পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রক্তবীজ চণ্ডমুণ্ড নিহত হইলে, দৈত্যরাজ ইহাকে সংগ্রামে প্রেরণ করেন। দেবী ইহাকে নিহত করিয়া ইহার রক্ত পান করেন। (মার্কণ্ডেয়) রক্ষরজা—বাৰ্মররাজ। ব্রহ্মার অগ্র জল হইতে ইহার উৎপত্তি হয়। বর্ণিত আছে যে উত্তর মেরুশিখরে স্থিত সরসীজলে অবগাহন করিলে, কপিবর _স্ত্রীরূপ লাভ করিল। এই অবস্থায় ইহার বালী ও সুগ্ৰীব নামে পুত্রদ্বয়ের জন্ম হয়। রক্ষরজি পুনরায় বানররূপ প্রাপ্ত হইল। তঃপর ব্রহ্মা ইহাকে কিচকিন্ধার রাজত্ব প্রদান করেন। (রামা) । রঘু—স্বৰ্য্যবংশীয় রাজা বিশেষ। ইনি মহারাজ দিলীপের পুত্র এবং অজের পিতা । ইনি অতি ক্ষমতাশালী নৃপতি ছিলেন, এবং বিবিধ জনপদ পরাজয় করিয়াছিলেন। তৎপরে বিশ্বজিৎ যজ্ঞের অনুষ্ঠান করিয়া, ইনি সমুদায় দ্রব্যজাত ব্রাহ্মণকে দান করেন । (রামা) । রণজিৎসিংহ–পঞ্চাব কেশরী । ১৭৮০ খৃষ্টাব্দে পঞ্চাবের অন্তর্গত গুজরণবালায় এই বীর পুরুষের জন্ম হয়। ইহার পিতা মহাসিংহ পঞ্চাবের একটী মিসিলের (উপবি. ভাগের) কর্তৃত্ব করিতেন। বাল্যকালে বসন্ত রোগে রণজিতের একটা চক্ষু নষ্ট হয়। অষ্টম বৎসর ২৩৪ ] রণজিৎসিংহ বয়সে পিতৃহীন হইয়া, ইনি মাতা ও পিতার দেওয়ানের কর্তৃত্বাধীনে অবস্থান করেন । ইনি অল্প বয়স হইতেই স্বীয় বুদ্ধি, সাহস, ও পরা ক্রমের পরিচয় দিয়া শিখদিগের নেতৃত্ব গ্রহণ করিতে সচেষ্ট হন । এই সময় পঞ্চাব দোরাণী ভূপতির অধীন ছিল। র্তাহার অধীনে শিখ সর্দারগণ ভিন্ন ভিন্ন উপবিভাগে আধিপত্য করিতেন । একদা জেমান শাহ দোরাণী বিতস্তা নদীর অপর তীরে কামান লইয়া যাইতে অসমর্থ হন। পরে রণজিতের বুদ্ধি কৌশলে ও কাৰ্য্যপটুতায় সে সকল নিৰ্ব্বিঘ্নে নদীর অপর তীরে উপস্থিত হইল। দোরাণী সন্তুষ্ট হইয় রণজিতকে লাহোরের অধিপতি করিলেন। এই সময় ইহার বয়স উনবিংশ বর্ষ মাত্র । রণজিৎসিংহ ক্রমে অধীনস্থ প্রদেশ শৃঙ্খলাবদ্ধ করিয়া সৈন্ত সংখ্যা বৃদ্ধি করিতে প্রবৃত্ত হইলেন । অশেষ প্রযত্নে সৈন্যদিগকে শিক্ষিত করিলেন। ইহঁার উৎকৃষ্ট শিক্ষায় শিক্ষিত হইয়া খালসা সৈন্য অন্তের অজেয় হইল। ইনি • ক্রমে পঞ্চাবে স্বীয় অধিকার স্থাপন পূর্বক মহা প্রতাপাম্বিত স্বাধীন ভূপতি হইলেন। লাহোর নগর ইহার রাজ্যের রাজধানী