পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যুধিষ্ঠির রাজ্যাভিমুখে গমন করিতেছিলেন। পিতার মত লওয়াইয়া দুৰ্য্যোধন ইহঁাকে পুনরায় অক্ষত্ৰীড়ায় আহবান করেন। ইনি ক্রীড়ায় রত হইয়া একপণে রাজ্যাদি হৃত হন, এবং অপর পণে দ্বাদশ বৎসরের জনা স্ত্রী ও ভ্রাতৃগণসহ বনে গমন করেন । দ্বাদশ বৎসরের পরে এক বৎসর অজ্ঞাত বাসের ব্যবস্থাও নিৰ্দ্ধারিত হইল । অতি দুঃখিত মনে যুধিষ্ঠির মাতাকে বিদুরের আশ্রয়ে রাখিয়া স্ত্রী ও ভ্রাতাদিগের সহিত বনে গমন করিলেন। আত্মকৃত অন্যায্য কার্য্যে স্বজন সহ দুৰ্ব্বিসহ ক্লেশ ভোগ করিতে প্রবৃত্ত হওয়ায়, ইনি অতীব ম্ৰিয়মাণ হইলেন। কিন্তু ইনি কোন অবস্থাতেই ধৰ্ম্মপথ হইতে রিচলিত হন নাই। ধৰ্ম্মপথে থাকিয়া এরূপ অসহ্য কষ্ট স্বীকার করিয়াও, ইনি ধৰ্ম্মের প্রতি দোষারোপ করেন নাই ; বরং ভ্রাতাদিগের সমক্ষে দ্রৌপদীকে বলিয়াছিলেন— “আমি ধৰ্ম্মের ফল নিমিত্ত ধৰ্ম্মীচরণ করি না, আমার মন স্বভাবতই ধৰ্ম্মের অনুগামী । ষে ব্যক্তি ধৰ্ম্মকে দোহন করত ফল লাভ করিতে ইচ্ছা করে, যে ধাৰ্ম্মিক বলিয়া গণ্য হইতে পারে না, তাহাকে ধৰ্ম্মবণিক বলা যায়।” ধাৰ্ম্মিক ; বলিয়া , যুধিষ্ঠির ব্যাস [ ২৩১ ] যুধিষ্ঠির দেবের প্রিয়পাত্র ছিলেন। তিনি ইহঁাকে প্রতিস্মৃতি বিদ্যা দীন করিলে, ইনি সেই বিদ্যা অর্জুনকে শিক্ষা দিয়াছিলেন । এই সময় "ইহার নিকট মুনিঋষিগণ আগমন করিতেন এবং ইহঁাদিগকে পৌরাণিক আখ্যায়িক শ্রবণ করাইয়। সুখী করিতেন। ইনি বৃহদশ্বের নিকট অক্ষবিদ্যা শিক্ষা করেন । , পাণ্ডবদিগকে ঐশ্বৰ্য্য . প্রদর্শনার্থ দুৰ্য্যোধন সসৈন্তে ঘোষযাত্রা করিয়া ইহঁাদের দুঃখ দর্শনে অতীব হৃষ্ট হইলেন। কুরুসৈন্যের সহিত গন্ধৰ্ব্বরাজ চিত্রসেনের যুদ্ধ উপস্থিত হইলে, দুৰ্যোধন পরাজিত হইয়া সস্ত্রীক বন্দী হইলেন। সংবাদ প্রাপ্ত হইয়া ইনি ভীমাৰ্জ্জুনকে প্রেরণ করিয়া গন্ধৰ্ব্বরাজের হস্ত হইতে র্তাহাকে মুক্ত করেন। দ্রৌপদীকে হরণ করিতে অভিলাষী হইয়া জয়দ্ৰথ ভীম কর্তৃক ধৃত ও নিপীড়িত হইলে, ইনি র্তাহাকে ক্ষমা প্রদর্শন পূর্বক মুক্ত করেন। বনবাসকালে ধৰ্ম্মরাজ যক্ষরূপে ইহঁাকে দেখা দিয়া পরীক্ষার্থ বিবিধ প্রশ্ন করেন। ইনি সমুদায় প্রশ্নের সদুত্তর প্রদান করিয়া, তাহার আশীষ ভাজন হইলেন। অজ্ঞাত বৎসর যাপন করিবার জন্ত যুধিষ্ঠির স্ত্রী ও ভ্রাতাদিগের সহিত বিরাট রাজসভায় উপস্থিত