ব্ৰহ্মা করিয়া, প্রথমে জল স্বষ্টি করেন । সেই জলের মধ্যে বীজ নিক্ষেপ করিয়াছিলেন । সেই বীজ সুবর্ণ অগুরূপে পরিণত হইলে, তাহার মধ্যে মহাপুরুষ ব্ৰহ্মারূপে অবস্থিতি করেন। অতঃপর উক্ত ডিম্ব দ্বিখণ্ডিত হইয়া, একভাগে আকাশ, অপর ভাগে পৃথিবী স্বপ্ত হয়। ব্রহ্মা পরে দশজন মানসপুত্র স্বজন করেন—মরীচি, অত্রি, অঙ্গির; পুলস্ত্য, পুলহ, ক্রুতু বশিষ্ঠ, ভৃগু, দক্ষ। এই সকল প্রজাপতি হইতে সমুদায় জীবজন্তু স্বপ্ত হইয়াছে। দেবর্ষি নারদও ইহার মানস পুত্র। পিতামহ তাহাকে সৃষ্টিকার্য্যের ভার অর্পণ করেন । তাহাতে ঈশ্বর প্রাপ্তির ব্যাঘাত সম্ভাবনায় তিনি তাহাতে অসম্মত হইলে, ইনি তাহাকে গন্ধৰ্ব্ব ও মানবরূপে জন্ম গ্রহণ করিতে অভিসম্পাত করেন। ব্রহ্মার স্ত্রীর নাম সাবিত্রী। দেবসেনও দৈত্যসেনা নামে ইহার দুইটী কন্ত । (মনু, भश्d, বিষ্ণু, হরি) ভগদত্ত—নরকরাজের জ্যেষ্ঠ পুত্র। কৃষ্ণের হস্তে নরক নিহত হইলে, ইনি প্রাগ্জ্যোতিষদেশের অধিপতি হন । পিতার নিকট ইনি অমোঘ বৈষ্ণবাস্ত্র পাইয়াছিলেন। দেবরাজ ইন্দ্রের সহিত ইহার সৌহার্দ ছিল। পাণ্ডবদিগের রাজস্থয় যজ্ঞকালে [ ২০৩ ] ভগীরথ সহিত ইহঁর অষ্টাই, যুদ্ধ হইলে, ইনি পরাজয় স্বীকার * করিয়া যুধিষ্ঠিরকে কর প্রদান করেন। ভারতযুদ্ধে ইনি কোবর পক্ষ অবলম্বন করিয়া বীরত্ব প্রকাশে ঘোরতর যুদ্ধ করেন । যুদ্ধের দ্বাদশ দিবসে ইনি ভয়ানক সমরে পাণ্ডবপক্ষের অনেক যোদ্ধার প্রাণ সংহার করেন। স্বয়ং ভীমসেনও ইহার নিকট পরাস্ত হন। অর্জনের সহিত ইহার দ্বৈরথ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। তাহাকে বিনাশ করিবার জন্য ইনি বৈষ্ণবাস্ত্র নিক্ষেপ করিলে, কৃষ্ণ তাহা ধারণ করিয়া অৰ্জুনকে রক্ষা করেন। অতঃপর অর্জুনের হস্তে ইনি নিহত হন। (মহ) ' ভগীরথ-স্বৰ্য্যবংশীয় দিলীপরাজের পুত্র। কথিত আছে যে ইনি বাল্যে অস্থির দৃঢ়তা বিহীনে দণ্ডায়মান হইতে কিংবা গমনাগমন করিতে পারিতেন না। একদা মুনি অষ্টাবক্রকে দেখিয়া সন্ত্রমার্থ উখিত হইতে বিফল চেষ্টা করেন। বিরূপ করিতেছেন মনে করিয়া, মুনিবর অভিশাপ প্রদান করেন, “যদ্যপি | বিন্দ্রপ করিয়া থাক, তবে বিকলাঙ্গ হও, নচেৎ উত্তমাঙ্গ হইবে।” ইনি উত্তমাঙ্গ হইলেন। কপিলকোপে ভস্মীভূত পিতৃপুরুষ , গণের উদ্ধারার্থ ভগীরথ গোকর্ণ
