পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/২২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাদেব হইলেন। ইহঁার মন ক্ষণকালের জন্ত বিচলিত হইলে, ইনি ক্রোধামলে মদনকে ভস্মীভূত করিলেন। অতঃপর পাৰ্ব্বতী কঠোর তপস্যা দ্বারা ইহঁাকে পতিভাবে প্রাপ্ত হইলেন। কাৰ্ত্তিকেয় ও গণেশ নামে ইহঁাদের পুত্রদ্বয়ের জন্ম হয়। হিমালয়ের জ্যেষ্ঠ কন্যা গঙ্গা ও ইহার পত্নী হইয়াছিলেন। মহাদেবের অপরাপর নাম—আশুতোষ, ঈশান, গঙ্গাধর, ত্রিপুরারি, ত্ৰ্যম্বক, ত্রিলোচন, ধূর্জটুি, নীলকণ্ঠ, পঞ্চানন, পিনাকী, বামদেব, ভোলানাথ, মৃত্যুঞ্জয়, মহেশ্বর, রুদ্র, শঙ্কর, শিব, শস্তু, শূলী, সদাশিব, হর, ইত্যাদি। (রামা, মহ, পুরাণ) মহানন্দ—মগধের নন্দবংশীয় শেষ রাজা । ইনি একজন প্রবল প্রতাপান্বিত নরপতি ছিলেন। মুরা নামী জনৈক শূদ্রানীর গর্ভে ইহার পুত্র বিখ্যাত চন্দ্রগুপ্তের জন্ম হয়। মহাননা শকটার নামে মন্ত্রীকে বিনা দোষে অপমান করিলে, তিনি [ ২২০ ] মাগুৰী সাধন পূর্বক চন্দ্রগুপ্তকে মগধের সিংহাসন অর্পণ করেন। (মুদ্রারাক্ষস) মহামায়া—বুদ্ধদেবের মাতা। ইনি কলিদেশের অধিপতি অঞ্জনরাজের দুহিতা ছিলেন। ইহঁার সহিত । কপিলবস্তুর ভূপতি গুদ্ধেদিনের পরিণয় হয় । ইনি অতি ধৰ্ম্মপরায়ণ মহিলা ছিলেন। পঞ্চচত্বারিংশ বর্ষ বয়সে মহামায়া বুদ্ধদেবকে গর্ভে ধারণ করেন। পূর্ণগর্ভে ইনি পিত্রালয়ে গমন করিতে ছিলেন। পথিমধ্যে লুম্বিনী নামক প্রমোদ কাননে উপস্থিত হইলে, ইনি সুখে ইতস্ততঃ পরিভ্রমণ করিয়া শাল কাননে উপনীত হইলেন। একটী শালবৃক্ষের নবপল্লব ছিন্ন করিবার জন্ত হস্তোত্তোলন করিয়াছেন, এমন সময় ইহঁার প্রসববেদন উপস্থিত হইল। অচিরকাল মধ্যে দণ্ডায়মান অবস্থাতেই বুদ্ধদেবকে প্রসব করিলেন। ইহার সপ্তদিবস পরে ইনি ইহ জীবন পরিত্যাগ করেন। (বুদ্ধদেবচরিত) । প্রতিহিংসার জন্য উত্তেজিত হই- মাঘ—কবিবিশেষ। ইহঁার প্রণীত লেন । অতঃপর একদা কোন কার্য্যোপলক্ষে তিনি চাণক্যকে রাজবাটীতে উপস্থিত করিলে, ইনি পণ্ডিতবরকে অপমানিত করেন । “ শিশুপাল বধ ” সংস্কৃত ভাষার মধ্যে একখানি উৎকৃষ্ট কাব্য। কাব্যেযু মাঘ কবি; কালিদাস । চাণক্য প্রতিহিংসা লইবার জন্য মাণ্ডবী—কুশধ্বজ রাজার কষ্ট । সচেষ্ট হইয়া কৌশলে ইহঁার ধ্বংস । ইহঁার সহিত ভরতের পরিণয় হয়।