ্ঞের আয়োজন করিয়া র্তাহার ইষ্টসিদ্ধির জন্ত চেষ্টিত হইলেন । তাহাকে স্বর্গে প্রেরণ করিলে, দেবগণের আদেশে তিনি মৰ্ত্ত্যে পড়িতে উদ্যত হইলেন । তখন ইনি তপোবলে তাহাকে শূন্তে স্থাপন পুৰ্ব্বক দ্বিতীয় স্বষ্টি করিতে প্রয়াস পাইয়া দক্ষিণদিকে নক্ষত্রগণ স্বজন করিলেন । অন্ত দেবগণেরও স্বষ্টি করিতে উপক্রম করিলে, তাহারা ইহার নিকট উপস্থিত হইয়া ত্রিশস্কুকে সেই সকল নক্ষত্র দ্বারা পরিবেষ্টিত হইয় দেবতার ন্যায় অবস্থান করিতে অনুমোদিত করিয়া ইহঁাকে নিরস্ত করেন। দক্ষিণদিকে অপস্তার বিল্প উপস্থিত হইলে, বিশ্বামিত্র পশ্চিমদিকে গমন পূর্বক পুষ্করতীরবর্তী তপোবনে তপশ্চরণে প্রবৃত্ত ষ্ট্রেইলেন।
