পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বুদ্ধ [ SNు ] করিত্বে লাগিলেন। এই উদ্দেশ্যে ইহার দ্বারা অশোকভাণ্ড বিতরণের উৎসব সংঘটিত চইল। কুল কুমারীগণ একে একে ইহঁার নিকট অশোক ভাণ্ড প্রাপ্ত হইয়া হৃষ্টচিত্তে প্রত্যাবর্তন করিলেন । অশোকভাণ্ড নিশেঃষিত হইলে সৰ্ব্বশেষে ইহার মাতুল দণ্ডপাণির কন্যা গোপী আসিয়া উপস্থিত হইলেন । চারিচক্ষু একত্রিত হইলে, উভয়ে উভয়ের রূপে মুগ্ধ হইলেন। অশোকভাণ্ড উপলক্ষে দুই জুনে কথোপকথন হয়। উভয়েই উভয়ের প্রতি আশক্ত হইলেন। অতঃপর ইনি ত্বাক্তাকে অশোকভাণ্ডের অভাবে স্বীয় অঙ্গরীয় প্রদান করিয়া বিদায় করিলেন। । যুবরাজের মনোভাব অবগত হইয়া শুদ্ধোদন দণ্ডপাণির নিকট দূত প্রেরণ করিলেন। তিনি সিদ্ধার্থকে শৌর্য্য বীৰ্য্যের পরিচয় দিয়া গোপার পাণিগ্রহণ করিতে বলিলেন । কথিত আছে যে তখন ইনি ব্যায়াম কৌশল, শৌর্য্য কৌশল, বিদ্যা কৌশল, রাজনৈতিক কৌশল, ধৰ্ম্ম নুশীলন কৌশল, এবং শিল্প কৌশল . প্রদর্শন পূৰ্ব্বক সকলকে আশ্চৰ্য্যান্বিত করিলেন। অতঃপর উনবিংশ বৎসর বয়সে গোপীর সহিত ইহার উদ্বাহ ক্রিয়া অতি সমারোহের সহিত সম্পন্ন হইল। গোপার প্রেমে এবং সেবায় ইনি পূৰ্ব্বভাব বিস্তুত হইয়া সংসারের নব ভাবে মোহিত হইলেন। উভয়ে উভয়ের প্রেম ও গুণে মুগ্ধ হইয়া নিৰ্ম্মল সুখে জীবন যাপন করিতে লাগিলেন। এইরূপে সিদ্ধার্থের কয়েক বৎসর অতিবাহিত হইল। কথিত আছে যে একদা প্রভাতে বন্দিনীগণের গানে ইহঁার মনে মনুষ্য জীবনের ক্ষণভঙ্গুরতা ও অস্থায়িতার বিষয় উদয় হয়। ইনি পুনরায় চিন্তায় মগ্ন হইলেন। ইনি ভাবিতেন যে এই অনিত্য সংসারের মধ্যে নিশ্চয়ই কোন নিত্য পদার্থ আছে। সেই নিত্য পদার্থ প্রাপ্ত হইলে মানব শান্তি লাভ করিতে পারে। ইনি সেই পদার্থ প্রাপ্ত হইলে, মানবকে শাস্তির উৎস দেখাইতে পারিবেন। স্বয়ং মুক্ত হইলে, সকলকে মুক্তির পথে লইয়। যাইতে পারিবেন। এই রূপ চিন্তায় ইতার মন অহোরাত্র বিলোড়িত হইতে লাগিল। পতিপ্রাণ গোপ স্বামীকে ম্রিয়মাণ দেখিয়া দুঃখার্ণবে মগ্ন হইলেন। একদা গভীর রজনীতে সিদ্ধার্থ স্বীয় মনোভাব তাহাকে জানাইয়া কাতর ভাবে বলিলেন, “প্রাণাধিক গোপা ! আমার আর কিছুতেই সুখ নাই, তুমি প্রহৃষ্ট হও, জীবনের মহৎ ব্রতে আমার সহায় হও ” এই বর্নি ইনি |