ब्लडों [ ২৩৬ ] তাহার অভিশাশে শৈলরূপে পরিণত হইয়াছিলেন। একদা ইনি.কুবের তনয় নলকুবরের নিকট গমন করিতেছিলেন, এমন সময় রাবণ ইহাকে বলপূৰ্ব্বক ধর্পণ করে। তজন্ত নলকুবরের অভিসম্পাতে রাবণ আর অন্ত স্ত্রীলোকের উপর অত্যাচার করিতে পারিত না। (রাম রাজরাজেশ্বরী—দশ মহাবিদ্যার একটা মূৰ্ত্তি। অন্নদামঙ্গলে ইহার রূপ এইরূপ বর্ণিত আছে— রক্তবর্ণ ত্রিনয়ন ভালে সুধাকর, | চারিহাতে শোভে পাশাস্কুশ ধনুঃশর। বিধি, বিষ্ণু, ঈশ্বর, মহেশ, রুদ্র পঞ্চ, পঞ্চপ্রেত নিয়মিত বসিবার মঞ্চ ॥ রাজারাম—শিবজীর কনিষ্ঠ পুত্র। শিবজির মৃত্যুর পর, শম্ভুজির দুৰ্বত্ততা হেতু অনেক বিশিষ্ট মহারাষ্ট্রীয় ইহঁাকে রাজা করিবার মনস্থ করেন । কিন্তু শস্তুজি তাহাদের সে চেষ্টা বিফল করিয়া স্বয়ং রাজা হন। তখন ইনি একরূপ বন্দীভাবে ছিলেন । শস্তুজির মৃত্যু এবং শাহুর কারাগার হইলে, রাজারাম মহারাষ্ট্রদিগের নেতা হন। ইনি মহারাষ্ট্রদিগকে বিভিন্ন সেনাপতির অধীন করিয়া, মোগল সৈন্ত আক্রমণ ও বিব্রত করিতে আদেশ করেন । ইহার এই নূতন প্রণালীতে চালিত হইয়া, মহারাষ্ট্রীয়গণ মোগলসৈন্য পূৰ্ব্বাপেক্ষ বিব্রত করিতে সমর্থ রাধিক হইল। দুঃখের বিষয় এই সময় ইহার মৃত্যু হয়। (ইতিহাস রাধা, রাধিকা—বৃষভান্থ রাজার ঔরসে কলাবতীর গর্ভে ইহঁার জন্ম হয়। রায়ানঘোষের সহিত ইনি পরিণয় পাশে বদ্ধ হইয়াছিলেন । বর্ণিত আছে যে কৃষ্ণের গোকুলে অবস্থিতি কালে, র্তাহার ঐশ্বরীকত্ব জানিতে পারিয়া, ইনি'র্তাহার প্রতি অনুরক্ত হন। এই আসক্তি ভক্তদিগের জাদর্শ স্থল ইহা পাপের আসক্তি নহে। ধৰ্ম্মব্যাখ্যাকারীরা বলেন যে রাধার বিবরণ সৰ্ব্বতোভাবে রূপক । ভক্তকে ঈশ্বরে মন কিরূপে নিবেশ করিতে এবং তন্ময় হইতে হয়, তাহাই দেখাইবার জন্ত কবি রাধিকার স্বষ্টি করিয়াছেন। অজ্ঞ ব্যক্তিগণ রূপক অযথা ভাবে বৃদ্ধিকরায়, ধৰ্ম্মের অবনতির সহিত অবশেষে ভক্তের অাদর্শ রাধা যাত্রায় রাধায় পরিণত হইয়াছেন । (২)—অধিরথের স্ত্রী এবং কর্ণের পালিকা মাতা। একদা ইনি স্বামী সহ নদীতে স্নান করিতেছিলেন, এমন সময় একটা মঞ্জুমা জলে ভাসিয়া যাইতেছিল। অধিরথ তাহা ধৃত করিয়া তন্মধ্যে সদ্যপ্রস্বত কর্ণকে প্রাপ্ত হন। আপন সন্তান জ্ঞানে রাধা তাইকে প্রতি
