পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাণ্ডবী তক্ষ ও পুষ্কর নামে ইহঁার দুইটী পুত্র জন্ম গ্রহণ করে। (রামা) মাতঙ্গী—নবম মহাবিদ্যা। ইহার বর্ণনা অন্নদামঙ্গলে এইরূপ আছে— চতুভুজ খড়গ চৰ্ম্ম পাশাস্কুশ ধরি। ত্রিলোচনা অৰ্দ্ধচন্দ্র কপাল ফলকে, চমকিত বিশ্ব বিশ্বনাথের চমকে । মাতলি—ইন্দ্রের সারথি । ইনি ইন্দ্রের সখারূপেও বর্ণিত আছেন । ইহঁার স্ত্রীর নাম সুধৰ্ম্ম । ইহঁার কন্যা গুণকেশীর সহিত সুমুখ নামে নাগের বিবাহ হয়। মাতলির জামাতা বলিয়া দেবরাজ সুমুখকে গরুড়ের ভয় হইতে ত্রাণ করেন। রাবণবধ দিবসে দেবরাজের আদেশে ইনি রথ লইয়া রামের সাহায্যার্থে লঙ্কায় উপস্থিত হন। (রাম, মহ) মাদেী—মদ্রদেশের অধিপতির কন্যা । মাদ্রীর সহিত পাণ্ডুর বিবাহ হয়। ইহঁার গর্ভে অশ্বিনী কুমারের ঔরসে নকুল ও সহদেবের জন্ম হয়। পাণ্ডুরাজের মৃত্যু হইলে, ইনি পুত্রদ্ধয়কে কুন্তীর হস্তে সমর্পণ করিয়া স্বামীর সহিত চিতারোহণে দেহ ত্যাগ করেন। (মহ) মাধাই—বিষ্ণভূক্ত সাধু। মাধাই অগ্রে ঘোরতর পাষাও ছিল এবং লোকের উপর নানাবিধ অত্যাচর করিত। শান্ত প্রকৃতির বৈষ্ণবগণকে দেখিলে, মাধাই ভ্রাতা | রত্ন পদ্মাসনা শ্যামা রক্তবস্ত্র পরি, [ ২২১ ] রূপে পরিণত হইল। মাধাই জগাইয়ের সহিত তাহাদের প্রতি অত্যাচার করিত। ইহার একদা নিত্যানন্দ ও হরিদাসকে তাড়া করিয়াছিল । একদা নিত্যানন্দ নগর ভ্রমণ করিয়া প্রত্যাগমন করিতেছিলেন, এমত সময় জগাই মাধাই তাহাকে ধৃত করে। মাধাই কলসির কাণ ফেলিয়া তাহার মস্তকে আঘাত করে । মস্তক বিদ্ধ হইয়া শোণিত ধারা পড়িতে লাগিল। মাধাই পুনরায় প্রহার করিতে উদ্যত হইলে, জগাই তাহ নিবারণ করে। ইতিমধ্যে চৈতন্য সংবাদ পাইয়া তথায় উপস্থিত হইলেন। জগাই চৈতন্তের কৃপায় ভক্তমাধাইকে নিত্যানন্দ ক্ষমা করিলেন এবং হরিনাম জপ করিতে দিয়া ইহার উদ্ধারের উপায় করিয়া দিলেন। অতঃপর জগাই মাধাই হরিভক্ত হইয়া প্রত্যহ লক্ষ হরিনাম জপ করিতে লাগিলেন। নিতাইয়ের আদেশে মাধাই গঙ্গাতীরে প্রত্যহু সকলের নিকট পূৰ্ব্বকৃত পাপের জন্ত ক্ষমা পার্থনা করিতেন। ক্রমে হরিনামের গুণে ইনি সাধুবৈষ্ণব রূপে পরিণত হইয়া স্থথে, জীবন যাপন করিতে লাগিলেন। ( ভক্তিচৈতন্ত চন্দ্রিকা)